• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ধর্ষণ করলেন প্রধান শিক্ষক, বয়কট হলেন ধর্ষিতা


নিউজ ডেস্ক অক্টোবর ২১, ২০১৭, ১২:১৪ পিএম
ধর্ষণ করলেন প্রধান শিক্ষক, বয়কট হলেন ধর্ষিতা

ঢাকা: স্কুলের নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে খোদ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের কারণে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে নবম শ্রেণির ছাত্রীটি। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তি সপ্তাহ তিনেক আগে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ।

কিন্তু, তাতেও সমস্যা মেটেনি। উলটে, গ্রামে সামাজিক বয়কটের মুখে পড়েছে নির্যাতিতার পরিবার। গ্রামবাসীদের দাবি, বিয়ের আগেই অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় ওই কিশোরী নাকি অশুচি হয়ে গিয়েছে। তাই গ্রামে সবাইকে নিয়ে পিকনিকের আয়োজন করতে হবে নির্যাতিতার পরিবারকে। তবে তাদের সমাজে ঠাঁই হবে!

ঘটনা ওড়িশার। ওড়িশার কোরাপুর জেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামের বাড়ি নির্যাতিতা কিশোরীর। গ্রামেরই একটি সরকারি আবাসিক স্কুলের নবম শ্রেণিতে পড়ে সে। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, ওই কিশোরীর সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করেছেন স্কুলের প্রধানশিক্ষক। এখন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই কিশোরী। প্রথমে কিশোরীটির গর্ভপাত করানোর চেষ্টা করেছিলেন পরিবারের লোকেরা।

কিন্তু, পাঁচ মাসের ভ্রুণের গর্ভপাত করতে রাজি হয়নি চিকিৎসকরা। এরপরই অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার কিশোরীর বাবা। প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ।

পুলিশ তো পুলিশের কাজ করেছে। কিন্তু, আইনের দ্বারস্থ হয়ে সমস্যা পড়েছেন নির্যাতিতার পরিবার। তাদের সামাজিকভাবে বয়কট করেছেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু, নবম শ্রেণির ছাত্রীটি তো কোনও অপরাধ করেনি। বরং কিশোরীবেলায় স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিকৃত যৌন লালসার শিকার হযেছে সে। তাহলে ওই কিশোরী পরিবারকে কেন একঘরে করে দিলেন গ্রামবাসীরা?  গ্রামবাসীদের যুক্তি, কারণ যাই হোক না কেন, বিয়ের আগে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে ওই কিশোরী।
তাই সে নাকি অশুচি। এখন নির্যাতিতার বাবা গ্রামবাসীদের ভোজ দেন, তাহলে সমাজে ঠাঁই হবে তাঁদের। নির্যাতিতা বাবা বলেন, ‘আমি জনমজুরি করি। গ্রামের সবাইকে ভোজ দিতে গেলে ৩০ হাজার খরচ হবে। আমি এত টাকা কোথায় পাব?’

ওড়িশায় ধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিতার জন্য বিশেষ প্যাকেজ চালু করেছে সে রাজ্য সরকার। নির্যাতিতাকে ৩ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়। কিন্তু, এক্ষেত্রে অবশ্য নির্যাতিতার পরিবারের পাশে দাঁড়ায়নি জেলা প্রশাসন।

কোরাপুট জেলার ওয়েলফেয়ার অফিসার জগন্নাথ সোরেনের বক্তব্য, বিভাগীয় তদন্তে দেখা গিয়েছে, ওই কিশোরীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক তৈরি করতে চেয়েছিলেন অভিযুক্ত প্রধানশিক্ষক। তবে যৌন হেনস্তার কোনও প্রমাণ মেলেনি। তাই নির্যাতিতাকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার সুপারিশ করা যাবে না।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!