ধর্ষণ থেকে বিয়ে, ১৮ দিন পরই তালাক

রাজশাহী: প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ। অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিয়ে, কিছুদিন পরে দেয়া হয় তালাক।

রাজশাহীর তানোর উপজেলার সরণজাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাতের বিরুদ্ধে এ সব অভিযোগ এনে মামলা করেছেন ওই কলেজছাত্রী। গত সোমবার (২২ মে) রাজশাহীর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।

মেয়েটির পরিবার জানায়, ২০১৫ সালে ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ওই কলেজছাত্রীকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে চাকুরি দেয়ার প্রলোভন দেন আনোয়ার সাদাত। থানা পর্যায়ের নেতার কাছে সাক্ষাতের নামে বিভিন্ন সময়ে ডেকে নেন আওয়ামী লীগ নেতা। একপর্যায়ে ওই ছাত্রীকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করেন আনোয়ার সাদাত।

কলেজছাত্রী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে গত বছরের ১৯ নভেম্বর বিয়ে করেন আওয়ামী লীগ নেতা। বিয়ের ১৮ দিন পর তাকে তালাক দেয়া হয়।

এদিকে মামলার খবর পেয়ে ওই ছাত্রীকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন আনোয়ার সাদাত। নিরুপাই হয়ে ওই ছাত্রী বুধবার তানোর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন তানোর থানার ডিউটি অফিসার নাজমুল হক।

আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার সাদাত বলেন, তার মামা সরণজাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। ভোটে প্রভাব ফেলার জন্য ওই কলেজছাত্রীকে তার পেছনে লেলিয়ে দেন প্রতিপক্ষের লোকজন। ফলে নিরুপায় হয়ে তিনি বিয়ে করেন। মেয়েটি চরিত্রহীন বলে তাকে তালাক দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেএ