ধর্ষণ মামলায় রিমান্ডে কন্ঠশিল্পী এফএ সুমন

মোন মুনিয়া কান্দে, জাদু রে জাদু রে, ঘুম পারানি বন্ধু আমারসহ বেশ কিছু জনপ্রিয় গানের শিল্পী এফএ সুমন। খ্যাতির আসনে যখন বসতে শুরু করেছেন সেই কলঙ্কের কালি মাখলেন তার সারা অঙ্গে।

রাজধানীর মগবাজারে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে এক দিনের রিমান্ডে নিয়েছে রমনা থানা পুলিশ।

গত মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মগবাজারের রাইন প্লাজার চতুর্থতলায় সানপাওয়ার ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স অফিসে ওই স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়। গত বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করলে ওইদিনই অভিযুক্ত সংগীতশিল্পী এফএ সুমনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 

ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।

ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর বরাত দিয়ে রমনা থানার এসআই গোলাম মোস্তফা জানান, স্কুলছাত্রীর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। দু’তিন মাস আগে শিল্পী এফএ সুমনের সঙ্গে মোবাইলে তার পরিচয়। পরে কথা বলা থেকে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে ওই স্কুলছাত্রীকে দেখা করতে ঢাকায় আসতে বলে সুমন। 

এর ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ওই স্কুলছাত্রী তার নানাবাড়ি মেঘনায় যাওয়ার কথা বলে ঢাকায় আসে। এরপর ঢাকায় এলে সুমন তাকে মগবাজার এলাকায় আসতে বলে। পরে রাইন প্লাজার চতুর্থতলায় নিয়ে কোমলপানীয়ের সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করায় এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। 

রাত ৮টার দিকে ওই স্কুলছাত্রীকে মগবাজারে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায় সুমন। পরে ওই ছাত্রী বিষয়টি পুলিশকে জানালে তাকে ঢামেকের ওসিসিতে ভর্তি করে রমনা থানা পুলিশ। রিমান্ডে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুমন ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, ওই ছাত্রী বর্তমানে ঢামেকের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি রয়েছে। শারীরিক পরীক্ষা শেষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে বলে। এ ব্যাপারে সুমনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

সুমনের বাসা যাত্রাবাড়ি শনির আখরায়। তিনি দুই সন্তানের বাবা। জি সিরিজের ব্যানারে সুমনের বেশীরভাগ অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি