ধর্ষণে মা হলো ১৩ বছরের শিশু!

দিনাজপুর: পঞ্চম শ্রেণির এক ধর্ষিতা কিশোরী সম্প্রতি মা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) সকালে দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার দলারদর্গা বাজারে কেএইচএম মেমোরিয়াল হাসপাতালে সন্তানের জন্ম দেয় সে।

১৩ বছর বয়সী মেয়েটি নিজেই এখনো শিশু। এরইমধ্যে তাকে জন্ম দিতে হলো আরেকটি শিশুকে। গত বছর প্রাইভেট টিউটরের ধর্ষণের শিকার হয়েই এই করুণ পরিণতি তার।

শিশুটির পরিবারের অভিযোগ, পাশের বাড়ির প্রভাবশালী সাইদুর রহমানের ছেলে রবিউল ইসলামের (২৩) কাছে টিউশনি পড়তে গিয়ে তার কাছেই ধর্ষণের শিকার হয় তাদের মেয়ে। এ ঘটনায় গত ৭ জানুয়ারি নবাবগঞ্জ থানায় ওই যুকবের বিরুদ্ধে মামলা করেন ধর্ষিত শিশুটির বাবা। 

তদন্ত শেষে গত ১৯ মার্চ রবিউল ইসলামকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহিন আলম। মামলা হওয়ার পর থেকে রবিউল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।

মামলার বিবরণে ও ধর্ষণের শিকার শিশুটির কাছ থেকে জানা গেছে, শিশুটি গ্রামের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে উঠেছিল মাত্র। সে প্রতিবেশী কলেজ পড়ুয়া তরুণ রবিউল ইসলামের কাছে টিউশনি পড়তে যেত। 

একা টিউশনি পড়ানোর সুযোগ নিয়ে অংক ভালো করে বুঝিয়ে দেয়ার কথা বলে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে একদিন তাকে ধর্ষণ করে রবিউল ইসলাম। সে ভয়ে বিষয়টি কাউকে বলেনি।

গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর হঠাৎ করে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন মায়ের কাছে ঘটনা খুলে বলে। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে তার আলট্রাসনোগ্রাম করানো হলে সে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে নিশ্চিত হয় পরিবারটি। ১৪ জুন শিশুটি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। 

নবাবগঞ্জ থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার জানান, ঘটনার পর থেকে ধর্ষক পলাতক রয়েছে। মামলার চার্জশিট কোর্টে জমা দেয়া হয়েছে। রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।

সোনালীনিউজ/জেডআরসি/জেএ