• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ধর্ষিত হয়েও রেহাই পায়নি কিশোরী!


ফরিদপুর প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৭, ০৯:৩৯ পিএম
ধর্ষিত হয়েও রেহাই পায়নি কিশোরী!

প্রতীকী ছবি

ফরিদপুর: ধর্ষিত হয়েও রেহাই পায়নি কিশোরী! ওই ঘটনায় মামলা করলে তা প্রত্যাহার না করায় ধর্ষণের শিকার ১৭ বছরের ওই কিশোরীকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত কিশোরীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ওই কিশোরীর বাবা অভিযোগ করে বলেন, গত ১৫ মে রাতে তার মেয়েকে বাড়ির পাশে একটি বাগানের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে দিপু মোল্লা ও তাঁর সহযোগীরা। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে গত ১৬ মে দিপু মোল্লাকে প্রধান অঅসামি করে ছয়জনের নামে সালথা থানায় ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা করেন।

তিনি আরো অভিযোগ করেন, মামলার পর থেকে আসামিরা মামলাটি তুলে নেয়ার জন্য ধর্ষিতা কিশোলীর পরিবারকে হুমকি দিয়ে আসছিল। মামলা প্রত্যাহার না করায় শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে বাড়িতে আসেন প্রধান আসামি দিপু মোল্লা ও তার সহযোগীরা। এসময় তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমার মেয়েকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন। দিপুর সহযোগীদের মধ্যে মাহফুজ মিয়া, মারকুজ মিয়া, ফারুক মিয়া, মিলন মিয়াসহ মোট ১৫–১৬ জন ছিল বলেও জানান তিনি।

সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বলেন, ঘটনার সময় ওই কিশোরী, তার ছোট ভাই, ছোট বোন ও মা বাড়িতে ছিলেন। আসামিরা ওই কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করেন। পরে গুরুত্ব আহতবাস্থায় রাতেই তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ডমাস্টার সাখাওয়াত মোস্তফা বলেন, কিশোরীর মাথা, হাত ও পিঠে অন্তত ১০টি কোপের চিহ্ন রয়েছে। তবে সে এখন আশঙ্কামুক্ত।

দিপু মোল্লাসহ অভিযুক্ত আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

ওই ধর্ষণ মামলা তদন্ত কর্মকর্তা সালথা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) লিয়াকত হোসেন বলেন, মামলার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। মিন্টু মোল্লা নামের এক আসামিকে কয়েক দিন আগে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দিপু মোল্লাসহ বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন।

কিশোরীটির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, হামলার ঘটনায় তারা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এরই মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আমিনুল হক বলেন, ধর্ষণের মামলার আসামিরাই কিশোরীকে কুপিয়ে জখম করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। থানায় অভিযোগ এলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!