• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ধোনির ছক্কায় উচ্ছ্বসিত সাক্ষী, বিমর্ষ আনুশকা


ক্রীড়া ডেস্ক এপ্রিল ২৬, ২০১৮, ০১:৪১ পিএম
ধোনির ছক্কায় উচ্ছ্বসিত সাক্ষী, বিমর্ষ আনুশকা

ঢাকা: মহেন্দ্র সিং ধোনি আর বিরাট কোহলির দুর্দান্ত লড়াই দেখা গেল বুধবার রাতে। যেখানে শেষ হাসি হাসলেন সাবেক অধিনায়ক ধোনিই। আর বাইশ গজের বাইরে গ্যালারিতে সাক্ষী-আনুশকা অঘোষিত ডুয়েল। আইপিএলের আসরে এমন মুখরোচক ডুয়েল সহজে চোখে পড়ে না। সাবেক এবং বর্তমান ভারত অধিনায়কের ডুয়েল যেমন টান টান ছিল, তেমনই জমাটি হল দর্শকাসনে বসা সাক্ষী-আনুশকার উপস্থিতিতে তৈরি হওয়া কয়েকটি টুকরো মুহূর্ত।

বুধবার মাঠের ভিতরে তো বটেই, মাঠের বাইরেও তাই বেশ কিছু নাটকীয় মুহূর্ত উঠে এল চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে। আর গোটাটাই উপভোগ করলেন দর্শকেরা। হবে না-ই বা কেন! আইপিএলের আসরে এই প্রথম মুখোমুখি হলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং বিরাট কোহলি।

না! তথ্যে একটু ভুল রয়েছে। আগেও আইপিএলে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছেন তাঁরা। তবে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর এই প্রথম আইপিএলে মুখোমুখি ধোনি-কোহলি। ফলে এই ডুয়েলের মঞ্চ যেন আগে থেকেই তৈরি ছিল। আর এই ডুয়েল আরও জমিয়ে দিলেন ধোনি-কোহলির স্ত্রীরা।

ম্যাচের নানা ওঠা-পড়ার মধ্যেই তাই ক্যামেরা বারবার ঘুরে গেল সাক্ষী-আনুশকার দিকেও।চলতি আইপিএলে এটাই ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর প্রথম হোম ম্যাচ। আর প্রথম হোম ম্যাচে এই প্রথম স্টেডিয়ামে পা রেখেছিলেন বিরাটের স্ত্রী আনুশকা। এমনিতে আইপিএলের প্রায় সব ম্যাচেই তিনি নজর রাখেন বলে আগেও জানিয়েছিলেন তিনি। শুটিংয়ের কাজে ব্যস্ত থাকলেও ১৩ এপ্রিল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে বিরাটদের সমর্থন করতে স্টেডিয়ামে পৌঁছে গিয়েছিলেন।

তবে তার পর আর মাঠে বসে তাঁকে দেখা গেল বুধবার রাতে। স্লিভলেস সাদা টপ আর ফেডেড ব্লু ড্রেসের আনুশকাকে দেখা গেল ম্যাচের প্রতিটি মুহূর্তের সঙ্গে মিশে যেতে। কখনও হাততালিতে ভরিয়ে দিলেন দলকে, তো কখনও আফসোসে ভরে উঠল তাঁর মুখ। পিছিয়ে ছিলেন না ধোনির স্ত্রী সাক্ষীও। স্লিভলেস ফ্লোরাল টপে তাঁকে দেখা গেল সুরেশ রায়নার স্ত্রী প্রিয়ঙ্কা এবং ইমরান তাহিরের স্ত্রী সুমাইয়া দিলদারের মাঝে। কখনও দলের উইকেট পতনে হতাশ, তো কখনও ধোনির বিশাল ছক্কায় উচ্ছ্বসিত! চেন্নাই সুপার কিংস বনাম রয়্যালদের লড়াই তাই হয়ে উঠল যেন ক্রিকেট ডার্বির ক্ল্যাসিক ম্যাচ।

ম্যাচ কেমন টান টান ছিল? তা বোঝা যাবে স্কোরকার্ড দেখলেই। এক সময় শেষ আট বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৭ রান। স্কোরবোর্ডে তো আগেই ঝড় বইয়ে দিয়েছেন বেঙ্গালুরুর এবি ডি ভিলিয়ার্স। ৩০ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলে দলকে পৌঁছে দিয়েছিলেন ২০৫ রানে। তবে বিপক্ষে যে ধোনির ব্যাট রয়েছে! যার জেরে সে লক্ষ্যও নিরাপদ হলো না। টি-টোয়েন্টির সেই ভিন্টেজ ধোনিকেই দেখা গেল বুধবার।

ব্যাট করতে যখন নেমেছিলেন তখন ৭৪ রানে পড়ে গিয়েছে ৪ উইকেট। ওভার প্রতি ১২ রানের বোঝা চেপে বসেছে চেন্নাইয়ের কাঁধে। উল্টো দিকে অম্বাতি রায়ডুকে নিয়ে সেই শুরু ধোনির। ডি ভিলিয়ার্সের মতো ৩৬০ ডিগ্রিতে সব শট না খেললেও মারলেন ৭টি বিশাল ছয়। আর শেষ বলে লং অনের ওপর দিয়ে কোরি অ্যান্ডারসনের বল ফেললেন দর্শকাসনে। সঙ্গে সঙ্গে ৫ উইকেটের জয়ও নিশ্চিত হয়ে গেল।


সোনালীনিউজ/আরআইবি/আকন

Wordbridge School
Link copied!