• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

নতুন কৌশলে কতটা সফল বিএনপি?


নিউজ ডেস্ক মার্চ ১০, ২০১৮, ০৯:১২ পিএম
নতুন কৌশলে কতটা সফল বিএনপি?

ঢাকা: কারাগারে একমাস কেটে গেছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার। চেয়ারপারসনকে ছাড়াই এই এক মাস রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে দলটির। দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। কারাগার থেকে রাজনৈতিক নির্দেশনা দেয়ার সুযোগ নেই চেয়ারপারসনের। আইনি জটিলতার কারণে আগে থেকেই লন্ডনে অবস্থান করছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। গণমাধ্যমের প্রতি উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তারেক রহমানের বক্তব্য-বিবৃতি প্রচারে।

নেতাদের ওপর একদিকে কড়া আন্দোলনের চাপ তৃণমূলের, অন্যদিকে দলে ভাঙন ধরানোর নানামুখী ষড়যন্ত্র প্রতিহতের চ্যালেঞ্জ। পদে পদে ভুলের ফাঁদ, নৈরাজ্যের উস্কানি। পরিস্থিতি রীতিমতো শাঁখের করাত। কিন্তু এখন পর্যন্ত সকল ফাঁদ এড়িয়ে, উস্কানি অগ্রাহ্য করে, দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার পাশাপাশি নেতারা অহিংস কৌশলে এগিয়ে নিচ্ছেন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন। দল পরিচালিত হচ্ছে একটি যৌথ নেতৃত্বে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে নির্দেশনা ও সিনিয়র নেতাদের আলোচনাক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কর্মকাণ্ডে সমন্বকের দায়িত্ব পালন করছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই এক মাসে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে তারেক রহমানের সঙ্গে সিনিয়র নেতাদের দূরত্বের ব্যাপারে প্রচারণাটি। খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও জিয়া পরিবারের নেতৃত্বের প্রতি সারা দেশের নেতাকর্মীদের আস্থা প্রতিষ্ঠা পেয়েছে নতুন করে। দলটির কেন্দ্র থেকে তৃণমূল সবখানেই সুদৃঢ় হয়েছে নেতাকর্মীদের ঐক্য।

খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় নৈরাজ্যের সমূহ আশঙ্কাকে মিথ্যা প্রমাণ করে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে জনসমর্থন ঊর্ধ্বমুখী করেছে বিএনপি। এসময় প্রাধান্য পেয়েছে আন্দোলন কর্মসূচি। দলের এমন রাজনৈতিক ক্রান্তিকালে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দল ও জোটের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনের সঙ্গে পরামর্শক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, নেতাকর্মীদের নির্দেশনা প্রদান, চেয়ারপারসনের পক্ষে আইনি লড়াইয়ে আইনজীবীদের মধ্যে সমন্বয় সাধন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রাখা, কূটনীতিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা, কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ মিলিয়ে রীতিমতো ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি।

রায়ের আগের দিন সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে দুটি পরিষ্কার নির্দেশনা দিয়েছিলেন চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। প্রথমত, রায় বিপক্ষে গেলে গঠনমূলক কর্মসূচির মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন এগিয়ে নিতে হবে। দ্বিতীয়ত, কোনো কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সরকার সুযোগ নিতে পারে এমন কর্মসূচি দেয়া যাবে না। কিন্তু তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাপ ছিল কড়া কর্মসূচি ঘোষণার। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ৫ বছরের সাজা দিয়ে আদালত খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠালেও রাজপথে উত্তাপ সৃষ্টিকারী কর্মসূচির দিকে যায়নি বিএনপি। রাজনৈতিক মহলসহ সবখানে যে আশঙ্কা-আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দ্রুতই তা কেটে যায়। দলটির এমন অবস্থান প্রশংসা পেয়েছে সব মহলে।

খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেয়ার পর দুদিনের বিক্ষোভের মাধ্যমে শুরু হয় দলটির আন্দোলন কর্মসূচি। তারপর পর্যায়ক্রমে গণস্বাক্ষর অভিযান, জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান, গণ-অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। পুলিশের অনুরোধ মেনে কমিয়েছে গণ-অনশন কর্মসূচির সময়সীমা। রাজধানীতে সমাবেশ করতে না দেয়ার প্রতিবাদে প্রথমে কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করলেও রাজপথের উত্তাপ এড়াতে দলটি প্রদর্শন করে কালো পতাকা। সে কর্মসূচি পণ্ড করতে পুলিশ নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও নেতাদের ওপর রঙিন পানি ছিটালেও শান্তিপূর্ণভাবেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন নেতারা। পরে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি এবং ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

তারই ধারাবাহিকতায় নেতাদের তৃণমূল সফর, মুখে কালো কাপড় বেঁধে কারাগার অভিমুখে পদযাত্রাসহ নানা কর্মসূচিও রয়েছে নেতাদের প্রস্তাবনায়। শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল নেতাদের সংঘাত এড়ানোর তাগিদ দেয়া হচ্ছে বারবার।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানোর এক মাসের মাথায় ৭ই মার্চ বুধবার কারাগারে তার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পেয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির ৭ সদস্যসহ ৮ জন। কারাগারে চেয়ারপারসনের সঙ্গে দলটির নীতিনির্ধারক ফোরামের এতজন নেতার সাক্ষাতের অনুমতি নিয়েও রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে কৌতূহল। তবে চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে দলটির মহাসচিবসহ নেতারা জানিয়েছেন পুরনো পরিত্যক্ত কারাগারের বদ্ধ, স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে একাকিত্বের মধ্যেও মনোবল অটুট রয়েছে খালেদা জিয়ার। প্রথম তিনদিন ডিভিশন পাননি। কারাগারে খাচ্ছেন সাধারণ খাবার। ডান হাত ও হাঁটুতে সমস্যাসহ বয়সজনিত নানা অসুস্থতায় ভুগছেন। বাইরের চিকিৎসকের পরামর্শসহ চিকিৎসা সেবা প্রয়োজন তার। এত কিছুর পরও মনোবল হারাননি খালেদা জিয়া। নেতাদের পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত তিনি। বিএনপির রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে নেতাদের নির্দেশনা দিয়েছেন নিয়মতান্ত্রিক পথে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের। কোনো ধরনের উস্কানিতে পা না দিতে করেছেন সতর্ক।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাকে রাজনৈতিক মামলা হিসেবে দাবি করে এসেছে বিএনপি। কিন্তু আইনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে মামলাটি রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলার চেয়ে প্রাধান্য দেয় আইনি মোকাবিলায়। রায়ের পর রায়ের অনুলিপি পেতে, উচ্চ আদালতে নথি সরবরাহ ও জামিনে বিলম্বের পরও কড়া কর্মসূচির দিকে যায়নি বিএনপি। মামলাটিকে আইনিভাবে মোকাবিলা করার লক্ষ্য থেকেই দেশের শীর্ষস্থানীয় ও খ্যাতিমান একাধিক আইনজীবীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহায়তা চেয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার সে অনুরোধে সাড়া দিয়ে প্রত্যক্ষভাবে খালেদা জিয়ার মামলায় যুক্ত হয়েছেন দুজন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল। বেশ কয়েকজন খ্যাতনামা আইনজীবী কথা দিয়েছেন আইনি সহায়তা দানের। খালেদা জিয়ার মামলা নিয়ে আইনজীবীদের মধ্যে কিছুটা সমন্বয়হীনতা থাকলেও আন্তরিকতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন আসেনি। আইনজীবীরা সবাই খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে লড়ছেন একাট্টা হয়ে।

খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেয়ার পর দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে কয়েকটি বৈঠক করেছে বিএনপি। সেসব বৈঠকে নিজেদের পরিস্থিতি মোকাবিলাসহ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নিজেদের প্রস্তাব তুলে ধরার পাশাপাশি সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন নেতারা। জোটের নেতাদের সঙ্গেও একটি বৈঠক করেছে বিএনপি। এসব বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার নির্দেশনাগুলোতে গুরুত্বের সঙ্গে এবং ঐক্যমতের ভিত্তিতে গ্রহণ করেছেন সিনিয়র নেতারা।

এছাড়া একাধিক পেশাজীবী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। সে বৈঠকে দেয়া নির্দেশনার ভিত্তিতে পেশাজীবী সংগঠনগুলোর নেতারা বিভিন্ন জেলা সফর করছেন। অন্যদিকে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি দীর্ঘদিন ধরেই ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে আসছে দলটি। বিগত বেশ কয়েক বছরে সে আহ্বানে খুব বেশি সাড়া দেয়নি রাজনৈতিক দলগুলো। কিন্তু সর্বশেষ পরিস্থিতিতে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি আদায়ের ইস্যুতে বৃহত্তর প্লাটফর্ম বা জোটের জোট গঠনের ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। এ নিয়ে দেশে ও দেশের বাইরে কাজ করছেন রাজনীতিক ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দুর্নীতির মামলায় কারাগারে পাঠানোর পর বেশ কয়েকটি দল নিজেদের মধ্যে থাকা দুর্নীতিবাজদের বিচারের দাবি তুলে বিবৃতি দেয়ার মাধ্যমে চাপ তৈরি করেছেন সরকারের ওপর। জোট সম্প্রসারণ সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কয়েকজন নেতা আশা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দলগুলো অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি আন্তরিকভাবে সাড়া দিয়েছেন। এটা এগিয়ে নেয়ার মাধ্যমে আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আয়োজনের দাবিকে চূড়ান্ত পরিণতি দেয়া হবে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে ততই এ বৃহত্তর প্লাটফর্ম ও তাদের তৎপরতা পরিষ্কার হবে।

খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানোর পর কূটনীতিক তৎপরতা জোরদার করেছে বিএনপি। কূটনীতিকদের ডেকে ব্রিফ করার পাশাপাশি আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে কূটনীতিকদের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছেন দলটির সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। কারারুদ্ধ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিষয়ে খোঁজ-খবর নিতে ১১ই ফেব্রুয়ারি দলটির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান দুই মার্কিন কূটনীতিক। সেখানে অবস্থানরত দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন তারা। দুদিন পর ১৩ই ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কূটনীতিকদের ব্রিফ করে বিএনপি। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের আইনের লঙ্ঘন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত চার্জশিট, সাক্ষ্যপ্রমাণে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি, বিচার-প্রক্রিয়ায় দ্রুততা, কারাগারে ডিভিশন না দেয়া, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনে বিএনপিসহ দেশের বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলের দাবি এবং বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপির সে ব্রিফে অংশ নেন অন্তত ৪০টি দেশ ও সংস্থার প্রতিনিধিরা।

বাংলাদেশ সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা লিসা কার্টিসের সঙ্গে ৪ঠা মার্চ সাক্ষাৎ করেন বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। সফরে লিসা কার্টিসের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সাক্ষাতের শিডিউল না থাকলেও তিনি দেশে ফেরার আগে সাক্ষাতের সুযোগ মেলে বিএনপি নেতাদের। ওই বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসনের কারাবাসসহ সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি খালেদা জিয়াসহ সারা দেশের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চলমান ‘হয়রানিমূলক’ মামলা সংক্রান্ত ৪টি ডকুমেন্ট বইও তাকে হস্তান্তর করেন বিএনপি নেতারা।

এছাড়া ইইউ পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন কার্যালয়ে বৈঠক করেছেন দলটির নেতারা। কয়েক দিন আগে বৃটিশ হাইকমিশনারের বাসায় দেশটির কয়েকজন এমপি সঙ্গে বৈঠক করেছেন তারা। বিএনপির কূটনীতিক উইংয়ে কাজ করেন এমন কয়েকজন নেতা জানান, দেশে ও বিদেশে বিএনপি নেতাসহ শুভাকাঙ্ক্ষীরা কূটনীতিক তৎপরতা জোরদার করেছেন। ইতিমধ্যে কিছু বিষয়ে ইতিবাচক সাড়াও মিলছে। দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে জটিলতার ব্যাপারটি কূটনীতিকরা উপলব্ধি করতে পারছেন। চলমান পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে জোর দিয়েছে বিএনপি।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, কোনো দল নয়, দেশের জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্ব নিবিড় করার ব্যাপারে সম্প্রতি ঢাকাকে বার্তা দিয়েছে দিল্লি। সব মিলিয়ে অহিংস কৌশলে দলের চেয়ারপারসনের কারামুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায়ের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে চায় বিএনপি। দলটির নেতারা বলছেন, রাত যত গভীর হয়, দিনের আলো তত নিকটে আসে।-মানবজমিন

সোনালীনিউজ/জেএ

Wordbridge School
Link copied!