• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন প্রেসিডেন্টের জন্য ভোট দিচ্ছেন ফরাসিরা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক এপ্রিল ২৩, ২০১৭, ০৪:২৬ পিএম
নতুন প্রেসিডেন্টের জন্য ভোট দিচ্ছেন ফরাসিরা

ঢাকা: ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ চলছে। এ নির্বাচনে প্রতিযোগী প্রার্থীদের মধ্যে যে দুই প্রার্থী সবচেয়ে বেশি ভোট পাবেন, তাদের মধ্যে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দ্বিতীয় পর্বে। আর এ দ্বিতীয় পর্বের ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী মে মাসে।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত তিনদিন আগে থেকেই প্যারিসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এ জন্য ৫০ হাজার পুলিশ ও ৭ হাজার সেনা মোতায়ন করা হয়েছে।

কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা খবরে বলা হয়, এই ভোটের উপর শুধু ফ্রান্সেরই নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনেক কিছু নির্ভর করছে।

মোট ১১ জন প্রার্থী ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনের মাত্র দুই দিন আগে রাজধানী প্যারিসে ‘জঙ্গি হামলা’ নির্বাচনকে অনেকটাই প্রভাবিত করবে বলে মনে করা হচ্ছে। ওই ৫০ হাজার পুলিশ ও ৭ হাজার সেনা মোতায়ন করা।

প্রেসিডেন্ট প্রার্থীরা

জনমত সমীক্ষায় আপাতত সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছেন দুই প্রার্থী। অথচ তারা কেউই মূল স্রোতের দুই প্রধান রাজনৈতিক শিবির – রক্ষণশীল বা সমাজতন্ত্রী দলের নন। সবচেয়ে তরুণ প্রার্থী – মাত্র ৩৯ বছর বয়স্ক এমানুয়েল মাক্রোঁ মধ্যপন্থি প্রার্থী হিসেবে আসরে নেমেছেন। ‘এগিয়ে চলো’ নামের এক আন্দোলনের নেতা তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন চরম দক্ষিণপন্থি ন্যাশানাল ফ্রন্ট দলের নেত্রী মারিন ল্য পেন। তাদের ঠিক পরেই রয়েছেন রক্ষণশীল দলের প্রার্থী ফ্রঁসোয়া ফিয়ঁ। তারপর ব়্যাডিকাল বাম প্রার্থী জঁ লুক মেলাঁশোঁ। সমাজতন্ত্রী দলের প্রার্থী বেনোয়া আমোঁ সমর্থনের বিচারে খুবই পিছিয়ে রয়েছেন। শেষ পর্যন্ত যেই জয়ী হোন না কেন, তিনি আগামী ১৪ মে-র মধ্যে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদ-এর কাছ থেকে কার্যভার গ্রহণ করবেন।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরেও গরম থাকবে ফ্রান্সের রাজনৈতিক জগত। কারণ তার ঠিক পর – অর্থাৎ ১১ ও ১৮ই জুন সংসদ নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে। এমানুয়েল মাক্রোঁ যদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তার পক্ষে সংসদ নির্বাচনে লড়াই করা কঠিন হবে, কারণ মাত্র এক বছর আগে তার আন্দোলন শুরু হয়েছিল। তার কাঠামো এখনো পাকাপোক্ত হয়নি। সংসদ নির্বাচনে প্রতিষ্ঠিত দলগুলির সম্ভাবনাই বেশি। সেক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে সংঘাত অনিবার্য।

সোনালীনিউজ ডটকম/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!