• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নতুন বইয়ের ঘ্রাণে মাতোয়ারা শিক্ষার্থীরা


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ১, ২০১৭, ০১:১৭ পিএম
নতুন বইয়ের ঘ্রাণে মাতোয়ারা শিক্ষার্থীরা

ঢাকা: নতুন বছর মানেই ঘরভর্তি নতুন বইয়ের ঘ্রাণ। নতুন ক্লাসে ওঠার আনন্দ। নতুন বইয়ের মলাট বাঁধার আনন্দ। আর নতুন করে শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন দেখা, এবার ভালো করবই। আজ পহেলা জানুয়ারি রোববার সারা দেশে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তক উৎসব পালিত হয়। প্রথমবারের মতো এবার চাকমা, মারমা, সাদ্রী, ত্রিপুরা ও গারো ভাষায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিশুরা পাবে প্রাক-প্রাথমিকের ৭৭ হাজার বই ও শিক্ষা উপকরণ। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, পর্যায়ক্রমে বাকি নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদেরও দেয়া হবে এই বই। দেশের প্রায় ১০ লাখ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিশুদের বেশির ভাগের লেখাপড়ার শুরুটা ছিল বাংলাতেই। এবারই প্রথম মাতৃভাষায় রচিত বই ও শিক্ষা উপকরণ পাবে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিশুরা।

নতুন বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়ার মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় বই উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। রবিবার (১ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে বেলুন উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পাঠ্যপুস্তক উৎসবের উদ্বোধন করেন তিনি।

বছরের প্রথম দিন নতুন বই হাতে পেয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা আনন্দ-উল্লাসে বই উৎসব করছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নানা প্রতিকূলতার মধ্যে শুরু হওয়া বই উৎসব আমরা এখন ঐতিহ্যে পরিণত করেছি। এ উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জ্ঞানে-গুণে উজ্জ্বল প্রজন্ম হিসেবে গড়ে উঠবে।

নুরুল ইসলাম জানান, চার কোটি ৩৩ লাখ ৫৩ হাজার ২০১ জন শিক্ষার্থীর হাতে এবার ৩৬ কোটি ২১ লাখ ৮২ হাজার বই ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হচ্ছে। এ বছর সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৯ হাজার ৭০০টি ব্রেইল বই বিতরণ করা হচ্ছে। চাকমা, মারমা, সাদ্রী, ত্রিপুরা ও গারো ভাষায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিশুরা প্রথমবারের মতো পাবে প্রাক-প্রাথমিকের ৭৭ হাজার বই ও শিক্ষা উপকরণ। প্রাথমিকের ১১ কোটি ৫৫ লাখ ২৬ হাজার ৯৪২টি পাঠ্য বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে ছাপানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বই বিতরণের ছবি। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের সব শিক্ষক পাবেন নির্দেশিকা। এবার পাঁচটি ভাষায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থী ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেইল পদ্ধতিতেও বই ছাপা হয়েছে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।

পাঠ্যপুস্তকের উৎসবকে কেন্দ্র করে আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল প্রাঙ্গণে রাজধানীর প্রায় ৩১টি স্কুলের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। শিক্ষার্থীরা লাল, সবুজ রঙের ক্যাপ মাথায় পরে বই উৎসবে অংশ নেয়। এ সময় নতুন বই হাতে নিয়ে শিক্ষার্থীদের উল্লাস করতেও দেখা যায়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!