নদীতে পাওয়া গেল বুমরাহর দাদার লাশ, নেপথ্যে করুণ কাহিনী

ঢাকা: কয়েক মাস আগে ভারতের তারকা পেসার জসপ্রীত বমুরাহর দাদা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, তিনি নাতির সঙ্গে দেখা করতে চেয়েও পারেননি। এরপর কী হলো আর খবর পাওয়া যায়নি। রোববার হঠাৎ সবরমতী নদীতে ভেসে ওঠে এক ব্যক্তির লাশ। গান্ধী ব্রিজ ও দধিচি ব্রিজের মাঝে থেকে আহমেদাবাদ ফায়ার সার্ভিস সন্তোক সিংয়ের লাশ উদ্ধার করে। পরে জানা যায়, মৃত এই ব্যক্তি বুমরাহর দাদা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, নাতিকে দেখতে না পেয়ে হয়ত অভিমানে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।  

৮৪ বছরের সন্তোক সিং আহমেদাবাদে গিয়েছিলে নাতী বুমরাহর সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু শুক্রবার থেকেই তিনি নিরুদ্দেশ ছিলেন। পরিবার সূত্রে, এমনটাই জানানো হয়েছে। আহমেদাবাদ মিররের প্রতিবেদন জানাচ্ছে, সন্তোক সিংকে তাঁর মেয়ের বাসায় দেখা গিয়েছিল গত ১ ডিসেম্বর। জানা গেছে, ৫ ডিসেম্বর বুমরাহর জন্মদিনে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন দাদা সন্তোক সিং। কিন্তু দেখা করতে পারেননি। ৮ ডিসেম্বর সন্তোক ঝাড়খন্ডে তাঁর ছেলে বলবিন্দর সিংকে ফোন করে বলেন, তিনি তাঁর মৃত স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন।

উত্তরাখন্ডের কিচচা গ্রামে অটো চালাতেন সন্তোক সিং বুমরাহ। এক সময় তিনি বড় ব্যবসায়ীও ছিলেন। কিন্তু বুমরাহর বাবা জসবীরের মৃত্যুর পর সেই ব্যবসা পড়তে শুরু করে। সন্তোষ সব বিক্রি করে উত্তরাখন্ডে চলে যান। এরপর নাতীকে টেলিভিশনে দেখে তাঁর সঙ্গে দেখার করার ইচ্ছা পোষন করেন।

সন্তোকের পরিবার থেকে জানানো হয়েছে, তারা যখন বুমরাহর মা দলজিৎ কাউর যে স্কুলে পড়ান সেখানে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেন তখন তিনি ছেলের সঙ্গে দেখা করাতে চাননি। ফোন নম্বরও দিতে চাননি। এতে খুব কষ্ট পেয়েছিলেন সন্তোক। এরপর শুক্রবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি। তারপর আর ফেরেনি। বুমরাহর বোন জুহিকাকেও ফোন করেছিলেন সন্তোক বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবার।

জসপ্রীত বুমরাহ এই মুহূর্তে ভারতের হয়ে ওয়ানডে সিরিজ খেলছেন। রোববারই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে খেলেছে ভারত। এর মধ্যেই বুমরাহর দাদার লাশ পাওয়া গেল। এ ব্যাপারে বুমরাহর মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল, কিন্তু তিনি এ বিষয়ে কিছু জানাতে চাননি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আরআইবি/জেডআই