• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নববর্ষে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা


ময়মনসিংহ প্রতিনিধি এপ্রিল ১৬, ২০১৭, ০৯:৫৬ এএম
নববর্ষে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা

ময়মনসিংহ: জেলাবাসীকে নববর্ষের বাড়তি বিনোদন দিতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা। শনিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরের পর থেকেই বিভিন্ন বয়সের মানুষের ভিড় জমতে থাকে ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ মাঠে। উদ্দেশ্য তাদের ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা দেখার। হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে বিকাল চার টায় শুরু হয় প্রতিযোগিতা।

আয়োজকরা বলছেন, দেশের ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলোর সাথে নতুন প্রজন্মের পরিচয় করিয়ে দিতেই এমন আয়োজন। আর ঐতিহ্য ধরে রাখতে প্রতিবছর এই ধরনের প্রতিযোগিতা আয়োজনের দাবি স্থানীয়দের।

অনেকে এসেছে পরিবার নিয়ে, অনেক শিক্ষক এসেছে তাদের স্কুলের শিক্ষার্থীদের দিয়ে। নববর্ষে এই ধরনের আয়োজনে খুশি প্রতিযোগিতা দেখতে আসা দর্শকরা।

নতুন প্রজন্মের এক শিক্ষার্থী নাসরিন সুলতানা জানান, আগে কখনও দেখেনি গ্রাম বাংলার এই ঐতিহ্যবাহী ঘোড় দৌড় খেলা। আজকে বাবা ও ভাইয়ার সাথে খেলা দেখতে এসছি।

ময়মনসিংহের সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক তানভির খান বলেন, ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য প্রতিবছর এই ধরনের প্রতিযোগিতা আয়োজন করার দাবি জানাই।

প্রতিযোগিতার আয়োজক ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, দেশের ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলোর সাথে ময়মনসিংহবাসীর পরিচয় করিয়ে দিতে এবং তাদের বিনোদনের ব্যবস্থা করার জন্যই এমন আয়োজন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে সরকারের জাতীয় দিবসগুলোতে এ ধরণের আয়োজন করা চিন্তাও আছে আমাদের।

ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মো. খলিলুর রহমান বলেন, আমাদের লোকজ ঐতিহ্যের যে সংরক্ষন ও তার পৃষ্টপোশকতার বিষয়গুলো ধরে রাখতে ঘন ঘন আমাদের এসব অনুষ্টানের আযোজন করা উচিত।

ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বাঙ্গালীর ঐতিহ্য ঘোড় দৌড় প্রতিযোগীতা। এই ধরণের একটি আয়োজন আমাদের জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ।

ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার জিএম সালেহ উদ্দিন বলেন, আজকের অনুষ্ঠানে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি প্রমান করে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে মানুষ এখনও লালন করে। নববর্ষের অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতায় আজকের এই অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে আসতে পেরে আমারও খুর ভালো লাগছে।

প্রতিযোগিতায় ৬টি ইভেন্টে ১০টি জেলার মোট ৫০জন ঘোড় সওয়ার অংশগ্রহন করে। প্রতিযোগিতা শেষে ৬টি ইভেন্টে ১৮জন প্রতিযোগীকে পুরস্কৃত করা হয়। খেলায় প্রথম পুরস্কার ছিলো  ফ্রিজ, রঙ্গিন টেলিভিশন, মোবাইল, বৈদুতিক পাখা। ৬টি ইভেন্টের মধ্যে সেরা হয়েছে টাঙ্গাইলের শখিপুরের প্রতিবন্ধী কিশোর রনি।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!