• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘নবাব’ ও ‘বস-টু’ নিয়ে বিবৃতি দিলো তথ্য মন্ত্রণালয়


বিনোদন প্রতিবেদক জুন ২৯, ২০১৭, ০৩:৩০ পিএম
‘নবাব’ ও ‘বস-টু’ নিয়ে বিবৃতি দিলো তথ্য মন্ত্রণালয়

ঢাকা: ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত চলচ্চিত্র ‘নবাব’ ও ‘বস-২’ মুক্তির ক্ষেত্রে সরকারের কোনো প্রভাব বিস্তারের সুযোগ ছিল না বলে জানিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়। ‘যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত চলচ্চিত্র মুক্তির বিষয়টি স্পষ্টীকরণ’ শিরোনামের এক বিবৃতিতে বুধবার (২৮ জুন) তথ্য মন্ত্রণালয় এ কথা জানায়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত দু’টি চলচ্চিত্র ‘নবাব’ ও ‘বস-২’ মুক্তির বিরোধীতা করে পত্র-পত্রিকা, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত কিছু মন্তব্য তথ্য মন্ত্রণালয়ের নজরে এসেছে।

এতে বলা হয়, যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে এবং এ নীতিমালার আলোকে যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্র নির্মাণের বিষয়টি তদারক করার জন্য এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে প্রধান করে চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পীদের প্রতিনিধির সমন্বয়ে ‘যৌথ প্রযোজনা চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রিভিউ কমিটি’ রয়েছে। এ প্রিভিউ কমিটি যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য চিত্রনাট্য কলাকুশলীর সংখ্যাসহ পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব নীতিমালা অনুযায়ী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অনুমোদন দেয়ার পরই কেবল যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করা যায়।

যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্র নির্মাণ শেষে আবারও এ প্রিভিউ কমিটির কাছে জমা দিতে হয় জানিয়ে ওই বিবৃতিতে বলা হয়, প্রিভিউ কমিটি ফের নির্মিত চলচ্চিত্রটি নীতিমালা অনুযায়ী নির্মাণ হয়েছে কি-না, তা পুঙ্খানুপূঙ্খভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ছাড়পত্র দিলেই চলচ্চিত্রটির নির্মাতা বা প্রযোজক তা সেন্সর সনদের জন্য সেন্সর বোর্ডে জমা দেন। সেন্সরবোর্ড অন্যান্য চলচ্চিত্রের মতোই সেন্সর আইন অনুযায়ী চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে কি-না, তা পরীক্ষা করে। কর্তন-বিয়োজনের পরামর্শ থাকলে, তা দেয়।

এতে অরও বলা হয়েছে, নির্মাতা বা প্রযোজক কর্তৃক কর্তন-বিয়োজন করে পুণরায় সেন্সর বোর্ডে জমা দিলে, সেন্সর বোর্ড ফের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আইন অনুযায়ী সেন্সর সনদ প্রদান করে। সেন্সর সনদপ্রাপ্ত যে কোনো চলচ্চিত্রের মতোই যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত চলচ্চিত্র মুক্তির বিষয়টি চলচ্চিত্রটির নির্মাতা বা প্রযোজক, পরিবেশক, প্রদর্শকদের নিজস্ব বিষয়। এ সামগ্রিক প্রক্রিয়ায় কোথায়ও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রভাব বিস্তার করা বা আইনের বাইরে পা ফেলার সুযোগ নেই।  

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র দু’টিতেও একই নীতি অনুসৃত হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে কোথায়ও কোনো প্রভাব বিস্তার করা বা আইনের বাইরে থাকার সুযোগ ছিল না।

যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত চলচ্চিত্র ‘বস-২’ এর বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে দেয়া লিখিত অভিযোগটিও বিধি অনুযায়ী মন্ত্রণালয় সঙ্গে সঙ্গেই প্রিভিউ কমিটির কাছে পাঠিয়েছে জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, প্রিভিউ কমিটি অভিযোগটি পুঙ্খানুপূঙ্খভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সর্বসম্মতিক্রমে ‘অনাপত্তি’ ছাড়পত্র প্রদান করে। প্রিভিউ কমিটির ‘অনাপত্তি’ ছাড়পত্র পাবার পর ‘বস-২’ এর নির্মাতা বা প্রযোজক সেন্সর সনদের জন্য সেন্সর বোর্ডে জমা দেন। সেন্সরবোর্ড আইন অনুযায়ী চলচ্চিত্রটি দেখে সেন্সর সনদপত্র প্রদান করে। ছবি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির বিষয়টি চলচ্চিত্রটির নির্মাতা বা প্রযোজক, পরিবেশক, প্রদর্শকদের একান্ত নিজস্ব বিষয়।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিতে সরকার ও সরকারের সকল সংস্থা বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে তথ্য মন্ত্রণালয় কোনো ব্যক্তিস্বার্থ রক্ষা বা হীন উদ্দেশ্যে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য প্রদান বা গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য সকলকে অনুরোধ জানিয়েছে।

প্রসঙ্গত, যৌথ প্রযোজনার নিয়ম না মেনে এ দু’টি সিনেমা নির্মিত হয়েছে বলে অভিযোগ আনে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও পরিচালক সমিতি। এ সিনেমাগুলি মুক্তি না দিতে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা আন্দোলনও করেন।

অভিযোগ আছে, অনিয়ম দেখার পর যৌথ প্রযোজনা বিষয়ক প্রিভিউ কমিটি ‘আপত্তিপত্র’ দিলেও পরে তথ্য মন্ত্রণালয় বিষয়টি ‘পুনর্বিবেচনা’ করে দেখতে বললে ছবি দুটি সম্পর্কে ‘অনাপত্তি’ জানায় কমিটি। এরপরই সেন্সর বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে মুক্তি পায় ছবি দুটি।

নিয়ম না মেনে ছবি দু’টি অনুমোদন পাওয়ার অভিযোগ এনে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড থেকে পদত্যাগ করেন পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেএ

Wordbridge School
Link copied!