• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নব্য জেএমবির নতুন নেতৃত্বে তামিম দ্বারী


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ২৮, ২০১৭, ০৭:৪৩ পিএম
নব্য জেএমবির নতুন নেতৃত্বে তামিম দ্বারী

ঢাকা: সাভার থেকে জেএমবির সরোয়ার-তামিম গ্রুপের আটক তিন সদস্যের মধ্যে একজন হলেন তামিম দ্বারী। যিনি সারোয়ার জাহান ও তামিম চৌধুরীর পর নব্য জেএমবির নেতৃত্বে আসেন। এই দ্বারী অনেক আগে থেকেই তামিম চৌধুরীকে সহযোগিতা করে আসছিলেন।

শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে সাভারে অভিযান চালিয়ে এই তামিম দ্বারীসহ কামরুল হাসান ওরফে কাজল ওরফে নুরুদ্দিন (২৬) ও মোস্তফা মজুমদার ওরফে শিহাব ওরফে হামজাকে (৩২) আটক করে র‌্যাব সদস্যরা।

এদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলি, ২টি ম্যাগাজিন, প্রায় এক কেজি প্লাস্টিক এক্সপ্লোসিভসহ আইইডি তৈরির সরঞ্জাম, ৩টি চাকু, ১টি চাপাতি, ১টি ল্যাপটপসহ বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধার করা হয়।

কমান্ডার মুফতি মাহমুদ জানান, র‌্যাবের তদন্তে বের হয়ে আসে তামিম দ্বারীর নাম। গুলশানের হলি আর্টিসান হামলার কয়েক বছর আগ থেকেই তামিম চৌধুরীর (নিহত) সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল দ্বারীর। তারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৈঠক করে নাশকতার পরিকল্পনাও করেছেন।

নব্য জেএমবির সারোয়ার-তামিম গ্রুপ সে সময় বিদেশ থেকে নৌ-পথে বাংলাদেশে অস্ত্র-গোলাবারুদ নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছিল। এজন্য তারা জাহাজে নিজেদের লোক রিক্রুট করার চেষ্টা করছিল। হাতিয়ায়সহ উপকূলীয় অঞ্চলে তাদের বেশ কিছু ট্রলার রয়েছে। সারোয়ার জাহান ও তামিমের পর এসব পরিকল্পনার নেতৃত্বে আসেন তামিম দ্বারী।

মুফতি মাহমুদ আরো বলেন, ২০১৫ সালের জুলাইয়ে তামিম দ্বারী আইএমটিএতে ভর্তি হন। সেখানে পড়াশোনা করার সময় তামিম চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজনের সঙ্গে মহাখালী, গুলশান, বনানী ও উত্তরায় বৈঠক করেন।

গত বছরের আগস্টে নারায়ণগঞ্জে পুলিশের অভিযানে তামিম চৌধুরী নিহত হলে বসুন্ধরা-৪ জাহাজে যোগ দেন দ্বারী এবং একই বছরের নভেম্বরে চাকরি ছেড়ে দেন। এরপর চলতি বছরের জানুয়ারিতে ঘর ছেড়ে অন্য সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে শুরু করেন।

তামিম দ্বারীর সঙ্গে আটক অপরজন কামরুল হাসান। তার বাবা বিডিআর বিদ্রোহের অভিযোগে ৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত। ২০০৬ সালে কুমিল্লার একটি মাদরাসায় লেখাপড়ার সময় জঙ্গিবাদে আকৃষ্ট হন কামরুল। ২০১৪ সালে তামিম চৌধুরী ও তামিম দ্বারীর মাধ্যমে জিহাদে উদ্বুদ্ধ হন। ২০১৬ সালের নভেম্বরে ঘর ছাড়েন কামরুল।

অন্যদিকে আটক মোস্তফা মজুমদার কুমিল্লা পলিটেকনিক থেকে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করে ২০০৭ সালে পাওয়ার গ্রিড অব কোম্পানি বাংলাদেশে উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দেন। কর্মজীবনে এসে একই মনোভাবাপন্নদের সংস্পর্শে এসে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়েন।

সোনালীনিউজ/এন

Wordbridge School
Link copied!