• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

নব্য জেএমবির ১২ অর্থায়নকারী শনাক্ত


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ১১, ২০১৬, ০৯:১৪ এএম
নব্য জেএমবির ১২ অর্থায়নকারী শনাক্ত

নব্য জেএমবির তহবিলে অর্থায়নকারী অন্তত ১২ জনকে শনাক্ত করেছে র‌্যাব। শনিবার ঢাকার অদূরে আশুলিয়ার বাইপাইলে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের পর সেখানে পাওয়া কিছু আলামত থেকে জেএমবির অর্থায়নকারীদের নাম-পরিচয় বেরিয়ে আসে। তবে কৌশলগত কারণে এখনই অর্থায়নকারীদের নাম প্রকাশ করতে চায় না র‌্যাব। তারা বলছে, আস্তানাটি ছিল জেএমবির অর্থের সমন্বয়কারী আবদুর রহমান ওরফে নাজমুল হোসেনের। অভিযানে তার বাসা থেকে ৩০ লাখ টাকাসহ বেশ কিছু সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় রহমানের স্ত্রী শাহনাজ আক্তার রুমিকে। বাইপাইলের ওই বাসা থেকে সাতক্ষীরার ঠিকানা সংবলিত একটি মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) পাওয়া গেছে। পাসপোর্টে রহমানের বাবার নাম আবদুল্লাহ ও মা রাজিয়া খাতুন উল্লেখ করা হয়েছে। এরই মধ্যে সাতক্ষীরার ওই ঠিকানায় খোঁজ নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেখানে আবদুল্লাহ ও রাজিয়া দম্পতির খোঁজ পেয়েছে। তবে আবদুর রহমান নামে তাদের কোনো সন্তান নেই। রফিকুল নামে ওই দম্পতির এক সন্তান আছে। বাইপাইলে র‌্যাবের অভিযানের পর পাঁচতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত এবং পরে নিহত আবদুর রহমানের সঙ্গে রফিকুলের চেহারার মিল নেই। এখন প্রশ্ন উঠেছে, আবদুর রহমান ভুল নাম-পরিচয় দিয়ে পাসপোর্ট নিয়েছিল, নাকি তার পাসপোর্টটি নকল। এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে পাসপোর্ট সার্ভারে থাকা তথ্যের সঙ্গে আবদুর রহমানের পাসপোর্টের তথ্য মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া গাজীপুরে র‌্যাবের অভিযানে নিহতদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাওয়া গেছে। তবে এনআইডিতে দেওয়া ঠিকানায় তাদের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে, জঙ্গিরা কি নকল পরিচয়পত্রও তৈরি করছে?

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান জানান, আবদুর রহমান পাসপোর্টে যে ঠিকানা ব্যবহার করেছে, সেটা সঠিক নয়। তার প্রকৃত পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।

র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদ বলেন, জেএমবির তহবিলে অর্থায়নকারী অন্তত ১২ জনের নাম পাওয়া গেছে। তাদের আইনের আওতায় আনতে সব ধরনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, নব্য জেএমবির অর্থের সমন্বয়ক আবদুর রহমানের নামটি প্রকৃত নয়। এটি তার সাংগঠনিক নাম। দীর্ঘদিন ধরে সে নব্য জেএমবির অর্থ শাখার দায়িত্বে ছিল। সাধারণত নব্য জেএমবির যেসব সদস্য পুরো পরিবার নিয়ে হিজরত করে সংগঠনে যোগ দিত, তারা সবাই স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে আসত। ওই সম্পত্তি বিক্রি করা অর্থ জমা রাখা হতো আবদুর রহমানের কাছে। এমনকি বিদেশ থেকে প্রাপ্ত অর্থও জেএমবির তহবিলে রাখা হতো। সংগঠনের অর্থ ব্যয়ের পুরো বিষয়টি সমন্বয় করত রহমান। রহমানের তহবিলে বিভিন্ন সময় অর্থ দিয়েছে তানভীর কাদেরী, তামিম চৌধুরী ও মেজর (অব.) জাহিদুর রহমান।

দায়িত্বশীল একটি সূত্র বলছে, রহমান যদি ভুল নাম-পরিচয় দিয়ে পাসপোর্ট তৈরি করে থাকে, তাহলে সেটি হবে অত্যন্ত আশঙ্কার বিষয়। আবার নকল পাসপোর্ট তৈরি করলে সেটিও সমানভাবে উদ্বেগজনক। এতে প্রমাণিত হবে যে, নকল পাসপোর্ট তৈরির সক্ষমতা রাখে জঙ্গিরা!

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!