• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফর

নাফিস, মারুফ নাকি অন্য কেউ?


ক্রীড়া প্রতিবেদক ডিসেম্বর ৪, ২০১৬, ০১:০০ পিএম
নাফিস, মারুফ নাকি অন্য কেউ?

দেখতে দেখতে জমজমাট বিপিএল এখন শেষ পর্যায়ে। আজই শেষ হবে লিগ পর্বের খেলা। এরপর আগামীকাল নক আউট, সুপার ফোরের খেলা। ফাইনাল ম্যাচ হবে আগামী ৯ ডিসেম্বর। এরপরেই অতিথি ক্রিকেটাররা ফিরে যাবেন নিজ নিজ দেশে। স্থানীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে তোড় জোড় শুরু হয়ে যাবে নিউজিল্যান্ড সফরের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে সফরের তিন ফর্মেটের ক্রিকেটের জন্য জাতীয় দল ঘোষনাও করা হয়েছে। তবে জাতীয় দলে আরো কিছু পরিবর্তন, পরিবর্ধন হওয়ার ইঙ্গিত থাকছে বিসিবি থেকে। বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সে ঘোষনাই দিয়ে রেখেছেন। অর্থাৎ যারাই বিপিএলে নিজেদের প্রমান করতে পারবেন তাদের মধ্য থেকে কাউকে বেচে নেয়ার গন্ধ মিলেছে বোর্ড সভাপতির কথায়। 

তাই বিপিএলের শেষ পর্যায়ে আসতেই ক্রিকেটাঙ্গনে আলোচনা, কারা নিউজিল্যান্ড সফরে জায়গা পাচ্ছেন? আজই তাদের নাম ঘোষনা করা হতে পারে। বিসিবি সূত্রে এমনটাই শোনা যাচ্ছে। তবে ভিতরের খবর হচ্ছে বিপিএলের পারফরম্যান্সের বিচারে চারজন ক্রিকেটার নির্বাচকদের দৃষ্টিতে এসেছে। এরা হচ্ছেন নাসির, রাব্বি, শাহরিয়ার নফিস ও মেহেদি মারুফ। এদের ভেতর থেকে যে কাউকে দলে ডাকা হতে পারে।

এই সফরের দলে থাকা মোহাম্মদ শহীদ ইনজুরিতে পড়ায় পেসারদের জন্য একটি জায়গা খালি হয়েছে। সেখানে কে ডাক পাবেন সেটা নিয়েও চলছে আলোচনা। গতকাল তিন পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি, রুবেল হোসেন এবং আল-আমিন হোসেনের ফিটনেস পরীক্ষা হয়ে গেলো। তিনজনের মধ্যে আল-আমিনের সম্ভাবনা ছিল বেশি। কেননা তার ফিটনেস অন্য দুজনের চেয়ে এগিয়ে। কিন্তু চট্টগ্রামে খেলতে যেয়ে যে কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তাতে আল আমিনের বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে যেতে পারে। অন্য দিকে রুবেলের প্রতিও খুব একটা সন্তষ্টু নন ক্রিকেট কর্তারা। 

সে যাই হোক সবই পরিস্কার হয়ে যাবে নতুন করে বিসিবি’ ঘোষনায়। এরপরেই এদের নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় ক্যাম্প করার কথা। সেখান থেকেই নিউ জিল্যান্ডে পাড়ি দিবে বাংলাদেশ। আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত সেখানে তিনটি ওয়ানডে, দুটি টেস্ট এবং দুটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। 

তবে ফিরে দেখা যাক গতকাল পর্যন্ত চলতি বিপিএলে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স

ব্যাটিংয়ে সবাইকে ছাড়িয়ে শীর্ষে আছেন তামিম ইকবাল। ৪২৫ রান করেছেন তামিম ইকবাল। তার স্ট্রাইকরেট ১১৬.৭৫।

মেহেদী মারুফ ১১ ম্যাচে করেছেন ৩১৬ রান। সর্বাধিক রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় আছেন চতুর্থ স্থানে। প্রথম ১৫ জনের ভেতর তার স্ট্রাইক রেট সবচেয়ে বেশি, ১৪১.০৭। 

শাহরিয়ার নাফিস শুরুতে ভালো করলেও শেষ কয়েক ম্যাচে আগের মতো ভালো করতে পারেননি। ১২ ম্যাচে তার সংগ্রহ ২৭৮।

ঢাকার হয়ে খেলা অলরাউন্ডার নাসির হোসেন ১১ ম্যাচে রান করেছেন ১৫৮। উইকেট নিয়েছেন ৪টি। নাসির খুব একটা বল করার সুযোগ পাচ্ছেন না। এখন পর্যন্ত মাত্র ১২.৪ ওভার হাত ঘুরিয়েছেন। রাব্বি ৮ ম্যাচে ২০ ওভার বল করে উইকেট নিয়েছেন ৬টি। নাসির শুধু বিপিএলেই নয় সর্বশেষ যে কটি আন্তর্জাতিক কিংবা ঘরোয়া ম্যাচ খেলেছেন, সব জায়গায় ভালো করেছেন।

গত দুই বছরে জাতীয় দলের দ্বিতীয় সেরা স্পিনার তিনি। ১৭ ম্যাচে ২৮.২২ গড়ে ১৮টি উইকেট তার। ২৮.০৩ গড় নিয়ে কেবলমাত্র সাকিব তার উপরে আছেন। বরং ইকোনোমি রেটে সাকিবের চেয়ে অনেক এগিয়ে তিনি। ৪.৪১ ইকোনমি রেট নিয়ে মোস্তাফিজ বাদে সবার উপরে তিনি। মোস্তাফিজও তার থেকে খুব একটা এগিয়ে নন, ৪.২৭।

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও নাসির ছিলেন সেরার দৌড়ে। ব্যাটিংয়ে ৭৫’র বেশি গড় নিয়ে কেবল মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের পেছনে। গত বিশ্বকাপেও নাসির ছিলেন নাসিরের মতো। তিন ম্যাচে মাঠে নামানো হয়েছিল। তিনটিতেই সবচেয়ে ভালো বোলিং গড় তার। ইকোনোমি রেটেও ছিলেন দ্বিতীয়। ইংল্যান্ড সিরিজের শেষ দুই ম্যাচেও নাসির সবার নজর কাড়েন। দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেতে তার অবদান ছিল। তৃতীয় ম্যাচে দল হারলেও ব্যাটে-বলে নাসির অন্যদের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন।

তবে কোচের সঙ্গে ঝামেলার কারণে মাঠে নামা হয় না তার। এই কাহিনী পুরনো। শোনা যাচ্ছে, নাসিরের ব্যাপারে নরম হচ্ছেন না কোচ হাথুরুসিংহে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই
 

Wordbridge School
Link copied!