• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাংলার ‘সুয়েজ খালে’ নাব্য সংকট, নৌ চলাচল ব্যাহত


মো. আমিনুল ইসলাম, ঝালকাঠি মে ২৫, ২০১৭, ১০:২৫ এএম
বাংলার ‘সুয়েজ খালে’ নাব্য সংকট, নৌ চলাচল ব্যাহত

ঝালকাঠি: বাংলার সুয়েজ খাল খ্যাত ঝালকাঠির গাবখান চ্যানেলের নাব্যতা হ্রাস পাওয়ায় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বরিশালের সঙ্গে খুলনা, মংলা, মোরেলগঞ্জসহ বিভিন্ন নৌ-বন্দরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এতে নৌ-পথ নির্ভর দেশের দক্ষিণাঞ্চল বিশেষ করে উপকূলীয় আঞ্চলের যাতায়াত ব্যাবস্থা এবং অর্থনীতির চাকা অচল হয়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে।

জরুরিভিত্তিতে চ্যানেলটি খনন করে নৌ-যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এ সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় চ্যানেলটি ড্রেজিংয়ের উদ্যোগ নেয়া যাচ্ছে না এমনটিই জানিয়েছে নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ।

ঝালকাঠির সুগন্ধা-বিষখালীর সঙ্গে পিরোজপুরের সন্ধ্যা নদীর সংযোগ ঘটিয়েছে বাংলার সুয়েজ খাল খ্যাত ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘের গাবখান চ্যানেল। ব্রিটিশ শাসনামলে ঝালকাঠি অংশে প্রায় ১০ কিলোমিটার নদী খনন করে এ সংযোগ ঘটানোর মাধ্যমে ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশালের সঙ্গে খুলনা, মংলা, মোড়েলগঞ্জ, হুলারহাটসহ গুরুত্বপূর্ণ নৌ-বন্দরগুলোর দূরত্ব প্রায় দুইশ কিলোমিটার কমিয়ে আনা হয়।

কিন্তু দীর্ঘ দিন কার্যকর ড্রেজিংয়ের কাজ না করায় চ্যানেলটির নাব্যতা আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে, সেইসঙ্গে মোহনাসহ বিভিন্ন স্থানে জেগে উঠেছে অসংখ্য চর। ফলে এখন এই চ্যানেল দিয়ে ভাটার সময় মাঝারি আকারের নৌ-যানও চলাচল করতে পারে না, অপেক্ষা করতে হয় জোয়ারের জন্য।

বড় নৌ-যানগুলো প্রায় দু’শ কিলোমিটার বেশি ঘুরে বঙ্গপোসাগর হয়ে চলাচল করে। মাঝারি নৌ-যানগুলো জোয়ারের সময়ও অত্যন্ত ধীরগতিতে সতর্কতার সঙ্গে এ চ্যানেল অতিক্রম করে। এক প্রান্ত দিয়ে চ্যানেলে নৌ-যান ঢুকলে অন্য প্রান্ত বন্ধ রাখতে হয়। এতে একদিকে যেমন যাত্রী এবং পণ্য পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে, অন্যদিকে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে বলে চ্যানেল ব্যবহারকারীরা জানান।

কয়েকজন নৌযান চালক জানান, ভয়ে ভয়ে তাদের জাহাজ নিয়ে এই চ্যানেলে প্রবেশ করতে হয়। কখন ডুবোচরে জাহাজ আটকে যায় তা নিয়ে তারা শঙ্কায় থাকেন।

নৌ চালকদের অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে গাবখান চ্যানেলের ইজারাদার খান সাইফুল্লা পনির বলেন, ‘চ্যানেলটি ড্রেজিংয়ের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন জানিয়েও লাভ হয়নি। বিগত বছর ড্রেজিং শুরু করেও অজ্ঞাত কারণে আবার বন্ধ হয়ে যায়।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিএর বন্দর ও পরিবহন বিভাগ বরিশালের যুগ্ম-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোস্তফিজুর রহমান বলেন, ‘গাবখান চ্যানেলের এ সমস্যা সম্পর্কে আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ না আসায় এ মুহূর্তে প্রয়োজনীয় কোন পদক্ষেপ নিতে পারছি না।’

এদিকে জরুরি ভিত্তিতে চ্যানেলটি খনন করে নদীপথ নির্ভর এ অঞ্চলের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন গাবখান চ্যানেল সংশ্লিষ্টরা।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!