• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নাম পরিবর্তন করতে চায় ফারমার্স ব্যাংক


জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৮, ০২:৪৯ পিএম
নাম পরিবর্তন করতে চায় ফারমার্স ব্যাংক

ঢাকা: গ্রাহকদের আস্থা ফেরানোসহ অমূল পরিবর্তনের লক্ষ্যে আগামী জুনের মধ্যেই ফারমার্স ব্যাংকের নাম ও লোগোর পরিবর্তনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকটির কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে ব্যাংকটি তারল্য সঙ্কটে ভুগছে। এমনকি নগদ টাকার সঙ্কটে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন পর্যন্ত দিতে পারছে না।

নাম ও লোগো পরিবর্তন করে বদনাম মুছতে চায় নতুন প্রজন্মের এ ব্যাংকটি। এর সত্যতা স্বীকার করে ফারমার্স ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এহসান খসরু বলেন, ব্যাংটির রিব্র্যান্ডিং এর জন্যই নামে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। পুরাতন লোগোর পরিবর্তে নতুন লোগো তৈরি করা হবে।

তিনি আরও জানান, রিব্র্যান্ডিং এর পূর্বে মূলধনের ঘাটতি পূরণ, তারল্য সঙ্কট দূর, সিআরআর ও এসএলআর সমন্বয় করে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে আসার পর রিব্র্যান্ডিং করা হবে।

জানা গেছে, চলতি মাসের শেষ দিকে অথবা আগামী মাসের প্রথমেই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ আসবে। এজন্য ১২টি প্রতিষ্ঠান অনুমোদন পেয়েছে। আর দুটি এখনো প্রক্রিয়াধীন আছে। এসব প্রতিষ্ঠান প্রায় ১৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। আর বন্ড ছেড়ে এ ব্যাংক ৫০০ কোটি টাকা তুলতে চায়। সে বিষয়েও অনুমোদন পেয়েছে ব্যাংকটি।

ব্যাংটির পরিচালন পর্ষদে পুনর্গঠন করার পর ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদেও পরিবর্তন আসছে। এর ফলে গ্রাহকদের মধ্যে আস্থার সঙ্কট দেখা দেয়ায় গ্রাহকরা তাদের আমানত নিচ্ছেন। এদিকে দেনা পরিশোধে এনবিআরের কাছে ৬ মাস সময় চেয়েছে ব্যাংকটি। জুন পর্যন্ত সময় চাওয়া হয়েছে। তবে এনবিআর বলছে, বিদ্যমান আইনে সময় বাড়ানোর সুযোগ নেই।

বর্তমানে ফারমার্স ব্যাংকের শাখা সংখ্যা ৫৬টি। সর্বশেষ গত ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ব্যাংকটিতে আমানতের পরিমাণ চার হাজার ৫৯২ কোটি টাকা। আর ঋণ দিয়েছে ৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

প্রসঙ্গত, গত ৪ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিমকোর্টের নতুন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে সংবর্ধনা প্রদানকালে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছিলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে বিচার বিভাগের অবক্ষয় ঘটেছে। তবে আদালতের ভাবমূর্তি উন্নত করতে নতুন প্রধান বিচারপতির পদক্ষেপে নিঃশর্তভাবে সমর্থন করবেন বলে জানান তিনি।

মাহবুবে আলম আরও বলেন, ইতিপূর্বে একজন প্রধান বিচারপতিকে সংবর্ধনা দেয়ার সময় আদালতের অবক্ষয়ের কিছু নমুনা তুলে ধরেছিলাম। এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি তদন্তের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তদন্ত অনেকটা অগ্রসরও হয়েছিল, কিন্তু যখন পরবর্তী প্রধান বিচারপতি এলেন, ওনার দফতর থেকে সেই ফাইলটা নিখোঁজ হয়ে গেল।

অ্যাটর্নি জেনারেলের ওই বক্তব্যের সূত্র ধরেই মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বিচার বিভাগে নানা অনিয়ম নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম কথায় সত্যতা আছে।

সোনালীনিউজ/আতা

Wordbridge School
Link copied!