• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

নারায়ণগঞ্জে জেএমবির তিন সদস্য গ্রেপ্তার


নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭, ০৪:২৬ পিএম
নারায়ণগঞ্জে জেএমবির তিন সদস্য গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জ: জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেএমবির ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৭টি জিহাদী বই, ৪৬টি লিফলেট, ৫টি চাকু ও চাপাতি, ৫টি ককটেল, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, ২টি স্কচটেপ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ময়মনসিংহ জেলার মুক্তগাছা থানার মো. মোস্তফা (২৫), একই জেলার ফুলবাড়িয়া থানার আবু রায়হান ওরফে হিমেল (২৪) ও ঢাকার ধামরাইয়ের মো. শরিফুল ইসলাম ওরফে শাহীন (২১)।

সোমবার দুপুর ২টায় র‌্যাব-১১ সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল কামরুল হাসান জানান, আমাদের প্রাথমিক ধারণা হয়তো একুশে ফেব্রুয়ারিতে কোন নাশকতার উদ্দেশ্য ছিল তাদের। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনজনই জেমএবিতে সম্পৃক্ততা স্বীকার করেছে। তারা এও জানিয়েছে, জেএমবির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাক্তন আমীর এবং মৃত্যুদণ্ড সাজা কার্যকর হওয়া শায়েখ আব্দুর রহমানের পথ অনুসরণকারী। ৩ জন নিজ নিজ এলাকা ও এলাকার বাহিরেও সাংগঠনিক বিভিন্ন ছদ্ম নাম ব্যবহার করে সংগঠনের কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিল।

র‌্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃত মো. শরিফুল ইসলাম ওরফে শাহীন ধামরাইয়ের শরফবাগ ইসলামিয়া কামেল মাদ্রাসা থেকে ৯ম শ্রেণি পাশ করে। সে ২০১৫ সালের প্রথম দিকে কাঠ মিস্ত্রির কাজ করার জন্য ঘাটাইলে একটি কাঠের দোকানে কাজ করে। ২০১৫ সালে মোস্তফা ও সাকিবের মাধ্যমে সংগঠনে যোগদান করে এবং সংগঠনের সিদ্ধান্তে সে গ্রেপ্তারকৃত মোস্তফার শ্যালিকাকে বিয়ে করে। পরবর্তীতে সে বাটা জুতার কোম্পানিতে কিছুদিন কাজ করে। সে অস্ত্র প্রশিক্ষণের জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে। আইন-শৃংখলা বাহিনীর জঙ্গিবিরোধী অভিযানের কারণে সে নভেম্বর মাসে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আবু রায়হান ওরফে হিমেল বর্তমানে আড়াইহাজারে সরকারি সফর আলী কলেজে সমাজ কর্ম বিষয়ে অনার্স ৩য় বর্ষে অধ্যায়নরত। ২০১৪ সালের শেষের দিকে সে জনৈক তৌহিদের মাধ্যমে জেএমবিতে যোগদান করে। তৌহিদের মাধ্যমে তার জেএমবির অপর সদস্য সাকিবের সাথে তার পরিচয় হয়। সাকিবের মাধ্যমে অন্যান্য জেএমবির সদস্য আকাশ, রোকন ও আমিনদের পরিচয় হয়। ২০১৫ সালের শেষের দিকে সে চট্টগ্রামে অস্ত্র প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। সে ২০১৬ সালের মার্চ মাস হতে টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলায় সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাত।

অপরজন মো. মোস্তফা ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করে তার এলাকার মাদ্রাসায় ভর্তি হয় এবং সংসারের অভাব-অনটনের কারণে পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৩ সালের শেষের দিকে সে নব্য মুসলিম হাসমত নামক একটি অপরিচিত ব্যক্তির মাধ্যমে ধর্মীয় বিষয়ে দীক্ষিত হয়। তখন থেকে নিয়মিত এলাকায় বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে যোগ এবং সে জিহাদে উদ্বুদ্ধ হয়। এরপর ২০১৪ সালের শেষের দিকে তার নিজ গ্রামের সাকিবের মাধ্যমে জেএমবিতে যোগদান করে। ২০১৫ সালের প্রথম দিকে সাকিবের মাধ্যমে গাজীপুর শালবাড়ী ও শালনা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় সে সহ মোট ৬ জন মিলে ২৫ দিনের জিহাদী প্রশিক্ষণ নেয়। সাকিবের মাধ্যমে সে মোবাইলে ধর্মীয় উগ্রবাদিতার ভিডিও ও লেকচার পেত। সে ২০১৫ সালের শেষের দিকে চট্টগ্রামে অস্ত্র প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে সে হিজরতের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!