• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নারী নির্যাতন প্রতিরোধের সহজ উপায়


নিউজ ডেস্ক সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৭, ১১:১৯ এএম
নারী নির্যাতন প্রতিরোধের সহজ উপায়

ঢাকা: আমাদের সমাজে নির্যাতিত নারীকেই দোষারোপ করা হয়। বদনাম কুড়ান ধর্ষিতা নারী। তার উপর রয়েছে পারিবারিক চাপ। অনেক সময় নালিশ জানানোর সঠিক পন্থাও জানা থাকে না অনেক নারীর। এই ধরনের নারী নির্যাতনের ঘটনা যে সব সময় নথিভুক্ত হয়, তা কিন্তু নয়। দেশে যে পরিমাণ নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে তার অর্ধেকেরও কম ঘটনা নথিভুক্ত হয় থানায়। জেনে নিন নির্যাতন প্রতিরোধের ৫টি সহজ রাস্তা-

১। নিজের অধিকার সম্পর্কে অবগত হন-
ধর্ষণের অভিযোগ যে কোনও থানায় গিয়ে জিডি করা যায়। এবং থানা সেই অভিযোগ নিতে বাধ্য। সুপ্রিম কোর্টের ‘জিরো জিডি’রুলিং অনুযায়ী, ধর্ষণের অভিযোগ অনলাইনেও দায়ের করা যায়। ধর্ষণের ঘটনার কয়েক মাস পরেও এই অভিযোগ দায়ের করতে পারেন নির্যাতিতা।

২। নির্যাতিতাকেই দোষারোপ-
অমিতাভ বচ্চন ও তাপসী পন্নু অভিনীত ‘পিঙ্ক’ ছবিতে কোর্টের দৃশ্যে এমন কিছু সওয়াল-জবাব ছিল, যেখানে নির্যাতিতাকেই দোষ দেওয়া হয়। কারণ, তিনি বেশি রাত পর্যন্ত ছেলে বন্ধুদের সঙ্গে ছিলেন। কোনও মেয়ে ধর্ষিতা হলে তাঁর পোশাক নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। যৌনকর্মী মানেই তাঁকে ধর্ষণ করা যাবে, এমন ভাবনা একেবারেই ঠিক নয়। সুস্থ সমাজ গড়ে তুলতে, এই মানসিকতা বর্জন করতেই হবে।

৩। খোলাখুলি কথা বলুন পরিবারের সঙ্গে-
কাজের জায়গায় সহকর্মীদের ব্যবহার অনেক সময়েই অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করে। চুপ করে না থেকে অবশ্যই কথা বলুন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। পথেঘাটে হেনস্তা সহ্য না করে ঘুরে দাঁড়ানো উচিত। এর ফলে, দোষী ব্যক্তি সতর্ক হয়ে যাবে। কিন্তু, চুপ থাকলে তার সাহস বেড়ে যাবে।

৪। সম্পর্কের টানাপোড়া-
এমন অনেক ঘটনাই জানা গেছে যেখানে আত্মিয়ের হাতেই নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছে শিশু বা নারীদের। এই ক্ষেত্রে, পারিবারিক কারণে নারীরা কিছু বলতে পারেন না।  কিন্তু চুপ না থেকে, অবশ্যই জানান নিজের কাছের মানুষকে। মা-বাবা বা অন্য কাউকে, যিনি সাহায্য করবেন।

৫। সোশ্যাল মিডিয়া-
এমন কোনও মেসেজ বা জোকস ফরওয়ার্ড করবেন না, যেখানে সামান্যতমও লিঙ্গবৈষম্যের কথা বলা হয়েছে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!