• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নারীদের ক্লাবে সভাপতি হলেন পুরুষ


নিউজ ডেস্ক ডিসেম্বর ৬, ২০১৬, ০৯:০২ পিএম
নারীদের ক্লাবে সভাপতি হলেন পুরুষ

ঢাকা : সাম্প্রতিক সময়ের নারীর ক্ষমতায়নের পক্ষে প্রচারণা তাদেরকে অনেক উচ্চপদে আসীন করেছে, যা আগে কেবল পুরুষদের দখলে ছিল। নারীর ক্ষমতায়নের এই অগ্রযাত্রায় দেশের অন্তত একজন পুরুষের হাতে তার স্ত্রীর পদমর্যাদার সুবাদে অনুপম এক দায়িত্ব ন্যস্ত হয়েছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরুষ শিক্ষকদের স্ত্রীরা ১৯৮২ সালে ‘ওম্যান’স ক্লাব’ গঠন করেন। এর সভাপতির পদটি দায়িত্ব পালনকারী ভাইস চ্যান্সেলরের স্ত্রীর জন্য নির্দিষ্ট করা হয়।

বর্তমানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর হচ্ছেন প্রফেসর ড. ফারজানা ইসলাম। তার এই নিয়োগের পরিপ্রেক্ষিতে ৩ দশক পর ক্লাবটির গঠনতন্ত্র সংশোধন করে ‘ওয়াইফ’-এর স্থলে ‘স্পাউস’ শব্দ প্রতিস্থাপন করা হয়।

প্রফেসর ফারজানা সরকারি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম নারী ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োজিত হওয়ায় তার স্বামীকে ‘ফাস্ট ম্যান’ হিসেবে ওমেন’স ক্লাবটির সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করতে হয়। স্বভাবতই শুরুতে যা ছিল ফাস্ট ম্যানের জন্য এক বিব্রতকর ঘটনা।

ড. ফারজানার স্বামী আখতার হোসেন বলেন, ‘প্রথমে অস্বস্তি বোধ করি। নারীদের ক্লাব। সবাই এখানে নারী। ভেবে পাই না যে, তারা আমাকে কিভাবে গ্রহণ করবে।

ব্যবসায়ী ও সাহিত্যিক আখতার হোসেন বলেন, সভাপতির পদটি ভাইস চ্যান্সেলরের স্ত্রীর জন্য নির্ধারিত থাকার কারণেও আমি এ দায়িত্ব নিতে অনিচ্ছুক ছিলাম। পরে ওয়াইফ শব্দটি স্পাউস শব্দের দ্বারা প্রতিস্থাপিত হলে আমি দায়িত্ব গ্রহণ করি।

তিনি বলেন, আমাকে একটি ওমেন ক্লাবের সভাপতি হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়ার মুহূর্তটিতে আমি বিশেষভাবে উৎফুল্ল হই। তারা আমাকে তাদের একজন হিসেবে ঘোষণার ঘটনায় আমি বিব্রত হইনি।

ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামরুন নেছা কাফি বলেন, প্রফেসর ফারজানা ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় আমাদের ফোরাম দৃশ্যত সমস্যার মুখে পড়ে। অবশ্য আমরা দ্রুত এর সমাধান করি।

তিনি বলেন, বরং ক্লাবটির সভাপতি একজন পুরুষ হওয়ায় এতে আমাদের অনেক কাজ সহজ হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অপর একজন সদস্য বলেন, আগে নিজেদের মধ্যে দলাদলির কারণে ক্লাবে কিছু সমস্যা হতো। কিন্তু একজন পুরুষ এই মহিলা ক্লাবটির সভাপতি হওয়ায় অনেক সমস্যা দৃশ্যের অন্তরালে চলে গেছে।

আরও কয়েকজন সদস্য বলেছেন, ফাস্ট ম্যানের নেতৃত্বে ক্লাব পরিচালিত প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উন্নীত হয়েছে। এখানকার শিক্ষা পদ্ধতিও উন্নত। এছাড়া ক্লাবের একতলা ভবন ৩ তলা হয়েছে। বাউন্ডারী ওয়ালও নির্মাণ করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে আখতার হোসেন বলেন, তিনি ক্লাবে মনোজ্ঞ বিনোদন ব্যবস্থার পরিকল্পনা করছেন। যাতে সদস্যরা এখানে প্রীতিকর পরিবেশে কিছু সময় কাটাতে পারেন। এছাড়া আমি ক্লাবে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। সূত্র : বাসস

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি
 

Wordbridge School
Link copied!