• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নায়করাজের পরিবারের পাশে অশ্রুসিক্ত তারকারা


বিনোদন প্রতিবেদক আগস্ট ২২, ২০১৭, ০১:৩৯ পিএম
নায়করাজের পরিবারের পাশে অশ্রুসিক্ত তারকারা

ঢাকা: না ফেরার দেশে চলে গেছেন চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাক। তার মৃত্যুতে শোকে অশ্রুসজল দেশবাসী। সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ছুঁটে যান অসংখ্য ভক্ত ও সহকর্মীরা। আবার কেউ কেউ তার পরিবারের পাশে দাঁড়াতে গুলশানের বাড়িতে যান।

এদিকে হাসাপাতালে উপস্থিত হয়েছিলেন আলমগীর, ফেরদৌস, মুশফিকুর রহমান গুলজার, খোরশেদুল আলম খসরু, শাকিব খান, ফেরদৌস, ওমর সানী, মৌসুমী, সাইমনসহ অনেকে। এরমধ্যে তার বাসায় গিয়েছেন-ববিতা, চম্পা, সুচন্দাসহ আরও অনেকেই। তাদের বিমর্ষ উপস্থিতিতে ভারী হয়ে ওঠে বাড়ির পরিবেশ।

নায়করাজের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি। সোমবার রাতে সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়াও নায়করাজ রাজ্জাকের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মতিঝিলের ঐতিহ্যবাহী সিনেমা হল মধুমিতা মঙ্গলবার বন্ধ রাখা হবে।

নায়ক রাজ্জাকের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক প্রকাশ করেছেন। তার মৃত্যুতে সংস্কৃতি অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। 

উল্লেখ্য, রাজ্জাক পশ্চিমবঙ্গের (বর্তমান ভারতের) কলকাতার টালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতার খানপুর হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময় স্বরসতী পূজা চলাকালীন সময়ে মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের জন্য তার গেম টিচার রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাঁকে বেছে নেন নায়ক অর্থাৎ কেন্দ্রীয় চরিত্রে। শিশু-কিশোরদের নিয়ে লেখা নাটক বিদ্রোহীতে গ্রামীণ কিশোর চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়েই নায়ক রাজের অভিনয়ে সম্পৃক্ততা।

তিনি ১৯৬৪ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পাড়ি জমান। প্রথমদিকে রাজ্জাক তৎকালীন পাকিস্তান টেলিভিশনে "ঘরোয়া" নামের ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় হন। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে তিনি আব্দুল জব্বার খানের সাথে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান। সালাউদ্দিন প্রোডাকশন্সের তেরো নাম্বার ফেকু ওস্তাগড় লেন চলচ্চিত্রে ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করে সবার কাছে নিজ মেধার পরিচয় দেন রাজ্জাক।

পরবর্তীতে কার বউ, ডাক বাবু, আখেরী স্টেশন-সহ আরও বেশ ক'টি ছবিতে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয়ও করে ফেলেন। পরে বেহুলা চলচ্চিত্রে তিনি নায়ক হিসেবে ঢালিউডে উপস্থিত হন সদর্পে। তিনি প্রায় ৩০০টি বাংলা ও উর্দু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। পরিচালনা করেছেন প্রায় ১৬টি চলচ্চিত্র।

১৯৯০ সাল পর্যন্ত বেশ দাপটের সাথেই ঢালিউডে সেরা নায়ক হয়ে অভিনয় করেন রাজ্জাক। এর মধ্য দিয়েই তিনি অর্জন করেন নায়করাজ রাজ্জাক খেতাব। অর্জন করেন একাধিক সম্মাননা। এছাড়াও, রাজ্জাক জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করছেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!