• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিখোঁজের ৪ মাস পর ‘গ্রেপ্তার’ এবার বিএনপি নেতা


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ৩১, ২০১৭, ০১:০১ পিএম
নিখোঁজের ৪ মাস পর ‘গ্রেপ্তার’ এবার বিএনপি নেতা

ফাইল ছবি

ঢাকা: চার মাসেরও বেশি সময় ধরে নিখোঁজ থাকা বিএনপির নেতা ও ব্যবসায়ী সৈয়দ সাদাত আহমেদকে এবার ‘গ্রেপ্তার’ করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, সাদাত আহমেদ ২০১৫ সালে করা একটি মামলার আসামি, সে কারণে তাকে ‘গ্রেপ্তার’ করা হয়েছে। তবে, সাদাতের স্ত্রী লুনা সাদাত আহমেদ দাবী করেছেন তার স্বামীর বিরুদ্ধে কোন মামলা ছিল না।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে রামপুরা সেতুর পূর্ব পাশে খুঁজে পাওয়া যায় সাদাতকে।

দেশে গত কয়েক মাসে ব্যবসায়ী, রাজনীতিক, সাংবাদিক ও শিক্ষকসহ ১৫ জন মানুষ নিখোঁজ হন। সম্প্রতি মধ্যে নিখোঁজ এমন তিনজনের সন্ধান মিলেছে।

প্রায় চারমাস নিখোঁজ থাকার পর গত সপ্তাহে হঠাৎ করে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এমএম আমিনুর রহমানকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।

এর আগে ২০শে ডিসেম্বর দুমাসেরও বেশি নিখোঁজ থাকার পর সাংবাদিক উৎপল দাসকে নারায়ণগঞ্জের ভুলতায় পাওয়া যায়।

প্রায় দেড়মাস নিখোঁজ থাকার পর ২২শে ডিসেম্বর ফিরে আসেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোবাশ্বার হাসান সিজার।

গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ জানিয়েছেন, শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে রামপুরা সেতুর পাশ থেকে সাদাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজই তাকে আদালতে তোলা হবে এবং ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ আরো জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারের সময় সৈয়দ সাদাত আহমেদের কাছে একটি ল্যাপটপ, তিনটা মোবাইল ফোন এবং বেশ কয়েকটি ব্যাংকের চেক ছিল।

২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি রমনা থানায় দায়ের হওয়া গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

এদিকে, আহমেদের স্ত্রী লুনা সাদাত আহমেদ জানিয়েছেন, তার স্বামীর নামে কোন মামলা ছিল না।

গতরাতে টেলিভিশনে নিউজ স্ক্রলে ভেসে ওঠা শিরোনাম থেকে সাদাত আহমেদের খোঁজ জানতে পারে পরিবার।

এর আগে গত ২২শে আগস্ট বিকেলে বিমানবন্দর সড়কের বনানী ফ্লাইওভারের নিচে সাদা পোশাকের কয়েকজন লোক গাড়ি থামিয়ে তাকে তুলে নিয়ে যায় বলে তিনি জানান।

সে সময় গাড়িতে সাদাতের ছেলে এবং ড্রাইভার ছিল। পরে তিনি ক্যান্টনমেন্ট থানায় অপহরণ মামলা করেন।

লুনা সাদাত আহমেদ জানিয়েছেন, নিখোঁজ হবার পর থেকে কোন ধরণের যোগাযোগই হয়নি তার সঙ্গে। কথিত অপহরণকারী বা অন্য কেউই এ সময়ের মধ্যে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।

আহমেদ বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং চট্টগ্রাম দক্ষিণ বিএনপির সহসভাপতি। তিনি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবিএন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!