• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নিজ দেশ শ্রীলঙ্কায় এখন গণশত্রু হাথুরু!


ক্রীড়া প্রতিবেদক মার্চ ২০, ২০১৭, ০৮:৩২ পিএম
নিজ দেশ শ্রীলঙ্কায় এখন গণশত্রু হাথুরু!

ঢাকা: ‘২০১৭ সালের ১৯ মার্চ শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে সবচেয়ে অন্ধকারতম দিন। এদিন বিশ্বক্রিকেটের নবীনতম জাতি বাংলাদেশ সবাইকে বিস্মিত করে পি সারা ওভালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম জয় তুলে নিয়েছে।’-শ্রীলঙ্কার একটি সংবাদমাধ্যম এরকম লেখা দিয়ে শুরু করেছেন প্রতিবেদন। বোঝাই যাচ্ছে, বাংলাদেশের কাছে পরাজয়টা তারা সহজভাবে মানতে পারছেন না।

যদিও রঙ্গনা হেরাথ ম্যাচ শেষে বলেছেন, জয়-পরাজয় খেলারই অংশ। তারপরও বাংলাদেশের কাছে পরাজয়ে তাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। ওই সংবাদমাধ্যমে এও বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশের কাছে হারের পর শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের মৃত্যু হয়েছে!

এজন্য শ্রীলঙ্কার বেশিরভাগ সংবাদমাধ্যম স্বদেশি চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে দায়ী করছেন। তারা মনে করেন, হাথুরুর পরিকল্পনাতেই এই উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। আট বছর আগে শ্রীলঙ্কা থেকে একরকম বিতাড়িত হয়েছিলেন হাথুরু। অস্ট্রেলিয়ায় কোচিং কোর্স করতে গিয়ে দেশের ক্রিকেট বোর্ড থেকে নিষিদ্ধ হন। হয়ত সেই অভিমানে তিনি স্থায়ী হয়েছেন সিডনিতে পরিবার নিয়ে।

সেই হাথুরু এখন বাংলাদেশের প্রধান কোচ। তার কোচিংয়েই প্রথমবার শ্রীলঙ্কাকে তাদের মাটিতেই হারিয়েছে মুশফিকুর রহীমের দল। এই পরাজয়ে নিজ দেশে গণশত্রুতে পরিণত হয়েছেন হাথুরু! লঙ্কানদের হয়ে তিনি ১৯৯১ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত খেলেছেন। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা দলে সহকারি কোচ হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন।

তারপর স্থায়ী নিবাস গড়েন অস্ট্রেলিয়ায়। এরপর বাংলাদেশের কোচ হন হাথুরু। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, নিজ দেশের প্রতি তার কোনও ক্ষোভ নেই। কিন্তু হাথুরু তখনকার লঙ্কান বোর্ডের কর্তাব্যক্তিদের অন্যভাবে জবাবটা দিয়ে দিলেন। শততম টেস্টে লঙ্কানদের বিপক্ষেই ৪ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ।

অনেকে মেনে নিচ্ছেন, সাকিব-তামিমদের পাশাপাশি হাথুরুর মেধার কাছেও হেরেছে শ্রীলঙ্কা। নিজেদের বোর্ডের সমালোচনা করে লঙ্কান সংবাদমাধ্যম লিখেছে,‘ বোর্ড পি সারা ওভালের উইকেট নিয়ে ভুল করেছে। তারা স্লো উইকেট বানিয়েছিল। কিন্তু তাদের উড়িয়ে দিয়েছে আসলে তামিল ইউনিয়নে সারাটা জীব অভিজ্ঞতা অর্জন করা একজন মানুষ। নাম তার চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই/আরআইবি

Wordbridge School
Link copied!