• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী সুরঞ্জিতের জন্য চন্দন কাঠের চিতা


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৭, ১১:০২ এএম
নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী সুরঞ্জিতের জন্য চন্দন কাঠের চিতা

ঢাকা : নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে চন্দন কাঠের চিতায় দাহ করা হবে। সুরঞ্জিতের খালাতো ভাই জয়ন্ত সেন বলেন, ‘তার (সুরঞ্জিত) শেষ ইচ্ছা ছিল চন্দন কাঠ দিয়ে যেন তাকে দাহ করা হয়। তাই তার নিজের হাতে রোপণ করা চন্দন গাছের কাঠ দিয়েই দাহ করা হবে বর্ষীয়ান রাজনীতিক সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে। ইতোমধ্যেই চন্দন গাছটি কাটা হয়েছে এবং কাঠ আকারে বানানো হয়েছে।

সোমবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) দিরাই এর আনোয়ারপুরে নিজ বাড়ির পাশে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে। সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার সুজিত রায় বলেন, চৌদ্দ-পনের বছর আগে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত নিজের হাতেই বাড়ির আঙ্গিনায় এই চন্দন গাছটি রোপণ করেছিলেন। যখনই তিনি দিরাই এর এই বাড়িতে যেতেন, নিজের হাতেই গাছটির পরিচর্যা করতেন।

সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে একজন বৃক্ষপ্রেমিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার নিজের হাতে সৃজন করা বাগানে প্রচুর পরিমাণ মেহগনি, সুন্দরী ও সেগুন গাছসহ ফল-ফলাদির গাছ আছে। সময় পেলে সুরঞ্জিত নিজ হাতেই এসব গাছের দেখভাল করতেন।

এদিকে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মৃত্যুতে দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগ তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছে । এর আগে সকালে দিরাই জগন্নাথ মন্দিরে তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মরদেহ হেলিকপ্টারে করে সিলেটের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তাঁর মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। আজ সোমবার সকাল নয়টার পরে মরদেহ পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন তাঁর বেয়াই ভুপেন্দ্র ভৌমিক। বেলা ১১টায় মরদেহ যাবে সুনামগঞ্জের সাল্লায় নিজ নির্বাচনী এলাকায়। পরে মরদেহ দিরাইয়ে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বাসভবনে আনা হবে। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষে আনোয়ারপুরে বিকেলে তার শেষকৃত্য হবে।

উল্লেখ্য, কিংবদন্তিতুল্য রাজনীতিক, উপমহাদেশের অন্যতম তুখোড় পার্লামেন্টারিয়ান, বর্ষীয়ান রাজনীতিক, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং সংসদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আর নেই। গতকাল রোববার (০৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টা ২৯ মিনিটে তিনি রাজধানী ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭২। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ক্যান্সারে ভুগছিলেন। গতকাল রোববার ভোর ৪টা ২৯ মিনিটে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এর আগে তিনি ওই হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। গত শুক্রবার সকালে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ে। গত শনিবার সন্ধ্যায় তার অবস্থার অবনতি হয়। রাত ৯টার দিকে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য সকালে তাকে সিঙ্গাপুরে নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু তা আর সম্ভব হয়নি। ডাক্তার সব প্রচেষ্টা উপেক্ষা করে তিনি চলে গেছেন না-ফেরার দেশে। তার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নেমেছে শোকের ছায়া।  

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!