• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির গেজেট প্রকাশ


আদালত প্রতিবেদক ডিসেম্বর ১১, ২০১৭, ০৪:২৫ পিএম
নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির গেজেট প্রকাশ

প্রতীকী ছবি

ঢাকা: নিম্ন আদালতের বিচারকেদের চাকরির শৃঙ্খলাবিধি চূড়ান্ত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়ে বলেন, শৃঙ্খলাবিধির গেজেট হয়ে গেছে। সেটি এখন বিজি প্রেসে ছাপা হচ্ছে। একইসঙ্গে গেজেটের কপিও হাতে পাওয়া যাবে।

আনিসুল হক বলেন, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ কিন্তু অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হচ্ছে। তাদের সঙ্গে একটা ঐকমত্যে পৌঁছে এই শৃঙ্খলাবিধির গেজেট প্রকাশ করা হচ্ছে।

বিচারপতি এস কে সিনহা এই বিধিমালা চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে অন্তরায় হিসেবে কাজ করেছিলেন বলে দাবি করেন আইনমন্ত্রী।

এর আগে রোববার (১০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে ওই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

মাসদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে বিচারকদের নিয়োগ, নিয়ন্ত্রণ ও অপসারণসংক্রান্ত বিধিমালা না করায় গত একবছর ধরে সুপ্রিমকোর্টের সঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়ের টানাপড়েন চলে আসছে। এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ নিয়ে সরকার ২৫ দফা সময় নিয়েছে।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বিধিমালা নিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, শৃঙ্খলা বিধিটা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) চলে গেছে বলে আমি জানি। আশা করছি, আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে এ গেজেট প্রকাশ হবে।

গত বছরের ২৮ আগস্ট এই মামলার শুনানিতে আপিল বিভাগ জানান, শৃঙ্খলা বিধিমালা সংক্রান্ত সরকারের খসড়াটি ছিল ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার হুবহু অনুরূপ, যা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী। এরপরই সুপ্রিম কোর্ট একটি খসড়া বিধিমালা করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। একইসঙ্গে ওই বছরের ৬ নভেম্বরের মধ্যে তা প্রণয়ন করে প্রতিবেদন আকারে আদালতকে অবহিত করতে নির্দেশ দেয়।

১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেয়া হয়। ওই রায়ের আলোকে বিচারিক আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল। ১২ দফার মধ্যে ইতোমধ্যে কয়েক দফা বাস্তবায়ন করেছে সরকার।

২০১৫ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগ চার সপ্তাহ সময় দেন সরকারকে। এরপর গত বছরের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় থেকে একটি খসড়া শৃঙ্খলাবিধি তৈরি করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হয়। কিন্তু তা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে না হওয়ায় সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃপক্ষ একটি কমিটি গঠন করে আলাদা একটি শৃঙ্খলাবিধি তৈরি করেন।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!