• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
আন্তর্জাতিক গুমবিরোধী দিবস

নিরানন্দ জীবন নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর পরিবারের


সোনালীনিউজ ডেস্ক আগস্ট ৩০, ২০১৬, ০২:৪৮ পিএম
নিরানন্দ জীবন নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর পরিবারের

এবছরই এপ্রিল মাসে ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হবার চার বছর পূর্তির দিনে ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলন করেন তার স্ত্রী তাহসিনা রুশদির। দুপাশে রয়েছে তার দুই সন্তান। বিশ্বজুড়ে আজ পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক গুম বিরোধী দিবস।

ইন্টারন্যাশনাল কোয়ালিশন অ্যাগেইনস্ট এনফোর্সড ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স’ নামে একটা আন্তর্জাতিক সংস্থা বলছে, চলতি বছরে জুলাই মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে ৫২ জন মানুষ নিখোঁজ বা গুমের শিকার হয়েছে। এদের মধ্যে ৭ জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। ৩৩ জনকে পরবর্তীতে পাওয়া গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে। ১২ জনের খবর আজো অজানা। অনেকেই মনে করেন বাংলাদেশের বেশিরভাগ গুমের পেছনেই থাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত।

২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল ঢাকা থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন সে সময়কার বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সিলেটে বিএনপির অত্যন্ত প্রভাবশালী একজন নেতা ইলিয়াস আলী।

মধ্যরাতের পর ঢাকার মহাখালী থেকে তাকে বহনকারী গাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। এর আর পাওয়া যায়নি ইলিয়াস আলীকে। আজো মেলেনি তার খোঁজ।

তার স্ত্রী তাহসিনা রুশদির স্বামীকে উদ্ধারের জন সম্ভাব্য সব রকমের চেষ্টা করেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেও তার সাহায্য কামনা করেন।

সাড়ে চার বছর পর এসে মিসেস রুশদির এখন বলছেন, সেসময় প্রধানমন্ত্রী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও কোনও ধরনের সদুত্তর তিনি পাননি। কিন্তু তাহসিনার ধারণা, তার স্বামী নিখোঁজ হবার পেছনে রয়েছে সরকারের হাত।

বিবিসিকে তিনি বলেন, “যেহেতু প্রমাণ নেই সেহেতু বলতে পারি না। তবে আমাদের ধারণা এর সঙ্গে অবশ্যই আইন প্রয়োগকারী সংস্থা জড়িত”।

“আমার স্বামী একজন বিরোধী দলের বড় পর্যায়ের নেতা এবং উনি একজন সাবেক সংসদ সদস্য। আমরা বারবার দেশের সরকারের কাছ থেকে সাহায্য চাইলেও ওনাদের কাছ থেকে কোনো সন্ধান পাইনি। ওনারা নিশ্চুপ থেকেছেন কেন এটা ওনারাই ভালো বলতে পারবেন”।

অবশ্য তাহসিনা রুশদির আজো মনে করেন তার স্বামী বেঁচে আছেন।

তার ভাষায়, “আমাদের পরিবারের সকল সদস্য প্রতিনিয়তই প্রত্যাশা করি হয়ত উনি ফিরে আসবেন। শুধু আমরা নই, আমাদের সিলেটের অসংখ্য নেতাকর্মী একই বিশ্বাস ধারণ করেন যে, ইলিয়াস আলী একদিন ফিরে আসবেন”।

স্বামীহীন এই সাড়ে চার বছর কেমন কেটেছে জানতে চাইলে মিসেস রুশদির বলেন, “দিন যেহেতু থেমে থাকে না, সেহেতু চলছে আরকি। নিরানন্দ-ভালবাসাহীন জীবন আমাদের কাটছে”।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!