• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

নিরাপত্তায় গানম্যান চান সংসদ সদস্যরা


নিজস্ব প্রতিবেদক  জুলাই ২০, ২০১৬, ১০:১৭ পিএম
নিরাপত্তায় গানম্যান চান সংসদ সদস্যরা

সাম্প্রতিক রাজধানীর গুলশানে এবং কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার পর মন্ত্রী, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, ডিসি, সচিবসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা গানম্যান পাচ্ছেন। কিন্তু, সংসদ সদস্যদের নিরাপত্তায় কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই বর্তমান বাস্তবতার আলোকে নিরাপত্তার জন্য সংসদ সদস্যদের গানম্যান দেয়ার জন্য স্পিকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ।

বুধবার (২০ জুলাই) রাতে জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে সংসদ সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য তারা এ দাবি জানান।

কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, ‘মাননীয় মন্ত্রীদের নিরাপত্তায় গানম্যান, বাসায় সেন্ট্রি আছে। তারা যখন রাস্তায় চলাফেরা করেন, তখন সঙ্গে গাড়ি দিয়ে নিরাপত্তা বিধান করা হয়। এমনকি মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতিদেরও গানম্যান দেয়া হয়। কিন্তু মাননীয় স্পিকার আমাদের তো প্রতিনিয়ত মানুষের কাছে যেতে হয়। দরবার-সালিশ করতে হয়। আমাদের কিন্তু, নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা নেই। আজকের পত্রিকায় আছে, সবাইকে নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে আনতে হবে। যেখানে মাননীয় সংসদ সদস্যরাও আছেন। কিন্তু, আমি তো কোনো কিছু দেখছি না, কোথায় আমাদের নিরাপত্তা?’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ করেছি। যারা সন্ত্রাসী তারা সব সময় সফট টার্গেট বেছে নেয়। যারা আক্রমণ করবে তারা দেখবে কোন আক্রমণটা খুব সহজে সমাধান করতে পারি। এগুলো যুদ্ধের ময়দানে আমরা করেছি। সারাদেশকে তো প্রটেকশন দেয়া যাবে না। মাননীয় সংসদ সদস্যদের প্রটেকশনের দায়িত্বটা কিন্তু আপনার (স্পিকার),’ যোগ করেন তিনি।

জাপা সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, ‘আমরা প্রায়ই শুনি কাউকে টেলিফোনে হুমকি দেয়া হচ্ছে, কাফনের কাপড় পাঠানো হয়। চিঠি দিয়ে হুমকি দেয়া হয়। আমরা কিন্তু এ ধরনের হুমকি অহরহ পেয়ে থাকি। কিন্তু আমলে নেয়নি। কিন্তু, এখন এমন অবস্থায় দাঁড়িয়েছে পুলিশের সর্বোচ্চ জায়গা থেকে নিরাপত্তার ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বড় বড় ব্যবসায়ীদের গানম্যান দেয়া হচ্ছে। বড় চাকরিজীবীদেরও এই প্রটেকশনের আওতায় আনা হয়েছে। তাহলে মাননীয় সংসদ সদস্যদের প্রটেকশনের ব্যবস্থা হবে না কেন? এ ব্যাপারে আপনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

মঈনুদ্দীন খান বাদল (চট্টগ্রাম-৮ ) বলেন, ‘এই সংসদে বারবার এটা তোলা হয়েছে। এই ব্যাপারটির সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্স যুক্ত হয়ে যায়। আমি বারবার বলেছি, সংসদ সদস্যদের বাস্তব অবস্থা যেখানে দাঁড়িয়ে আছে। সেখানে সমস্যা সৃষ্টি হবে। বলেছি রাষ্ট্রচারের হিসেবে জনপ্রতিনিধির ওপরে কোনো সরকারি কর্মকর্তা থাকতে পারে না। কিন্তু, এ দেশে তা হয়েছে। জাতির জনক যে ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্স তৈরি করে গেছেন, সেটা কেন ফলো করি না―এটার কোনো ব্যাখ্যা নেই। আমরা যাকে প্রতিনিয়ত গালি দিই সেই হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রণীত ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্স ফলো করি।’

তিনি বলেন, ‘ডিসিরও গানম্যান আছে। এসপিদের হাউস গার্ড আছে। সেক্রেটারি সাহেবদেরও আছে। ইদানীংকালে পয়সাওয়ালা এফবিসিসিআইদেরও আছে। আছাদুজ্জামান (ডিএমপি কমিশনার) হঠাৎ একদিন বললেন, মন্ত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায়। মন্ত্রীরা সবচেয়ে নিরাপত্তার মধ্যে, এরপরেও তারা নিরাপত্তাহীনতায়। এই সংসদের একশ জন মন্ত্রী, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি গানম্যান বা প্রটেকশন আছে। ২০০-২৫০ জন এমপির কিছু নাই।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!