• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচন ঠেকানোর সাধ্য থাকলে দেখান, বিএনপিকে কাদের


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ৫, ২০১৮, ০৮:৪২ পিএম
নির্বাচন ঠেকানোর সাধ্য থাকলে দেখান, বিএনপিকে কাদের

ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। বিএনপির যদি ক্ষমতা থাকে তাহলে তারা নির্বাচন ঠেকিয়ে দেখাতে পারে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিএনপিকে প্রতিহত করবে জনগণ।

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বনানী মাঠে ৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্র রক্ষা দিবস’ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বলেছেন, বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন করতে দেয়া হবে না। অপেক্ষা করেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে, নির্বাচনে আসুন।

তিনি বলেন, যথা সময়েই সংবিধান অনুযায়ী একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন বিএনপি বা কারো জন্য থেমে থাকবে না। আপনাদের (বিএনপি) সাধ্য থাকলে নির্বাচন ঠেকিয়ে দেখান, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জনগণ আপনাদের প্রতিহত করবে।

২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্বাচন না হওয়ায় নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ৪ দলীয় জোট। ওই নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।

এরপর থেকে ৫ জানুয়ারিকে আওয়ামী লীগ ‘গণতন্ত্র রক্ষা দিবস’ বলে আসছে, অপরদিকে বিএনপি দিনটিকে ‘গণহত্যা হত্যা দিবস’ হিসেবে কর্মসূচি পালন করে আসছে।

মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) এক সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘আমরা নির্বাচনী দল, আমরা নির্বাচন করব। বাইরে রাখতে চাইলেই রাখা যাবে না। নির্বাচন করব আমরা। আপনারা (সরকার) যদি মনে করেন, আমাদের লোকজন ধরে নিয়ে যাবেন। তারপর নির্বাচন ঘোষণা করবেন, সেটা আর হবে না। ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন আর হবে না।’

তবে তার এই হুঁশিয়ারিকে পাত্তা না দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলছেন, এবারও বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলে তাদের আরেকবার ‘রাজনৈতিক আত্মহত্যা দিবস’ পালন করতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বহুরূপী ব্যারিস্টার সাহেব, আপনাদের সকলে চেনে। দেশে একটু ঝড়ঝঞ্ঝা দেখলে বিদেশে গিয়ে পালিয়ে থাকেন। ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে বাড়ি দখল করতে গিয়ে আদালতে ধরা খেয়ে রাস্তায় কান্না করেন। এই লোক যদি দেশের আইনমন্ত্রী হন, দেশের বারোটা বেজে যাবে।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ বাঁচালে, দেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার চেতনা বাঁচাব। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হলে আওয়ামীকে শক্তিশালী করতে হবে। দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারকে আবারো ক্ষমতায় আনতে হবে।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান বলেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবি হবে বুঝতে পেরে তারা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। ভবিষ্যতে কেউ যেন নির্বাচন বানচাল করতে না পারে, সেজন্য নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।

বনানীতে মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় আরো বক্তব্য দেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাহারা খাতুন, ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হাবিবুর রহমান সিরাজ, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান।

আর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন, দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক, সাংগঠনকি সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, এনামুল হক শামীম, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর রশিদ।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!