• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচনে লাখ লাখ জাল ভোট পড়েছে: ট্রাম্প


আন্তর্জাতিক ডেস্ক নভেম্বর ২৮, ২০১৬, ০৩:৫৩ পিএম
নির্বাচনে লাখ লাখ জাল ভোট পড়েছে: ট্রাম্প

গত ৮ নভেম্বরের মার্কিন নির্বাচনে লাখ লাখ জাল ভোট পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই জাল ভোট না পড়লে পপুলার ভোটেও (সাধারণ জনগণের ভোট) তিনি বিজয়ী হতেন বলে দাবি তার।

তবে নিজের দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ পেশ করতে পারেননি ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব নিতে যাওয়া এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। গত নির্বাচনে পপুলার ভোট কম পেয়েও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইলেকটোরাল কলেজের ভোটে জিতে যান রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প। অপরদিকে পপুলার ভোট বেশি পেয়েও ইলেকটোরাল কলেজের সমর্থন না থাকায় হেরে যান ডেমোক্রেট দলের হিলারি।

ট্রাম্প বলেন, ‘আপনি যদি কয়েক মিলিয়ন জাল ভোট বাদ দেন তবে ৮ নভেম্বরের পপুলার ভোটে আমিই জিতে যাবো।’ উইসকনসিন রাজ্যের ভোট পুনর্গণনার দাবিতে হিলারি সমর্থন দেবেন- তার এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এই দাবি করলেন ট্রাম্প। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন পার্টির এক প্রার্থী উইসকনসিনের ভোট পুনর্গণনার দাবি তোলেন।

৮ নভেম্বরের মার্কিন নির্বাচনে হিলারি ট্রাম্পের চেয়ে পপুলার ভোট বেশি পেয়েছেন প্রায় ২০ লাখ। তবে প্রেসিডেন্ট হতে প্রয়োজনীয় ২৭০টির বেশি ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন ট্রাম্প।

টুইটারে এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘ইলেকেটোরাল কলেজে ভূমিধস জয়ের পাশাপাশি আমি পপুলার ভোটেও জয়ী হয়েছি; অবৈধভাবে ভোট দেয়া লাখ লাখ মানুষকে যদি বাদ দেয়া হয় তাহলে পপুলার ভোটেও আমিই বিজয়ী হয়েছি।’

আরেকটি টুইটে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘ইলেক্টোরাল কলেজের চেয়ে কথিত পপুলার ভোট পাওয়া আমার জন্য আরো সহজ। এজন্য আমাকে তিন বা চারটি রাজ্য সফর করতে হবে; যেখানে এর আগে আমি ১৫টি রাজ্য ঘুরেছি। আমি আরো সহজে এবং প্রাণবন্তভাবে বিজয়ী হবো।’

ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেন, ভার্জিনিয়া, নিউ হ্যাম্পশায়ার ও ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে ‘গুরুতর ভোটার জালিয়াতি’ ছিল। এ তিন রাজ্যের সবগুলোতেই হিলারি ক্লিনটন জয়ী হয়েছেন। এসব অঙ্গরাজ্যে ভোট জালিয়াতির ইস্যুতে সংবাদমাধ্যমগুলো কথা বলছে না বলে গণমাধ্যমের প্রতি অভিযোগ তোলেন ট্রাম্প।

এদিকে মার্কিন নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ ওঠা তিনটি অঙ্গরাজ্যে ভোট পুনর্গণনার আবেদনের খরচ মেটানোর জন্য জিল স্টেইন অনলাইনে ফান্ড খুলেছেন সেখানে ৫৩ লাখ ডলার অর্থ সগ্রহ হয়েছে। এ পর্যন্ত যে অর্থ সংগৃহীত হয়েছে তা দিয়ে উইসকনসিন আর পেনসিলভানিয়ার ব্যয় মেটানো যাবে। তবে মিশিগানে আবেদনের জন্য আরো টাকার প্রয়োজন পড়বে। স্টেইনের ওই তহবিল সংগ্রহের পেইজে বলা হয়েছে, তিন অঙ্গরাজ্যে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রায় ৬০-৭০ লাখ ডলার খরচ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সোনালীনিউজ/ ঢাকা/ আরএস

Wordbridge School
Link copied!