• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচনের প্রথম ধাপে আ.লীগের জয়জয়কার


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ২৩, ২০১৬, ১০:১৪ এএম
নির্বাচনের প্রথম ধাপে আ.লীগের জয়জয়কার

সোনালী নিউজ ডেস্ক

কয়েক মাস আগে হয়ে যাওয়া পৌর নির্বাচনের মতোই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের প্রথম ধাপে আওয়ামী লীগের জয়জয়কার। প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে হওয়া স্থানীয় সরকার পদ্ধতির এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ মোট ১৪টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা। তবে ভোটগ্রহণের শুরু থেকে কারচুপি ও কেন্দ্র দখল করে ব্যালট পেপারে সিল দেয়ার অভিযোগে দেশের বিভিন্ন জেলায় ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয় ক্ষমতাসীন দলের বিদ্রোহী ও বিএনপি-জাপার প্রার্থীরা।

মঙ্গলবার সারাদেশে ৭১২টি ইউপিতে একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে আগেই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৫৪টিতে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। এছাড়া সর্বশেষ পাওয়া ৬৮৮ ইউপির মধ্যে আওয়ামী লীগ জয় পেয়েছে ৫৪২টিতে, বিএনপি ৪১টিতে এবং জাসদ, জাতীয় পার্টি, বিদ্রোহীসহ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ১০৫ ইউপিতে চেয়ারম্যান নিবর্বাচিত হয়েছেন।

তবে নির্বাচনের আগে থেকেই বিএনপি পরাজয় বরণ করে নিয়েছিল। তাদের দাবি বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব নয়। ভোট গ্রহণের পর সেই সুরেই কথা বলেছে দলটি। উপজেলা, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মতোই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনেও (প্রথম ধাপ) ভোট ডাকাতি হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।

যদিও আওয়ামী লীগের দাবি, অতীতের যেকোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচনের চেয়ে বর্তমানে দেশের স্থানীয় নির্বাচন বেশি সুষ্ঠু হচ্ছে। এমনকি পার্শ্ববর্তী পশ্চিমবঙ্গের চেয়েও স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয় আমাদের দেশে। তারপরও দেখা যাচ্ছে- বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ করছে। বিএনপি এখন বাংলাদেশের নালিশ পার্টিতে পরিণত হয়েছে। তাদের কাজই হচ্ছে নালিশ করা।

ভোটগ্রহণ শেষে একই সুরে কথা বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকীবউদ্দিন আহমদও। প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচন কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অুনষ্ঠিত হয়েছে বলেই দাবি করেন তিনি। তার দাবি, ভোটাররা নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে এসেছেন, ভোট দিয়ে ফিরে গেছেন। তবে যে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে তা দুঃখজনক।

বেশকিছু কেন্দ্রে অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে বলেও স্বীকার করেন সিইসি। তিনি বলেন, ‘সেসব কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বাতিল করা হয়েছে। গত রাতেও কিছু বেআইনী কার্যক্রম হয়েছে। আর এসব ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে নির্বাচনী সহিংসতায় দেশের চার জেলায় ১০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়াতেই নিহত হয়েছেন পাঁচজন নৌকা সমর্থক। এছাড়া কক্সবাজারের টেকনাফে দুইজন, নেত্রকোনার খালিয়াজুড়িতে একজন এবং ঝালকাঠিতে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ-বিএনপি ছাড়াও এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জাতীয় পার্টি, জাসদ, বিকল্পধারা, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় পার্টি-জেপি, বিএনএফ, সিপিবি, তরীকত ফেডারেশন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও ন্যাপের প্রার্থীরা।

সোনালীনিউজ/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!