• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচিত হয়েও শপথ অনুষ্ঠানে ডাক পাননি মৌসুমী


বিনোদন প্রতিবেদক মে ১৩, ২০১৭, ০২:১৪ পিএম
নির্বাচিত হয়েও শপথ অনুষ্ঠানে ডাক পাননি মৌসুমী

ঢাকা: গেল ৫ তারিখে সম্পন্ন হয়েছে শিল্পী সমিতির নির্বাচন। আর এই নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠভাবে জয় লাভ করে মিশা-জায়েদ প্যানেলের সদস্যরা। নির্বাচনে সানি-অমিত প্যানেল বিরাট ব্যবধানে হেরে গেলেও ব্যতিক্রম ছিলেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। কারণ কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে সানি-অমিত প্যানেলে নির্বাচন করেও বিপুল ভোটে জয় লাভ করেন তিনি। অথচ নির্বাচনে জয় লাভ করেও শপথ অনুষ্ঠানে ডাক পাননি এই জনপ্রিয় নায়িকা!

সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে যেনো বিতর্ক থামছেই না। একের পর এক অভিযোগ আর বিশৃঙ্ক্ষলার অভিযোগ উঠছে এই নির্বাচনকে ঘিরে। আর এরমধ্যেই আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও কিছুটা তড়িঘড়ি করেই শুক্রবার বিকালে শপথ নিয়ে নিলো নবনির্বাচিত মিশা-জায়েদ প্যানেল! আর এই নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় লাভ করেও শপথ অনুষ্ঠানে ডাক পাননি সানি-অমিত প্যানেল থেকে ‘কার্যকর পরিষদ সদস্য’ পদে নির্বাচন করা তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী!

হ্যাঁ। গেল ৫ তারিখে সম্পন্ন হয়েছে শিল্পী সমিতির নির্বাচন। যে নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে জয় লাভ করে মিশা-জায়েদ প্যানেলটি। কিন্তু ভোটের হিসেব নিকেষে কিছুটা অসঙ্গতি থাকায় আপিল বিভাগের কাছে আপত্তি জানান পরাজিত সভাপতি প্রার্থী ওমর সানি। তার অভিযোগের ভিত্তিতে পুনরায় ভোট গণনা সম্পন্ন হয়। সংশোধনী ফলাফলে সানির কিছু ভোট বাড়লেও নির্বাচনের ফলাফল অপরিবর্তিত থাকে। যদিও এরমধ্যেই আদালত এই নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত রাখতে নির্দেশ দেয়।

কিন্তু এরমধ্যেই কিছুটা তড়িঘড়ি করে শপথ নিয়ে নিলেন মিশা-জায়েদরা। যেখানে নাকি চিত্রনায়িকা মৌসুমীকে এই শপথ অনুষ্ঠানের বিষয়ে কিছু জানানোই হয়নি। গণমাধ্যমের কাছে এমন অভিযোগই করলেন মৌসুমী। শুধু মৌসুমী নয়, এমন অভিযোগ করেছেন নব নির্বাচিত কমিটির সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক জাকির হোসেনও।  

নির্বাচিত হয়েও মিশা-জায়েদ প্যানেলের শপথ অনুষ্ঠানে উপেক্ষিত মৌসুমী। কিন্তু কেনো? এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে যে কারণগুলো সাধারণ মানুষের মুখে মুখে ফিরছে তা হলো, মৌসুমীকে শপথ অনুষ্ঠানে ডাকা হয়নি কারণ, তিনি সানি-অমিত প্যানেল থেকে নির্বাচিত! কারণ, তিনি ওমর সানির স্ত্রী! যে ওমর সানি শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ছিলেন মিশা-জায়েদের সামনে একমাত্র বাধা। যিনি নির্বাচনের পরেও ফলাফল নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আপিল করেছেন। হয়তো ওমর সানির উপর রাগান্বিত হয়েই, নিজেদের আক্রোশ থেকেই মৌসুমী ডাকেননি শপথ অনুষ্ঠানে।  

কিন্তু চলচ্চিত্র শিল্পে এমন নিন্দনীয় চর্চাকে ভালোভাবে দেখছেন না চলচ্চিত্র নিয়ে উদ্বিগ্ন বোদ্ধাশ্রেণি। তারা মনে করছেন, প্রতিহিংসার রাজনীতি ঢুকে গেছে শিল্পী সমিতিতেও। যে সংগঠনটি শুধুমাত্র ভলেন্টারি সংগঠন হিসেবে পরিচিত ছিলো এতোদিন, সেই সংগঠনকে ঘিরে এবারের রাজনীতি হার মানিয়েছে দেশের জাতীয় রাজনীতিকেও। আর এই রাজনীতি যদি চলমান থাকে, তাহলে বাংলা চলচ্চিত্রের উন্নয়নতো সম্ভব নয়ই। বরং শিগগির রাজনীতির কারণে ধ্বংসের পথে এগিয়ে যাবে দেশিয় চলচ্চিত্র শিল্প। এমন অবস্থায় চলচ্চিত্র বোদ্ধারা মনে করছেন, শিল্পী, নির্মাতা ও প্রযোজকদের মধ্যে দূরত্ব আর না বাড়িয়ে বরং সবাই একসঙ্গে মিলে কাজ করলেই কেবল বাংলা চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব। 

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিএল 

Wordbridge School
Link copied!