• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর উপরিভাগে বসছে স্পান


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৭, ০৭:৫৭ পিএম
নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর উপরিভাগে বসছে স্পান

ঢাকা: অবশেষে পদ্ম সেতুর উপরিভাগের কাজ শুরু হচ্ছে। প্রথম একটি স্পান বসানোর কাজ শুরু হচ্ছে শনিবার(৩০ সেপ্টেম্বর)। স্পান বসানোর পরই দেখা যাবে পদ্মা সেতুর রঙ ও আকার কেমন হবে।

২০১৮ সালে পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, তা শেষ হচ্ছে না। প্রকল্পটির নির্মাণ খরচ আরও বাড়ছে বলে জানা গিয়েছে।

জাজিরা প্রান্তে পিয়ারের ওপর স্পান বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইয়ার্ডে নির্মিত একটি স্পান মাওয়া থেকে জাজিরা প্রান্তে নিয়ে যাওয়া শুরু হয়েছে। ফলে দৃশ্যমান হতে চলেছে পদ্মা সেতু। ধূসর রঙের এই স্প্যান বসানো হলে পুরো সেতুটি দেখতে কেমন হবে তা বুঝতে পারবে সাধারণ মানুষ। এমন আরও ৪১ টি স্প্যান বসানো হলে শেষ হবে পুরো সেতুর কাজ।

প্রথম দিকে স্প্যানের রং সোনালি হওয়ার কথা থাকলেও এখন তা ধূসর করা হয়েছে। ফলে পদ্মা সেতুটি দেখতে সোনালি রঙের না হয়ে ধূসর রঙের হবে।

পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, শনিবার সকালে স্প্যানটি বসানো হবে। এ সময় উপস্থিত থাকবেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সেতু প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট কয়েকজন প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত রোববার মাওয়া থেকে ৭বি স্প্যানটি ক্রেনে করে জাজিরার দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্প্যানটি  প্রায় ১৫০ মিটার লম্বা। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে শনিবার সময়মতো পিয়ারের ওপর বসানোর কাজ সম্পন্ন হবে এই স্প্যান। এটি জাজিরা প্রান্তে সেতুর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিয়ারে বসানো হবে।

পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। ভায়াডাক্টসহ দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে ৯ কিলোমিটার। দ্বিতল এই সেতুটি হবে স্টিলের। পদ্মা সেতুতে কংক্রিটের ৪২টি খুঁটি বা পিলার হবে। আর এসব খুঁটির নিচে ২৭২টি পাইল বসাতে হবে।

পদ্মা সেতুর নিচের তলার ভেতর দিয়ে চলবে রেল। আর যানবাহন ওপরে পিচঢালা পথ দিয়ে চলবে। সরকার ২০১৮ সালের নভেম্বরে কাজ শেষে সেতুতে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

মূল সেতুর কাজ করছে চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। আর নদীশাসনের কাজে নিয়োজিত আছে চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন। পদ্মা সেতুর কাজ ৫ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। মূল সেতু ও নদীশাসন হচ্ছে বড় দুটি কাজ।

এর বাইরে দুই পারে সংযোগ সড়ক ও টোলপ্লাজা নির্মাণ এবং অফিস, বাসাসহ নির্মাণ অবকাঠামোর কাজ তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা

Wordbridge School
Link copied!