• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
সংসদে আইনমন্ত্রী

নিষ্পত্তির অপেক্ষায় তারেকের ৯ মামলা


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৮, ০১:৪৮ পিএম
নিষ্পত্তির অপেক্ষায় তারেকের ৯ মামলা

ঢাকা : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন, গ্রেনেড হামলা, মানহানি ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ মোট ৯টি মামলা চলছে। এ ছাড়া অর্থ পাচার মামলার আপিল ও অর্থ আত্মসাৎ মামলার রায়ে তার মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে; জরিমানা হয়েছে প্রায় ২২ কোটি টাকা।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে সংরক্ষিত নারী আসনের সরকারি দলের সংসদ সদস্য বেগম ফজিলাতুননেসা বাপ্পির প্রশ্নে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, ১/১১-পরবর্তী সেনাসমর্থিত সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করে কাফরুল থানায় মামলা হয়। মামলার অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে ডা. জোবায়দা হাইকোর্ট বিভাগে দরখাস্ত করেন। হাইকোর্ট বিভাগ ওই দরখাস্ত খারিজ করে দেন।

এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে করা ‘মিস পিটিশন’ নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে। তার বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দুটি মামলা চলছে। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে চলছে ২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি তেজগাঁও থানায় দায়ের মামলা থেকে উদ্ভূত রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা। এ ছাড়া ঢাকার সিএমএম কোর্টে রয়েছে ৫টি মানহানি মামলা, যার একটিতে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।

মন্ত্রী জানান, ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ক্যান্টনমেন্ট থানায় দায়ের মানি লন্ডারিং মামলা থেকে উদ্ভূত বিশেষ মামলায় নিম্ন আদালত তারেক রহমানকে খালাস দেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা হয়। ২০১৬ সালের ২১ জুলাই আপিলের রায়ে তারেক রহমানকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় তারেক রহমানের ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা জরিমানা হয়েছে। আদালত তারেক রহমানকে জরিমানার টাকা অন্য আসামিদের সঙ্গে আনুপাতিক হারে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!