• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

নিহত র‌্যাব কর্মকর্তার পরিবারের পাশে ইসলামী ব্যাংক


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৭, ১১:৫৭ এএম
নিহত র‌্যাব কর্মকর্তার পরিবারের পাশে ইসলামী ব্যাংক

ঢাকা: জঙ্গিবিরোধী অভিযানে গিয়ে জঙ্গিদের বোমার আঘাতে নিহত র‌্যাবের সাবেক গোয়েন্দা শাখার প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। তার পরিবারকে ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার টাকার অনুদান দিয়েছে ব্যাংকটি।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ব্যাংকের চেয়ারম্যান আরাস্তু খান নিহত আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী মোসাম্মাৎ সুরাইয়া সুলতানার নিকট এ অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন।

এসময় ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রধান নির্বাহী মো. আব্দুল হামিদ মিঞা, এডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. মাহবুব-উল আলম, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মু. শামসুজ্জামান, নিহত আবুল কালাম আজাদের মাতা সায়েদা করিম ও ছোট ভাই মো. ইউসুফ হাসান হিমেল উপস্থিত ছিলেন।

ব্যাংকটির অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বাবার কেনা জমিতে বাড়ি নির্মাণ করার জন্য প্রায় ৮০ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন লে. কর্নেল আজাদ। এর মধ্যে তিনি গত দুই বছর টানা ৫৯ হাজার টাকা করে কিস্তি দিয়ে আসছিলেন। তবে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সিলেটের জঙ্গি আস্তানার বাইরে আকস্মিক হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

এ ব্যাপারে নিহত আবুল কালাম আজাদের ছোট ভাই মো. ইউসুফ হাসান হিমেল বলেন, বাবা মিরপুর-২ এর বড়বাগে জমি কিনলেও বাড়ি নির্মাণ করতে পারেননি। ভাইয়া দায়িত্ব নিয়ে বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এজন্য ইসলামী ব্যাংকের মিরপুর-১০-এর শাখা থেকে ঋণ নেন ৩৮ লাখ টাকা। এরপর চলতি বছর ট্রাস্ট ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখা থেকে ঋণ নেন ৪০ লাখ টাকা।

হিমেল বলেন, ভাইয়ার আকস্মিক মৃত্যুর পর সেই ঋণ পরিশোধ করাটা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। বাবার পর ভাইয়াই ছিলেন পরিবারের মূল উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। এখন তিনি নেই। আমারও চাকরি নেই। আম্মা ও ভাবি কিছু করেন না।

এজন্য আম্মা ও আমি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে ঋণ মওকুফের জন্য চিঠি দিই। একইভাবে ভাবিও ট্রাস্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেন।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আমাদের ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার টাকার অনুদান প্রদান করেছে। সেই টাকাতে আমরা ব্যাংকঋণ পরিশোধ করছি।

উল্লেখ্য, গত ২৫ মার্চ সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার শিববাড়ি এলাকার ‘আতিয়া মহল’ জঙ্গি আস্তানায় পরিচালিত অপারেশন টোয়াইলাইট এ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে যান র‌্যাবের গোয়েন্দা প্রধান লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদ। ঘটনাস্থলের ৩০০ গজ দূরে জঙ্গিদের রেখে যাওয়া বোমা বিস্ফোরিত হলে স্প্রিন্টার বাম চোখ ভেদ করে মস্তিস্কে আঘাত হানে।

তাৎক্ষণিকভাবে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে জরুরি ভিত্তিতে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা সিএমএইচ-এ স্থানান্তর করা হয়। পরের দিন ২৬ মার্চ উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে ও চিকিৎসা শেষে গত ২৯ মার্চ দেশে ফেরত এনে পুনরায় সিএমএইচ-এ ভর্তি রাখা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩১ মার্চ রাত ১২টার দিকে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!