• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
সিএইচওজিএম সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী

নীল অর্থনীতির সুফল পেতে প্রযুক্তি-গবেষণা বিনিময় জরুরি


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ২০, ২০১৮, ১০:৩৭ পিএম
নীল অর্থনীতির সুফল পেতে প্রযুক্তি-গবেষণা বিনিময় জরুরি

ফাইল ফটো

ঢাকা: নীল অর্থনীতির সুফল পেতে বিভিন্ন আঞ্চলিক সংস্থার বাইরের দেশগুলোর সম্পৃক্ততার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুক্তরাজ্যে কমনওয়েলথ সরকারপ্রধানদের ২৫তম বৈঠকের (সিএইচওজিএম) উদ্বোধনী দিনে ‘একটি অধিকতর সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ (কমনওয়েলথ ব্লু চার্টার)’ শীর্ষক এক অধিবেশনে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কমনওয়েলথ নীল সনদ গ্রহণকে পুরোপুরি সমর্থন করে। বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী দেশ। বিমসটেক, সার্ক ও আইওআরএ’র সদস্য হিসেবে আমাদের মহাসাগর, সাগর ও সামুদ্রিক সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনার জন্য নিরলসভাবে নীল অর্থনীতিকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। এই সনদে ব্লু চার্টার অ্যাকশন ফান্ড ও ব্লু চ্যাম্পিয়ন্স গঠনসহ বেশকিছু উদ্ভাবনী উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, সদস্য রাষ্ট্রগুলো এ সনদকে যথাশিগগিরি সম্ভব কার্যোপযোগী করে তুলবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ইন্টারনেটের মাধ্যমে সাইবার হামলা ও সন্ত্রাসবাদের প্রচারের হুমকি মোকাবেলাও আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কমনওয়েলথ সাইবার ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঘোষণার রূপরেখা অনুযায়ী সাইবার গভর্ন্যান্সে সহযোগিতার জন্য মূলনীতি ও দিকনির্দেশনাগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি এ ঘোষণা আশু বাস্তবায়নে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করে যথাযথ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য কমনওয়েলথ সচিবালয়ের প্রতি আহ্বান জানান।

রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে কমনওয়েলথকে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান
রোহিঙ্গা সঙ্কটের স্থায়ী সমাধানে কমনওয়েলথ সদস্য দেশগুলোকে কার্যকর ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় বিকেলে লন্ডনের ল্যানক্যাস্টার হাউজে কমনওয়েলথ দেশগুলোর সরকারপ্রধানদের এক্সিকিউটিভ সেশনে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, গত বছর জাতিসংঘ অধিবেশনে দেয়া পাঁচটি প্রস্তাবের আলোকে কমনওয়েলথ সদস্য দেশগুলোকে এ সঙ্কটের স্থায়ী সমাধানে কার্যকর ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাই। মানবিকতার প্রতি কমনওয়েলথ দেশগুলোর সামষ্টিক দায়বোধ ব্যর্থ হতে পারে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক মিলিয়নের বেশি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিককে আমরা আশ্রয় দেয়েছি। বাস্তুচ্যুত এ নাগরিকদের তাদের মাতৃভূমিতে নিরাপত্তা ও সম্মানের সঙ্গে ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার একটি চুক্তি করেছে। এ নিয়ে আমরা জাতিসংঘসহ এর সহযোগী বিভিন্ন সংস্থাকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করছি।

রানির দেওয়া নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী
বাকিংহাম প্যালেসে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর নেতাদের সম্মানে রানি এলিজাবেথের দেওয়া নৈশভোজে অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তাকে স্বাগত জানান ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্যরা। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ অন্য নেতারাও অংশ নেন নৈশভোজে। অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও প্রিন্স চার্লস।

শুক্রবার (২০ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী তিনটি ‘রিট্রিট সেশন’ ও শীর্ষ সম্মেলনের সমাপনী কার্যনির্বাহী অধিবেশনে অংশ নেন। এসব সেশনে বিশ্ব নেতারা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, নিরাপত্তা এবং সাইবার হামলা ইস্যুতে কথা বলেন।

শনিবার (২১ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেয়া অভ্যর্থনায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সন্ধ্যায় তিনি রয়েল কমনওয়েলথ সোসাইটি (আরসিএস) আয়োজিত শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সরকারপ্রধানদের জন্য সংবর্ধনা এবং রানির জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। রোববার (২২ এপ্রিল) লন্ডনের স্থানীয় সময় বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-২০২ ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!