• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নীলফামারীতে ১০ সহস্রাধিক মানুষ পানিবন্দি


নীলফামারী প্রতিনিধি জুলাই ১১, ২০১৭, ১০:৪৮ এএম
নীলফামারীতে ১০ সহস্রাধিক মানুষ পানিবন্দি

নীলফামারী : উজানের ভারী বর্ষণ আর পাহাড়ী ঢলে নীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে তিস্তা নদীর পানি  ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্ট বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।  এতে করে নদীর তীরবর্তি নীলফামারী দু’টি উপজেলার অন্তত ২৫টি গ্রামের ১০ সহস্রাধিক মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া  ডিভিশনের বন্যাপূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ সূত্র জানায়, উজানের ঢল ও ভারি বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সোমবার সকাল ৬টায় তিস্তা সেচ প্রকল্পের ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্ট বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। আজ মঙ্গলবার পানি কমে বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইয়ে চলেছে নদীর পানি।

নদীরপানি বৃদ্ধির ফলে জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশাচাপানী, ঝুনাগাছচাপানী, গয়াবাড়ি ও জলঢাকা উপজেলার, গোলমুণ্ডা, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী ২৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের ১০ সহস্রারাধিক মানুষ বন্যাকবলিত হয়ে অন্তত পাঁচ সহস্রারাধিক মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন বলে জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানী ইউনিয়নের ছোটখাতা গ্রামের নজরুল ইসলাম ইসলাম (৪০) বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ছোটখাতা গ্রামের ছয় শতাধিক বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। পানিবন্দী এসব পরিবার চুলা জ্বালাতে না পেরে দু’দিন ধরে  শুকনা খাবার খেয়ে দিন কাটাচ্ছে।

একই ইউনিয়নের পশ্চিম বাইশপুকুর গ্রামের সমসের আলী বলেন, পূর্ব বাবইশপুকুর ও পশ্চিম বাইশপুর গ্রামের প্রায় এক হাজার পরিবার তিস্তার বন্যায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বানের পানির ঢলে ওই গ্রামে সেচ্ছাশ্রমে নির্মিত বাধটি হুমকির মধ্যে পড়েছে।

ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ইউনিয়নের পশ্চিম বাইশপুকুর, পূর্ব বাইশপুকুর, সতিঘাট, সুপুরটারী গ্রামের বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। এসব গ্রামের বাড়িঘরে পানি থাকায় দু’দিন ধরে চুলা জ্বালাতে পারছে না পরিবারগুলো। ফলে তারা না খেয়ে দিন কাটাছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া ডিভিশনের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন,  তিস্তার পানি বৃদ্ধির কারণে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রেখে পানি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।  আরো পানি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, বন্যার পূর্বাভাস থাকায় নদীরতীরবর্তী এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক করা হয়েছে। তাঁরা এলাকার মানুষকে  সতর্ক করছেন নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে নিরাপদ স্থানে সড়ে যেতে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!