• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নেতৃত্ব বাছাই: খালেদার গুডবুকে ছাত্রদলের ১০ নেতা


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ৯, ২০১৭, ১১:০৩ এএম
নেতৃত্ব বাছাই: খালেদার গুডবুকে ছাত্রদলের ১০ নেতা

ঢাকা: জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নতুন নেতৃত্বের জন্য ১০ জনকে গুডবুকে নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এদের মধ্য থেকে সুপার ফাইভ চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গেছে। তবে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আড়াই মাস পরও নতুন কমিটি নিয়ে দৃশ্যত কোনো তৎপরতা দেখা না গেলেও নেতাকর্মীদের মধ্যে এ নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ করা যাচ্ছে।

নতুন কমিটির বিষয়ে সবাই তাকিয়ে আছেন সাংগঠনিক নেত্রী খালেদা জিয়ার দিকে। এমন পরিস্থিতিতে যারা নতুন কমিটিতে পদ পেতে চান, তারা শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। দুঃসময়ে দলের পাশে না থাকা নেতারাও সুপার ফাইভে পদ নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ তদবির অব্যাহত রেখেছেন। চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সূত্রে জানা যায়, মেয়াদোত্তীর্ণ ছাত্রদলের নতুন কমিটি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন খালেদা জিয়া। এতে চমক থাকবে। ১০ নেতার মধ্য থেকেই সুপার ফাইভ চূড়ান্ত করার অনানুষ্ঠানিক কার্যক্রমও শুরু হয়েছে।

সূত্রটি আরো জানায়, বিরোধী দলের এ পরিস্থিতিতে যাদের সংগঠনের ভেতরে-বাইরে ক্লিন ইমেজ আছে, তারাই কমিটিতে স্থান পাবেন। ভবিষ্যতে কঠিন পরিস্থিতির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে যোগ্য ও দক্ষ নেতাদের কাধেই দায়িত্ব দেয়া হবে। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, বিএনপির এ সংকটকালে ছাত্রদলের কিছু নেতা নিজেদের মধ্যে অপপ্রচার অব্যাহত রেখেছেন। ফলে খুঁড়িয়ে চলা এ সংগঠনটির অগ্রযাত্রা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নতুন বছরে নতুন কমিটি গঠনের মাধ্যমে এই অপপ্রচার কলঙ্কমুক্ত হতে পারে।

সর্বশেষ সংগঠনটির ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতেও পদপ্রত্যাশীরা পৃথক শোডাউন-মিছিল করে নিজেদের শক্তির জানান দেন। এর আগে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠনের জন্য নয়া পল্টনে সংগঠনের একাংশের নেতারা বিশেষ বৈঠকও করেন। 

এদিকে নতুন কমিটিতে শীর্ষ পদে অনেকের নাম শোনা গেলেও মূল আলোচনা ১০ নেতাকে ঘিরেই। এদের মধ্যে বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান ও সিনিয়র সহসভাপতি মামুনুর রশিদ মামুনের মধ্যে যেকোনো একজনকে নতুন কমিটির শীর্ষ পদে রাখার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। 

এ ছাড়া সুপার ফাইভে যাদের নাম আলোচনায় রয়েছে তারা হলেন- দলের সহসভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, আবু আতিক আল হাসান মিন্টু, ইখতিয়ার কবির, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, যুগ্ম সম্পাদক কাজী মোখতার হোসাইন, মিয়া রাসেল, মেহবুব মাসুম শান্ত, ক্রীড়া সম্পাদক  সৈয়দ মাহমুদ।

তবে পদপ্রত্যাশী কতিপয় নেতা নতুন কমিটিতে পদ পাচ্ছেন বলে তাদের অনুসারীদের কাছে যে অপপ্রচার চালাচ্ছেন সেসব নেতার কপালে ভাজ পড়তে পারে কমিটি ঘোষণার পর। এদের মধ্যে আবার কেউ আছেন যারা ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টি করে পদ বাগিয়ে আনারও ফন্দি করছেন।

নতুন কমিটির বিষয়ে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান বলেন, সংগঠনের সাংগঠনিক নেত্রী খালেদা জিয়া যখন চাইবেন তখনই নতুন কমিটি গঠন করা হবে। কমিটি দেয়ার এখতিয়ার কেবল বিএনপি চেয়ারপারসনের বলেও জানান তিনি।

ছাত্রদলের অভিভাবক হিসেবে পরিচিত সদ্য সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান কমিটির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, নতুন কমিটি গঠনের বিষয়ে ম্যাডাম এখনো নির্দেশনা দেননি। যখনই নির্দেশনা দেবেন, তখনই কমিটি গঠনের মূল কাজ শুরু হবে।

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, দুই বছরের জন্য গঠিত কমিটি ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর রাজীব আহসানকে সভাপতি ও মো. আকরামুল হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫৩ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর ২০১৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ৭৩৪ জন সদস্য নিয়ে ওই কমিটি পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!