• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
চট্টগ্রামের রাজনীতি

নেতৃত্বশূন্যতায় আ.লীগ, কোণঠাসা বিএনপি


চট্টগ্রাম ব্যুারো মার্চ ৭, ২০১৮, ০২:২১ পিএম
নেতৃত্বশূন্যতায় আ.লীগ, কোণঠাসা বিএনপি

চট্টগ্রাম : জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে চট্টগ্রামের। সেখানে দেশের বড় দুই দলের রাজনৈতিক অবস্থা কেমন তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন আমাদের বিশেষ প্রতিনিধি।

চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ মানেই মহিউদ্দিন চৌধুরী আর মহিউদ্দিন মানেই আওয়ামী লীগ বলে বুঝত সবাই। জাতীয় রাজনীতিতেও মহানগর আওয়ামী লীগ ও এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ছিলেন সমার্থক। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর তার মৃত্যুর দুই মাস পার হয়ে গেলেও নেতৃত্বের এ শূন্যতা পূরণ নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ। একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তার নেতৃত্বশূন্যতা নিয়ে সংগঠনের মধ্যে যথেষ্ট উদ্বেগ উৎকণ্ঠা রয়েছে।

নগর আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যু দলের জন্য বিশাল শূন্যতা দেখা দিয়েছে। এ শূন্যতা কাকে দিয়ে পূরণ হবে, সেটা সময়ই বলে দেবে।

মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুর ১০ দিনের মাথায় চট্টগ্রামের আরেক বর্ষীয়ান নেতা মরহুম জহুর আহমদ চৌধুরীর ছেলে মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীকে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়। কিন্তু আদৌ নগর আওয়ামী লীগে মহিউদ্দিন চৌধুরীর শূন্যতা পূরণ হবে কি না, তা নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক সংশয়।

দলীয় সূত্র জানায়, বর্তমানে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন সম্মিলিতভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি চালিয়ে গেলেও যুবলীগ ও ছাত্রলীগের মধ্যে বিভাজন রয়েছে। এ দুটি অংশে মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারীদের শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে। দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের এ বিভাজনের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বিভিন্ন সময়।

সর্বশেষ গত সোমবার লালদীঘি মাঠে মহানগর ছাত্রলীগ আয়োজিত মহিউদ্দিন চৌধুরীর শোকসভাতেও প্রকাশ্যে সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ। এর আগে আউটার স্টেডিয়ামে সুইমিং পুল নির্মাণকে কেন্দ্র করে নগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছিরের বিপক্ষে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছিল নগর ছাত্রলীগের মহিউদ্দিন চৌধুরী অনুসারী গ্রুপ। ওই সময় দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছিল। সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত হত্যাও কলেজকেন্দ্রিক দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের বলি বলে সর্বত্র আলোচিত। এসব দ্বন্দ্ব-সংঘাতের প্রভাব পড়ছে মূল সংগঠনেও।

দলীয় নেতারা জানান, নগর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে থাকা নেতাদের মধ্যে মহিউদ্দিন অনুসারীর সংখ্যাও বেশি। এ ছাড়া বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমিন, এমএ লতিফ নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকা নিয়ে ব্যস্ত। তারা নগর আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ে খুব একটা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। যে কারণে এখনো রাজনৈতিক মাঠে মহিউদ্দিনের বিকল্প নেতা হিসেবে কেউ প্রতিষ্ঠিত হননি।

স্থানীয় নেতাদের মতে, একজন রাজনীতিবিদ ছাড়াও দক্ষ প্রশাসক হিসেবে চট্টগ্রামের উন্নয়নে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। কখনো ফুটপাথ, হকার, পরিবহন শ্রমিক, রিকশ-বেবিট্যাক্সি, হোটেল শ্রমিক, লবণ শ্রমিক, ডক শ্রমিক, বন্দর ইস্যুতে সামনের সারিতে নেতৃত্ব দিয়ে বারবার আলোচনায় আসেন।

তাদের মতে, ওয়ান-ইলেভেনের কঠিন দুঃসময়েও নানা বাধাবিপত্তিতে টলানো যায়নি মহিউদ্দিন চৌধুরীকে। কারাবন্দি হয়েছিলেন। নানা সুযোগ-সুবিধার প্রস্তাব পেয়েও আপোস করেননি।

রাজনীতিতে মহিউদ্দিন চৌধুরীর শূন্যতা নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, দলীয় ও দেশের রাজনীতিতে মহিউদ্দিন চৌধুরীর অবস্থান ছিল বিশাল। তাই তার শূন্যতাও বিশাল। এমএ আজিজ, জহুর আহমদ চৌধুরীর পরে চট্টগ্রামে জননেতা বলতে সর্বাগ্রে চলে আসে মহিউদ্দিন চৌধুরীর নাম। তিনি দলনেতা থেকে জননেতায় পরিণত হয়েছিলেন। তার শূন্যতা কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে।

নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, কোনো কিছুই কারো জন্য থেমে থাকে না। এম  আজিজ, জহুর আহমদ চৌধুরী, এমএ হান্নান, এমএ মান্নানের শূন্যতাও আস্তে আস্তে পূরণ হয়েছে। নিজের কাজ দিয়ে কেউ না কেউ অবশ্যই বেরিয়ে আসবেন এ শূন্যতা পূরণে।

মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুপস্থিতিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ রেখে সংগঠনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানালেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক সংগঠন। ইতোমধ্যে আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমরা সবাইকে নিয়ে ইতোমধ্যে সফলভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছি।
 
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মী বলেন, মহিউদ্দিন চৌধুরীর মতো সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য ও ভাবমূর্তিসম্পন্ন নেতা পেতে হয়তো বা দীর্ঘ সময় কেটে যাবে। এ শূন্যতা পূরণ করতে হলে দলের ভেতরের অন্তঃকোন্দল কাটিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

কাণ্ডারিশূন্যতায় ভুগছে চট্টগ্রাম বিএনপির রাজনীতি। সরকার ও প্রশাসনের নানামুখী চাপে আন্দোলন-সংগ্রামে মিছিল-মিটিং নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের এখন নগরীর রাজপথে জোরালো অবস্থান নিতে দেখা যায় না। দলের নগর ও উত্তর জেলা কমিটির দুই শীর্ষ নেতা রয়েছেন কারাগারে।

উত্তর জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিবের পদটিও রয়েছে শূন্য। দক্ষিণ জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুজন রয়েছেন দুই মেরুতে। গত কয়েক বছর ধরে মহানগরে মাঝেমধ্যে দলীয় কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের কিছুটা অংশগ্রহণ থাকলেও বেহাল অবস্থা উত্তর ও দক্ষিণ জেলায়। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দলীয় চেয়ারপারসনকে কারাগারে পাঠানো হলেও একসময়কার বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম নগর কিংবা জেলার কোথাও কোনো জোরালো আন্দোলন কর্মসূচি না থাকায় অনেকটা হতাশা ভর করেছে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে।

তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলছেন, দলের সিনিয়র নেতাদের ধারাবাহিক অনুপস্থিতির কারণে আস্থার সঙ্কটে ভুগছেন সাধারণ কর্মীরা। এ অবস্থায় কর্মীদের মনোবল ফিরিয়ে আনতে না পারলে আগামীদিনে আরো কঠিন পরিস্থিতিতে পড়বে দল।

দলের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম বলেন, সরকার মামলা-হামলার মাধ্যমে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে। দলীয় চেয়ারপারসনের রায়কে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম নগরী ও জেলার অনেক নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা করা হয়েছে। অনেকে হুলিয়া নিয়ে আছে। তারপরও আমরা নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি। নগর ও উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি কারাগারে থাকলেও সেখানকার কার্যক্রম বন্ধ নেই। অন্যরা ঐক্যবদ্ধভাবে বিভিন্ন সাংগঠনিক কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে এবং দিন দিন এসব কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বাড়ছে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠানো হলেও বড় ধরনের কোনো শোডাউন করতে পারেনি বিএনপি। নগর বিএনপি সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা ওইদিন নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ে জড়ো হলেও চট্টগ্রামে বিএনপির অভিভাবক হিসেবে গণ্য কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মীর মো. নাসির উদ্দিন, গোলাম আকবর খোন্দকার ও নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর ছিলেন অনুপস্থিত।

কিছু নেতাকর্মী দলীয় কার্যালয়ের বাইরে সমাবেশ করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় নগর বিএনপি সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনসহ ১৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে হামলার দুই মামলায় ডা. শাহাদাত এখনো কারাগারে রয়েছেন।

দলীয় সূত্র জানায়, একদিকে সভাপতি কারাগারে থাকায় একাধিক মামলায় ফেরারি থাকায় সাধারণ সম্পাদকও প্রকাশ্যে কোনো কর্মসূচিতে নেই। পাশাপাশি বিভিন্ন মামলায় আসামি হয়ে অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের একটি বড় অংশও পুলিশি আতঙ্কে অনেকটা আত্মগোপনে। এ অবস্থায় নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে কেন্দ্র ঘোষিত বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে দলের নেতাকর্মীদের সংগঠিত রাখার চেষ্টা চলছে।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান এ প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করতে সরকার নেতাকর্মীদের মামলা-হামলার মাধ্যমে দুর্বল করার চেষ্টা করছে। সভাপতির অনুপস্থিতিতে অন্যরা সম্মিলিতভাবে দলের কার্যক্রম চালানোর দাবি করেন আবু সুফিয়ান। বলেন, আমরা আমাদের নিজস্ব কৌশল নিয়ে এগোচ্ছি।

মহানগরীর চেয়েও খারাপ অবস্থা চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির কার্যক্রমে। উত্তর জেলায় দীর্ঘদিন ধরেই গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আসলাম চৌধুরীর অনুসারীদের মধ্যে বিভাজন রয়েছে। একাধিক মামলার আসামি হয়ে প্রায় ১৯ মাস ধরে কারাগারে রয়েছেন উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরী। গত ৮ জানুয়ারি মারা যান সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল হাসান। তাদের এ অনুপস্থিতির প্রভাব রয়েছে দলীয় কর্মকাণ্ডে। জেলা কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু কর্মসূচি পালিত হলেও তা অনেকটা নগরকেন্দ্রিক। উপজেলা পর্যায়ে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম খুব একটা দৃশ্যমান নয়।

উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন এ প্রসঙ্গে বলেন, বর্তমানে আমরা জেলা বিএনপির সবাই ঐক্যবদ্ধ। কারাগারে থাকা সভাপতি আসলাম চৌধুরীর নির্দেশনা অনুযায়ী দলের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

নগর ও উত্তর জেলার মতো দক্ষিণ জেলায় নেতৃত্বশূন্যতা না থাকলেও সেখানকার কার্যক্রমে রয়েছে একধরনের স্থবিরতা । জেলা বিএনপির সভাপতি, সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক গাজী শাহজাহান জুয়েলের অনুসারীদের মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি দৃশ্যমান।

জানতে চাইলে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে পুলিশ চট্টগ্রামেও বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক ধরপাকড় চালিয়েছে। চরম প্রতিকূলতা সত্ত্বেও জেলা, উপজেলা কিংবা পৌরসভা পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও এখন সুসংগঠিত হচ্ছে। ভয়ভীতি উপেক্ষা করে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে।

দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কামরুল ইসলাম হোসাইনী এ প্রসঙ্গে বলেন, সরকার তো বিএনপি নেতাকর্মীদের দুর্বল করতে পুলিশ বাহিনীকে নির্লজ্জভাবে ব্যবহার করছে। বিভিন্ন উপজেলায় অসংখ্য নেতাকর্মী হুলিয়া মাথায় নিয়ে ঘুরছে। তারপরও সিনিয়র নেতারা ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি দিতে পারলে নেতাকর্মীরা আরো চাঙ্গা হতো। আস্থা ও সাহসের ঠিকানা খুঁজে পায় তারা। কিন্তু নেতাদের ধারাবাহিক অনুপস্থিতি তৃণমূলের কর্মীদের মধ্যে হতাশার জন্ম দেয়।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!