• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নেশায় আসক্ত তরুণের প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন


নিউজ ডেস্ক এপ্রিল ৩, ২০১৭, ০৯:২৫ পিএম
নেশায় আসক্ত তরুণের প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন

ঢাকা: ফেসবুক-ম্যাসেঞ্জারসহ সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিশ্চই মানুষের মধ্যে যোগাযোগ বাড়িয়েছে। তবে এর কিছু খারাপ দিকও রয়েছে। দেশের তরুণ-তরুণীরা ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। ফলে দেশের তরুণ সমাজ লেখাপড়াসহ বিভিন্নভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এমন কি কাছের মানুষ দূরে চলে যাচ্ছে। তাই ফেসবুকে আসক্ত এক তরুণ প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি আবেদন জানিয়েছেন। সোনালীনিজজ ডটকমের পাঠকদের জন্য সেই আবেদনটি হুবহু প্রকাশ করা হলো।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘ সাত বছরের বেশি সময় ফেসবুকের সাথে নষ্ট করে বুঝতে পারলাম ফেসবুক শুধু টাকাই নিয়ে যায়নি অনেকটা দূরত্বও সৃষ্টি করেছে পরিবারের সদস্যদের মাঝে, বন্ধুদের সাথে। আর আমরা পরে থাকি হাজার মাইল দূরের অচেনা অজানা মানুষদের নিয়ে। হুম আমি স্বীকার করি ফেসবুক দূরের মানুষকে আপন করে দিয়েছে কিন্ত কাছের মানুষকে ঠেলে দিয়েছে দূর বহুদূরে। কাছের মানুষগুলো মনমরা হয়ে যাচ্ছে। আজ আমরা পাশে থাকার পরেও আমাদের বাবা মায়েরা একাকিত্বে ভোগে। আর একাকিত্ব একটা মানুষকে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে দেয় না। আমরা একেকজন বিকল যন্ত্রে পরিণত হচ্ছি।


 

এক কথায় বলা চলে আমি এখন ফেসবুকে আসক্ত। আর এই আসক্তি মাদক দ্রব্যের চেয়েও ভয়াবহ। একজন মাদকাসক্ত এক ঘন্টা দুই ঘন্টা কিংবা চার ঘন্টা মাদকদ্রব্য গ্রহণ করে কিন্ত আমি দশ থেকে বার ঘন্টা ফেসবুক আসক্তিতে জর্জরিত। পরিবারের প্রতিটি লোক সব সময় বলে ফেসবুক ছেড়ে পড়তে বসার জন্য। আমিও বুঝি কিন্ত আসক্তি খুব খারাপ বিষয়, চাইলেও ছাড়া যায় না।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমি কাছের মানুষগুলোকে নিয়ে থাকতে চাই। মনমরা হয়ে নয়, পরিবারের প্রতিটি মানুষের সাথে আড্ডা গল্পে মেতে উঠতে চাই। পরিবারের সুখ দুঃখগুলো ভাগ করে নিতে চাই। আর তাই আপনার কাছে অনুরোধ ফেসবুকে কিছু বাধ্যবাধকতা আনুন। মেসেঞ্জার ফ্রী নয়, প্রতিটা মেসেজের জন্য চার্জ নির্ধারণ করুন। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনার কথা ভেবে সময় নির্ধারণ করে দিন। সবচেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে যে আমাদের দেশে 26 পয়সার ডাটা 276 টাকা দামে বিক্রয় করা হয় আবার আমাদের দেশেই বহুল ব্যবহৃত মেসেঞ্জার ফ্রী করে দেয়া হয়। যার কোন সুফল দেখি না। আমরা বুঝি না দেশ ফেসবুকালাইজেশন হচ্ছে নাকি ডিজিটালাইজেশনের দিকে ধেঁয়ে যাচ্ছে।

আমি বিশ্বাস করি অসম্ভব বলে কোন কথা নেই। যে কোন আসক্তিই পরিহার করা সম্ভব শুধু নিজের ইচ্ছাশক্তি থাকা চাই। আমি অবশ্যই পারবো।

বিঃ দ্রঃ লেখাটাকে শুধু একটি স্ট্যাটাস হিসেবে না দেখে মেসেজ হিসেবে দেখার জন্য অনুরোধ করছি।

সোনালীনিউজডটকম/ঢাকা/এমআর

Wordbridge School
Link copied!