• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নোবেল নিতে রাজি হলেন বব ডিলান


আন্তর্জাতিক ডেস্ক মার্চ ২৯, ২০১৭, ০৯:৫০ পিএম
নোবেল নিতে রাজি হলেন বব ডিলান

ঢাকা: সকল জল্পনার পরে অবশেষে সাহিত্যে অবদান রাখায় তাকে দেয়া নোবেল পুরস্কার নিতে রাজি হয়েছেন মার্কিন সঙ্গীত শিল্পী ও গীতিকার বব ডিলান। চলতি সপ্তাহেই স্টকহোমে এ পুরস্কার গ্রহণ করবেন তিনি। সুইডিশ একাডেমির স্থায়ী সচিব সারা দানিউস এক ব্লগ পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর মধ্য দিয়ে ১৯৯৩ সালের পর দীর্ঘ ২৪ বছর শেষে কোনো মার্কিন নাগরিক সাহিত্যে নোবেল পেলেন।

২০১৬ সালের অক্টোবরে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের জন্য বব ডিলান-এর নাম ঘোষণা করা হয়। সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে নতুন কাব্যিক ব্যঞ্জনা সৃষ্টির স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এ সম্মানে ভূষিত করার সিদ্ধান্ত নেয় নোবেল কর্তৃপক্ষ। ২০১৬ সালের অক্টোবরে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের জন্য বিজয়ী হলেও এতোদিন পর্যন্ত এ পুরস্কার গ্রহণ করেননি বব ডিলান। এমনকি নোবেলের ৯ লাখ ১০ হাজার ডলার সমমূল্যের অর্থ নেয়ার জন্য যে বক্তব্য দেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে সেটিও দেননি তিনি। 

তার নোবেল গ্রহণ না করার এ খবর বিশ্বজুড়ে আলোচনা সৃষ্টি করে। অবশ্য নোবেল প্রত্যাখ্যানও করেননি বব ডিলান।

সারা দানিউস বলেন, সুখবর হচ্ছে, সুইডিশ একাডেমি এবং বব ডিলান চলতি সপ্তাহের শেষদিকে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তখন একাডেমি বব ডিলানের নোবেল ডিপ্লোমা ও নোবেল পুরস্কার হস্তান্তর করবে। সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পাওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানানো হবে। নোবেল একাডেমি বলছে, সুইডেনের রাজধানীতে, যেখানে দুটি কনসার্ট করবেন ডিলান, সেখানে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করবেন একাডেমির সদস্যরা। অবশ্য বব ডিলান সেখানে কোনো বক্তব্য দেবেন না।

সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের জন্য বব ডিলান-এর নাম ঘোষণার সময় নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। এতে বলা হয়, সুমহান  মার্কিন সঙ্গীতের ঐতিহ্যে নতুন কাব্যিক মূর্ছনা তৈরি করে তিনি এই পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। ১৯০১ সালে শুরু হয়ে এ নিয়ে ১০৯ বার সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ঘোষিত হয়েছে। ১১৩ তম ব্যক্তি হিসেবে এই পুরস্কার জিতে নেন তিনি।

রবার্ট অ্যালেন জিমার নামের এই গায়ক-গীতিকার, সঙ্গীতজ্ঞ, চিত্রকর ইংরেজ কবি ডিলন টমাসের কাছ থেকে বব ডিলান নামটি ধার করেন। ডিলানকে বলা হয় রক গানের বিদ্রোহী রাজা। গত পঞ্চাশ বছর ধরে জীবনের জন্য গান গেয়ে যাচ্ছেন তিনি। কেবল সঙ্গীতজ্ঞ নন তিনি, একইসাথে ছিলেন নাগরিক অধিকার আন্দোলনের কর্মী এবং যুদ্ধবিরোধী আন্দোলনের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। 

ডিলানের গানের কথা মূলত রাজনীতি, সমাজ, দর্শন ও সাহিত্যিক প্রভাব সম্বলিত। এই শিল্পী, গীতিকার খ্যাতির তুঙ্গে পৌঁছান গত ষটকের ষাটের দশকে। হাতে গিটার আর গলায় ঝোলানো হারমোনিকা হয়ে ওঠে তার ট্রেডমার্ক। সে সময় তার ‘ব্লোয়িং ইন দ্য উইন্ড’ আর ‘দ্য টাইমস দে আর আ-চেইঞ্জিং’ এর মত গানগুলো পরিণত হয়েছিল যুদ্ধবিরোধী আন্দোলনের গণসঙ্গীতে।

নিজস্ব সঙ্গীত ধারা প্রসারের পাশাপাশি তিনি আমেরিকার বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীতের প্রতি আকর্ষন অনুভব করেছেন। ফোক রকের কথা বললেই বব ডিলানের নামটা চলে আসে। তিনি আমেরিকান লোকগীতি ও কান্ট্রি, ব্লুজ থেকে রক অ্যান্ড রোল, ইংরেজ, স্কটিশ, আইরিশ লোকগীতি, এমনকি জ্যাজ, ব্রডওয়ে, হার্ড রক এবং গসপেলও গেয়েছেন। বব ডিলান আসলে একজন কবি; যিনি তার কবিতাকে গিটারের আশ্রয়ে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন। বিবিসি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা

Wordbridge School
Link copied!