• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
নীলফামারীর ৪ আসন

নৌকার মাঝি হতে লড়ছেন ২২ নেতা


সুমন মুখার্জী, নীলফামারী জুলাই ২০, ২০১৭, ০১:১৫ পিএম
নৌকার মাঝি হতে লড়ছেন ২২ নেতা

নীলফামারী: টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার পরও নীলফামারীতে নিজেদের একচেটিয়া অবস্থান নিশ্চিত করতে পারেনি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এ জেলার কোন কোন অংশে আওয়ামী লীগের সাথে জাতীয় পার্টি এবং জামায়াতের অবস্থান একই রকমের। গত নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেয়ায় জয় পেতে সমস্যা হয়নি। তবে একাদশ নির্বাচনে জয় তুলে আনতে যথেষ্ট ঘাম ঝরাতে হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

তাই আগামী ভোটের জন্য প্রভাবশালী স্বচ্ছ ইমেজের সৎ, যোগ্য প্রার্থী বাছাই করছে দলটি। এরই মধ্যে জেলার চার আসনের জন্য প্রাথমিকভাবে ২২ জন প্রার্থীর তালিকাও প্রস্তুত করা হয়েছে।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ জেলার ৪টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩টি ও জাতীয় পার্টি ১টি আসনে জয়ী হয়। এর মধ্যে জলঢাকার আসনে আওয়ামী লীগ জয়ী হলেও এমপির সাথে দলীয় নেতা-কর্মীর দুরত্বের কারণে মাঠপর্যায়ে তেমন চাঙা হতে পারেনি।

দলের রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর মতে, নীলফামারী ও জলঢাকায় জামায়াতের অবস্থান দুর্বল হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ এখন নীলফামারীর মাটি ও মানুষের দল। আগামী নির্বাচনে সবগুলো আসনেই আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়ী হবে।

দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা একাংশ) আসনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আশায় প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের ৬ নেতা।

ডিমলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাবেক সাংসদ ড. হামিদা বানু শোভা, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক সরকার ফারহানা আক্তার সুমি, সুপ্রিম কোর্টের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাড. মনোয়ার হোসেন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মো. তসলিম উদ্দিন প্রচারণা চালাচ্ছেন।

নীলফামারী-২ (সদর) আসনে একক প্রার্থী সংস্কৃতিবিষয়কমন্ত্রী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর।

নীলফামারী-৩ (জলঢাকা-কিশোরগঞ্জ একাংশ) আসনে মনোনয়ন পেতে ইচ্ছুক জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা এমপি, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর, আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি দিপু বাবু, জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনছার আলী মিন্টু, জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহিদ হোসেন রুবেল, সাবেক পৌরসভার মেয়র ও পৌর কৃষকলীগের সদস্য ইলিয়াস হোসেন বাবলু।

এছাড়া নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-আংশিক কিশোরগঞ্জ) মনোনয়ন নিশ্চিতে কাজ করছেন নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন, আওয়ামী লীগ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইমলাম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমানে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির সদস্য আমেনা কোহিনুর আলম, আওয়ামী লীগ সদস্য অধ্যাপক সাখাওয়াত হোসেন খোকন, প্রকৌশলী সেকেন্দার আলী, স্বেচ্ছাসেবকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক নাফিউল করিম নাফা, আওয়ামী কর আইনজীবী পরিষদের প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. আমির উল ইসলাম আমির, জাতীয় মহিলা সংস্থার নীলফামারী জেলা শাখার চেয়ারম্যান ও মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী রাবেয়া আলীম।

তবে মনোনয়ন লাভের আশায় যারা যেভাবেই গণসংযোগ করুক না কেন, দলীয় নেতা-কর্মীদের দাবি, ত্যাগী পরীক্ষিত নেতাদের দেয়া হোক নৌকার টিকিট।

এ প্রসঙ্গে নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ সোনালীনিউজকে বলেন, যারা এলাকায় থাকেন, তৃণমূল মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চলেন, তাদেরকে নৌকার মাঝি করা হোক। এলাকায় থাকেন না, অথচ ভোটের সময় এলে প্রার্থিতা চান এমন মাঝি আমাদের দরকার নেই।

এজন্য দলীয় প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!