• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

‘ন্যায়বিচার পাইনি, রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবো’


আদালত প্রতিবেদক জানুয়ারি ১৬, ২০১৭, ১২:৪৪ পিএম
‘ন্যায়বিচার পাইনি, রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবো’

নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মামলার ফাঁসির দণ্ড পাওয়া র‍্যাবের দুই সাবেক কর্মকর্তার পরিবারের সদস্যরা রায় নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না। তাঁরা বলেছেন, এটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর মামলা। এ নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।

আজ সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সাত খুন মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। এতে নূর হোসেন, র‍্যাব-১১-এর সাবেক তিন কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ সাঈদ, আরিফ হোসেন ও এম এম রানাসহ ২৬ জনকে ফাঁসির দণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ রায় ঘোষণার সময় আদালতে তারেক সাঈদের বাবা মুজিবুর রহমান ও এম এম রানার শাশুড়ি উপস্থিত ছিলেন। রায়ের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে মুজিবুর রহমান বলেন, ‘স্পর্শকাতর এই মামলা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’ রানার শাশুড়ি সুলতানা রহমান শিল্পী বলেন, ‘আমি কোনো কিছু বলতে চাই না।’ অবশ্য তাঁর সঙ্গে আসা এক আইনজীবী রিতা ইসলাম বলেন, তাঁরা খালাস আসা করেছিলেন। তা না হওয়ায় এখন উচ্চ আদালতে যাবেন।

এদিকে ন্যায়বিচার পাননি বলে দাবি করেছেন এ দুই মামলার প্রধান আসামি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেন। আজ সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেন রায় ঘোষণার পর আইনজীবীর মাধ্যমে এ প্রতিক্রিয়া জানান নূর হোসেন।

দুপুর পৌনে ১২টার দিকে আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের নূর হোসেনের এ প্রতিক্রিয়ার কথা জানান তাঁর আইনজীবী এম এ রশীদ ভূঁইয়া। আইনজীবী জানান, নূর হোসেন বলেছেন, আদালত দেশের পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুযায়ী এ রায় দিয়েছেন। তাতে তিনি ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তাই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন নূর হোসেন। সেখান থেকে খালাস পাবেন বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

এর আগে সকাল সোয়া ১০টার দিকে দুই মামলায় রায় ঘোষণা করেন বিচারক। রায়ে নূর হোসেনসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। মোট ৩৫ আসামির মধ্যে বাকি নয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এ দুই মামলায় মোট ২৩ আসামি গ্রেপ্তার আছেন। তাঁরা হলেন—নূর  হোসেন, সামরিক বাহিনী থেকে বরখাস্ত হওয়া র‌্যাব-১১-এর সাবেক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম এম রানা, র‌্যাব সদস্য উপপরিদর্শক (এসআই) পুর্ণেন্দু বালা, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) বজলুর রহমান ও আবুল কালাম আজাদ, হাবিলদার এমদাদুল হক ও নাসির উদ্দিন, কনস্টেবল শিহাব উদ্দিন ও বাবুল হাসান, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক হীরা মিয়া, বেলাল  হোসেন, ল্যান্স করপোরাল রুহুল আমিন, সিপাহি আবু তৈয়ব, নুরুজ্জামান ও আসাদুজ্জামান নূর এবং নূর হোসেনের সহযোগী মোর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দীপু, রহম আলী ও আবুল বাশার।

সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার ও নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে এই ২৩ আসামিকে আদালতে আনা হয়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!