• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
থানা হেফাজতে নির্যাতন

পটুয়াখালীর এএসপির বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল


আদালত প্রতিবেদক মার্চ ১৯, ২০১৭, ১২:৩২ পিএম
পটুয়াখালীর এএসপির বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল

ঢাকা: হাফিজুর রহমান বিজয় নামের এক ব্যক্তিকে থানা হেফাজতে নির্যাতনের ঘটনায় পটুয়াখালীর সার্কেল এএসপি সাইফুল ইসলামের সম্পৃক্ত রয়েছে বলে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

রবিবার (১৯ মার্চ) সকালে পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) দেয়া এ প্রতিবেদন বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ দাখিল করা হয়। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. ফারুক হোসেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত ভিকটিমের চিকিৎসা সনদপত্র, স্বাক্ষীদের জবানবন্দি ও রেকর্ড পত্র পর‌্যালোচনায় দেখা যায়, পটুয়াখালীর জেলা বাউফল থানার ২১ নম্বর মামলার এজহারভুক্ত আসামি কে এম হাফিজুর রহমান বিজয়কে গত ১২ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই ফেরদৌস আলম গ্রেপ্তার করে থানা হাজতে নিয়ে আসেন।

বাউফল সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ওই দিন রাত সাড়ে ১২টায় থানা হাজত থেকে বের করে ভিকটিম বিজয়কে ওসির কক্ষে নিয়ে বেধড়ক মারপিটসহ শারীরিক নির্যাতন করে। তবে একই ঘটনায় বাউফল থানার ওসি আজম খান ফারুকী, ওসি তদন্ত লুৎফর রহমান, এসআই ফেরদৌস আলম ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এএসপি সাইফুল ইসলামকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য ১৯ মার্চ দিন ধার্য করেছিলেন। তার পূর্বে ঘটনার বিষয়ে আইজিপিকে আদালতে একটি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। সে অনুযায়ী রবিবার আইজিপির পক্ষ থেকে আদালতে এই প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এএসপি ও ওসিকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। সেই প্রেক্ষিতে এএসপি সার্কেল সাইফুল ইসলাম ও বাউফল থানার ওসি আযম খান ফারুকী আদালতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি চান। আদালত তাদের আবেদন বিবেচনায় নিয়ে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন আদালত।

আদালত সেদিন রুলও জারি করেন। রুলে এই নির্যাতনের ঘটনাকে কেন অবৈধ ঘোষণা, নির্যাতিতকে কেন ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না’- তা জানতে চাওয়া হয়।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দৈনিক জনকণ্ঠে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বিজয়ের মা জোসনা বেগম অভিযোগ, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার দিকে একটি মামলায় বিজয়কে এসআই ফেরদৌস গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যান।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ওই দিন রাত ১২টার পর তাকে থানা হাজত থেকে বের করে ওসির রুমে এনে শারীরিক নির্যাতন করেন। রাত দেড়টা পর্যন্ত কয়েক দফা তার ছেলের ওপর নির্যাতন চালানো হয়। লাঠি দিয়ে তার ছেলেকে পেটানো হয়েছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!