ঢাকা : ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মিরের মুখ্যমন্ত্রী মেহেবুবা মুফতি পদত্যাগ করেছেন। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মন্ত্রীরা দিল্লিতে দলীয় সাধারণ সম্পাদক অমিত শাহর সঙ্গে মঙ্গলবার (১৯ জুন) বৈঠক করার পরপরই পিপলস ডেমোক্র্যাট পার্টির (পিডিপি) সঙ্গে জোট ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা আসে। এর কিছুক্ষণ পরই মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি পদত্যাগ করেন। এখন গভর্নরের শাসন জারি হয়েছে জম্মু-কাশ্মিরে। জিনিউজের খবর।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রাক্কালে জম্মু-কাশ্মিরের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সুজাত বুখারি শ্রীনগরে গুলিতে নিহত হলে গত রোববার একাধিক টুইট বার্তায় ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং জানান, রমজান মাস শেষ হয়ে যাওয়ায় পুনরায় ওই রাজ্যে অভিযান চালানো শুরু করা হবে। মূলত এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই জোট ভেঙে গেছে। কারণ পিডিপি নেতা ও মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এখনই অভিযান শুরুর পক্ষে ছিলেন না।
মঙ্গলবার (১৯ জুন) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জম্মু-কাশ্মিরে বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা রাম মাধব বলেন, জম্মু ও কাশ্মিরে সুজাত বুখারি কিংবা ঔরঙ্গজেবকে হত্যার মতো নৃশংস ঘটনার পর কেন্দ্রের পক্ষে আর সেনা অভিযান বন্ধ জারি রাখা সম্ভব হচ্ছে না। রমজান মাস উপলক্ষে কাশ্মিরে সেনা অভিযান বন্ধ ছিল। রাম মাধব বলেন, এ ব্যাপারে জঙ্গিদের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। বিজেপি কাশ্মিরে শান্তি ও উন্নয়ন চায় বলেই দাবি করেছেন তিনি। তিনি বলেন, কাশ্মিরের জন্য ৮০ হাজার কোটির প্যাকেজ দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে সীমান্তে চার হাজার বাঙ্কার তৈরির সিদ্ধান্তও নিয়েছে সরকার।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে পিডিপি ও বিজেপি এক হয়ে জম্মু-কাশ্মিরে জোট সরকার গঠন করেছিল। গত এপ্রিল মাসে কাঠুয়া জেলায় যাযাবর মুসলিম সম্প্রদায়ের আট বছর বয়সী এক কন্যাশিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় বিজেপি-পিডিপি জোটে ফাটল ধরে। ওই সময় রাজ্য সরকারের বিজেপির মন্ত্রী চৌধুরী লাল সিং ও চন্দর প্রকাশ গঙ্গা কাঠুয়ায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মুক্তির দাবিতে মিটিং-মিছিল করেছিলেন। বিষয়টি নিয়ে মেহেবুবা মুফতির সঙ্গে দ্বন্দ্ব দেখা দেয় বিজেপির। পরে দেশজুড়ে বিক্ষোভ দেখা দিলে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে পদত্যাগপত্র জমা দেন ওই দুই মন্ত্রী।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :