• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পদত্যাগ করেননি নাটোর জেলা ছাত্রলীগের ‘বিবাহিত’ ১৪ নেতা


নাটোর প্রতিনিধি জুলাই ১৭, ২০১৭, ০১:২০ পিএম
পদত্যাগ করেননি নাটোর জেলা ছাত্রলীগের ‘বিবাহিত’ ১৪ নেতা

নাটোর: জেলার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বেঁধে দেয়া ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটামের পরও পদত্যাগ করেননি নাটোরের বিবাহিত ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ১৩ নেতা। অনেকে আবার পদত্যাগের জন্য ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের দিকে তাকিয়ে আছেন। অপরদিকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের লিখিত কোনো নির্দেশনা না পাওয়ায় দ্বিধার মধ্যে আছেন অনেকেই।

এদিকে, বিবাহিত হওয়ায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ নাটোর জেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। সম্প্রতি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির জরুরি বৈঠকে ছাত্রলীগের বিবাহিত নেতাদের পদত্যাগের নির্দেশ দেয়ার পরপরই তিনি দলের প্রতি সম্মান জানিয়ে এই পদত্যাগ করেন।

সূত্র জানায়, সম্প্রতি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির জরুরি বৈঠকে ছাত্রলীগের বিবাহিত নেতাদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের নির্দেশ দেন। এই নির্দেশের পরেই হৈচৈ পড়ে যায় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে। এ বিষয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বিয়ের পর আর ছাত্রলীগের কমিটিতে থাকা যায় না। তাই দলের প্রতি সম্মান জানিয়ে পদত্যাগ করেছি। বিয়ের পরও যারা কমিটিতে বহাল আছে তাদেরও পদত্যাগ করা উচিত বলে মনে করি।’

তবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বেঁধে দেয়া ৭২ ঘণ্টা পার হলেও আর কোনো বিবাহিত ছাত্রলীগ পদত্যাগ করেনি।

নাটোর জেলা ছাত্রলীগের কমিটির বিয়ের তালিকায় নাম আছে এমন নেতারা হলেন- নাটোর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাকিবুল হাসান জেমস, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম মাসুম, সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান, গোলাপ হোসেন, সাহাবুদ্দিন মোল্লা, নাজমুল হক বকুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সবুজ হোসেন, প্রচার সম্পাদক তানভীর আহাম্মেদ শাওন, সাহিত্য সম্পাদক সাইফ হাসান শাওন, উপ-সাহিত্য সম্পাদক রাকিবুল হাসান রকি, মানব সম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক সরকার গোলাম সাকলাইন, উপ-শিক্ষা উপবৃত্তি সম্পাদক নয়ন কুমার কুন্ড, সদস্য নিয়ন হোসেন।

জেলা ছাত্রলীগের একটি সূত্র জানায়, ২০১৪ সালে নাটোর জেলা ছাত্রলীগের ১৩৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠনের আগে অনেকে বিয়ে না করলেও কমিটির পর অনেক নেতাই বিয়ে করেন।

জেলা ছাত্রলীগের উপ-শিক্ষা ও উপবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক নয়ন কুমার কুন্ডু বলেন, ‘বিবাহিত হওয়ার পর আর ছাত্রলীগ করা যায় না। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নির্দেশনা অনুযায়ী পদত্যাগের বিষয়টি অনেকে ভাবছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের দিকে তাকিয়ে আছি। তারা যে নির্দেশনা দেন আমরা সেটাই মানবো।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা ছাত্রলীগের এক নেতা বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভায় মৌখিক নির্দেশনা দিলেও তারা কোনো লিখিত নির্দেশনা পাননি। যার কারণে লিখিত নির্দেশনা না থাকায় কেউ পদত্যাগ করতে চাইছে না। তবে লিখিত নির্দেশনা এলে বিবাহিত ছাত্রলীগ নেতারা পদত্যাগ করবেন।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!