• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পদত্যাগে রাজি দ. কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট


আন্তর্জাতিক ডেস্ক নভেম্বর ২৯, ২০১৬, ০৮:০৮ পিএম
পদত্যাগে রাজি দ. কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট

ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ, গণবিক্ষোভ আর অভিশংসনের হুমকিতে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগে রাজি হয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউ হে। মঙ্গলবার টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে তিনি এ ঘোষণা দেন। পদত্যাগের প্রক্রিয়া জানতে পার্লামেন্টের কাছ থেকে প্রস্তাবও চেয়েছেন তিনি।

দক্ষিণ কোরিয়ার এই প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি সবকিছু ত্যাগ করতে বা ক্ষমতার মেয়াদ কমানোর প্রস্তাবেও রাজি। তবে তিনি দেশকে ক্ষমতাশূন্য রেখে যেতে চান না। অন্যদিকে পার্লামেন্টে তার পদত্যাগের বিষয়ে গত শুক্রবার আলোচনা হয়েছে, অন্যথায় তাকে অভিশংসনের মুখোমুখি হতে হবে।

বিরোধীদল বলছে, ‘অভিশংসিত হওয়ার আগেই প্রেসিডেন্টকে সম্মানের সঙ্গে পদত্যাগ করা উচিত।’ পার্ক এ পর্যন্ত দুইবার জনসম্মুখে ক্ষমা চেয়েছেন এবং দেশের রাজনৈতিক সংকটের জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। মঙ্গলবার টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে তিনি তৃতীয়বারের মতো ক্ষমা চাইলেন এবং পদত্যাগ করবেন বলে ইচ্ছা প্রকাশ করেন। যদিও এর আগে তিনি পদত্যাগের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।

তবে প্রেসিডেন্টের বক্তব্যকে এক প্রকার রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে আখ্যায়িত করেছে বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির মুখপাত্র ইউয়ান কাওয়ান সুক। প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের বিতর্কটি মূলত ঘনিষ্ঠ বন্ধু চই সুন সিলের সঙ্গে সম্পর্কের সূত্র ধরে সামনে আসে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট পার্ক তার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী চই সুন সিল ও সাবেক সহযোগী আন জং বিয়মের সঙ্গে অশুভ আঁতাতে লিপ্ত ছিলেন। এর সপক্ষে বেশকিছু প্রমাণ হাতে পাওয়ার পর বিশেষ টিম তদন্ত কাজ শেষ করেছে।

দুর্নীতির অভিযোগে ইতিমধ্যে চই ও আন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সম্পর্কের প্রভাব খাটিয়ে বেশ কয়েকটি কনগ্লুমারেটের কাছ থেকে নিজেদের ফাইন্ডেশনের জন্য মোটা অংকের চাঁদা হাতিয়ে নিয়েছেন। এরপরই প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামে লক্ষাধিক মানুষ। ১৯৮০’র দশকের গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভের পর দক্ষিণ কোরিয়ায় সবচেয়ে বড় গণজমায়েত এটি। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট পাকের মেয়াদ শেষ হবে।

সোনালীনিউজ/ ঢাকা/ আরএস

Wordbridge School
Link copied!