• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পদ্মনাভ অধিকারীর কবিতা


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ২৬, ২০১৬, ০৪:০৬ পিএম
পদ্মনাভ অধিকারীর কবিতা

জ্যৈষ্ঠের দিনমানে

শুভ সকাল।
ঐ শব্দটা শ্রোবনান্দ্রীয়ে এসে বাজলে,
ফিরে তাকাতেই; কেমন যেন বিহ্বল হয়ে যাই।
আর কতখন ও অবস্থায় ছিলাম, জানিনা-বুঝিনি !
 
আমি তোমাকে ভালবাসি─

যে কথাতে সম্বিত ফেরে, অনামিকা !
সে কথার উত্তর─শব্দ করে দিতে না পারলেও,
মনেমনে বলি,আমিও কম ভালবাসিনা তোমাকে।

ও বললো, এই বিশেষ সময়ের আবহে,
উপহার দিতেচাই তোমাকে─ একটু কিছু─

বলি, কি ?

বলে, কি আবার ? বৃষ্টি। জ্যৈষ্ঠের
দিন মানে, এরচে’ ভাল কি আর হতে পারে ?

আমিও মনেমনে বলি, কৃষ্ণচুড়ার লালে লালে
তোমাকে রাঙিয়ে দিতে চাই অনামিকা─

বলে, কি ? মুখদিয়ে কথা সরছেনা যে ?

আ-হ্যাঁ।

ও আবার বলে,ঝরঝর ঝিরঝির বৃষ্টি হয়ে,
ভিজিয়ে সজিব করতে চাই তোমাকে নীলাব্জ

বলি, মেয়েরা-স্নিগ্ধ-কোমল মেঘের মতো । আর
মনেমনে বলি,কখনো মঞ্জুল ধারায়,কখনো
আবার আকাশেরে গায়ে লুকিয়ে─ সুকিয়ে
তৃষ্ণার্ত কর যে।

অনামিকা বলে, বা─বা, নীলাজ্ব
এখনো নিজেরে মেলে ধরতে পারলে না !

মনেমনে বলি,মেঘ বৃষ্টির খেলা মানে
ভালবাসা,─যত ঝামেলা-ওখানটাতে।

দু’হাত বাড়ায়ে অনামিকা বলে, এসো─

নীলাব্জ তখন নীলাকাশ হয়, আর
অনামিকা মেঘ গায়ে গা ঘেঁষে তখন
দু’ জন দু’জনাতে কি যে মাখামাখি─


মেঘ মালহার

কি অবলীলায় তোমার বুকের
বোতাম দাও খুলে,যখন মাতাল
হাওয়া আসে ধেয়ে ! আর সেই জ্বালাতে
ঘেমে উঠি নেয়ে─

তুমি তো-মেঘের মতো মেয়ে।
সুযোগ বুঝে আকাশের গায়ে মিশে,
সুখিয়ে মারো। আবার অকারণেই,
ব্যথা বাড়াতে অঝর ধারায় ভিজিয়ে দাও,
যখন ভেতরে ভেতরে উঠি নেয়ে─

প্রবাদে আছে, অবলা মেয়ে মেঘ !
সে নরম কোমল-শ্বেত চন্দনের মতো,
যার সু গন্ধে মাতাল হয় ভ্রমর;তার
ঘুম ভাঙাতে প্রশস্তি গেয়ে─

তুমি মেঘ-আমি পর্বত, ভিজালে-ভিজি।
যখন-দু’জনে দু’জনায় মেতেউঠি প্রেমে,
যেন প্রকৃতিতে মেঘ মালহার
আর বিদুুৎতের ঝালার’র যুগলবন্দি─


দেখবে জগতজুড়ে                                                                                                                                                                                     

বঙ্গবন্ধু তুমি মহান নেতা জাতির পিতা
তোমার আহবানে লড়েছি, লড়ছি-লড়ব
আমরা যত জাগ্রত জনতা, জানি
কোন পথ ধরে এসেছে স্বাধীনতা; সে পথেই দেশটা গড়ব─

কোন দুর্মুখ বলে তুমি নেই!
প্রতিদিন আছো তুমি প্রথম আলোতে
হৃদয়ে ধরেছি সেই বিশ্বাস, হারাইনি খেই
তাই শক্তি ফিরে পাই ‘জয় বাংলা’তে─

সূর্যাদয় থেকে সূর্যাস্ত, আমরা রয়েছি অতন্দ্র-
শত্রু যেন অনুপ্রবেশ না করে এ সীমাতে,
যতোই আসুক প্রতিকুলতা দেশ জুড়ে
প্রতিহত করব─করব না ভয় বুলেট-বোমাতে─

বঙ্গবন্ধু তুমি ছিলে-আছ-থাকবে
এ মাটির কোটি বাঙ্গালি সন্তানের হৃদয় জুড়ে,
শত চেষ্টায়ও যা মুছে দিতে পারবে না কেউ
সময়ের পরীক্ষায় যুগোত্তীর্ণ তুমি─ দেখবে সবাই জগতজুড়ে─

রক্ষী যেখানে অরক্ষিত

নানাবিধ ভাবতে ভাবতে,অবসাদ গ্রস্থ হয়ে পড়ি─

ভেবে পাইনে-দিকবিদিক! কারণ এখানে এখন
মানচিত্র জুড়ে তালমিল হীন প্রবহ মানতা ! আর
কর্কটে কুরে খেয়ে সার শূন্য করে দিচ্ছে-দেবেও-
এমন চলতে থাকলে। ঠিক যেমন করে সব গ্রাস করে
দখলে নেয় অদৃশ্য শত্রু। অথচ ওরা
সঙ্গেই থাকে,চলাফেরাও একই সাথে ! তবুও
না যায় দেখা-না যায় চেনা !

যেমনটি এমুহূর্তে,─ঘর আছে─ আছে তার রক্ষী
কিন্তু সেই রক্ষিই অরক্ষিত- লোপাট করে নিচ্ছে
রাজ কোষ! অই অদৃশ্য শত্রু─

বড় ভাবনায় আছি-বড় দুশ্চিন্তায় আছি
কখন কি হয়-শুধু সেই ভাবনায় । আর ভবিতব্য-
ভবিষ্যৎ-বুঝতে না পেরে, না জেনেই
বুক ভরে নিচ্ছি সিসে ভরা হাওয়া
বাঁচব বলে─তবুও কেন
চিনে নিচ্ছি না ওদের স্বরূপ─ হচ্ছি না হুশিয়ার─?

এমন মজার কল

আমার চোখ ছিলনা চোখে
লাইক-শেয়ারের ঝোকে,
ফেস বুকেতে ছিলাম ঝুঁকে
এ মন যদি হয়, যন্ত্রণা হয় বুকে

আমার প্রতি হোসনে নিদয়-বিষে,
লাইক-শেয়ার-কমেন্টস্, যা পারিশ দিস
নিজগুণে অভ্যাসটা মেনে নিস─

এখন আমার মন লাগেনা কাজে
ফেসবুকে বুঁদ হয়ে থাকি-অভ্যাসটা বড় বাজে,
যে কারণে সময় জ্ঞান নাই
কিভাবে যায় যে সময় ভাই!
যার নেই দিগ্বিদিক
আসলে ফেসবুকটা বিদিগ─

ওর কথা? বলিসনে, সম্পর্কঠা হয়নি কাট
যোগাযোগ ঠিকই আছে বাট,
তা’ শুধু তখনি-যখন হয় চ্যাট─

ফেসবুকের জন্য অর্থ কষ্ট
যে কারণে মাথাই নষ্ট,
সমাজ সংসার? কোনো হিসাব নাই
ফেসবুক এমন মজার কলরে ভাই!
এর মজা ছাড়ব কেমন করে
যে বশিকরণে বশ করেছে ওরে

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আমা

Wordbridge School
Link copied!