• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পদ্মা অয়েলের জ্বালানী তেলে পানি!


বরিশাল ব্যুরো ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮, ১০:৩২ পিএম
পদ্মা অয়েলের জ্বালানী তেলে পানি!

ফাইল ফটো

বরিশাল: বরিশালে পদ্মা ভাসমান অয়েল ডিপো থেকে পানি মিশ্রিত জ্বালানী তেল সরবরাহের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ডিপো কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতেই জ্বালানী তেলে পানি মিশিয়ে বিক্রির ঘটনা ধরা পড়েছে। এক ট্যাংক লরি (৯ হাজার লিটার) ডিজেলের মধ্য থেকে পাওয়া গেছে ৬০ লিটার পানি।

তবে এ অভিযোগের বিষয়ে সন্তোষজনক কোনো উত্তর দিতে পারেননি পদ্মা অয়েল বরিশাল ডিপো কর্তৃপক্ষ। এমন একাধিক অভিযোগ নগরীসহ দক্ষিণাঞ্চলের অধিকাংশ ফিলিং স্টেশন থেকে পাওয়া গেছে। ভেজাল জ্বালানী ব্যবহারে বিকল হচ্ছে যানবাহন।

নগরীর রূপাতলী বটতলা এলাকার হাজী ফিলিং স্টেশনের সত্ত্বাধিকারী হাজী মিরন বলেন, দুই বছর পূর্বে ফিলিং স্টেশন স্থাপনের পর থেকেই নগরীর কেডিসিতে পদ্মা ভাসমান অয়েল ডিপো থেকে তার স্টেশনসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২৬টি ফিলিং স্টেশনে জ্বালানী তেল (ডিজেল ও কেরসিন) সরবরাহ করা হচ্ছে। শুরু থেকেই তিনি পদ্মার জ্বালানী তেলে পানির মিশ্রণ, পরিমাপে কম ও ভেজালের সন্দেহ করেন। এ নিয়ে পদ্মা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাদানুবাদ হয়েছে বহুবার। কিন্তু তারা কখনই দায় স্বীকার না করে উল্টো ডিলারদের হয়রানি করে।

তিনি বলেন, সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সরকারি চালান কেটে পদ্মা ভাসমান ডিপো থেকে এক ট্যাংক লরি (৯ হাজার লিটার) ডিজেল উত্তোলন করেন। বিকেলে ট্যাক লরি ফিলিং স্টেশনে প্রবেশ করলে জ্বালানী তেল দেখে সন্দেহ হয়। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি পদ্মা অয়েল কোম্পানি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়। ডিপো ইনচার্জ একজন প্রতিনিধি হাজী ফিলিং স্টেশনে পাঠালে তার উপস্থিতিতে ট্যাংক লরি থেকে ডিজেল খালাস করান। ডিজেল খালাসের পরে লড়ির তলানীতে ৬০ লিটার পানি পাওয়া যায়। ডিপো থেকে পানি মিশ্রিত জ্বালানী তেল সরবরাহের ফলে ফিলিং স্টেশনের ব্যবসায়ীক ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান তিনি।

ট্যাংক লরি চালকরা অভিযোগ করেছেন, প্রতিটি গাড়িতে পানি পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ডিপোতে অভিযোগ নিয়ে গেলে তাদের ৫-৭ লিটার তেল দিয়ে উল্টো হুমকি ধামকি দিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের বরিশাল ভাসমান ডিপোর সুপারিনটেনন্ডেন্ট মো. শামছুল হক বলেন, তাদের ডিপো থেকে প্রতিদিন দক্ষিণাঞ্চলের ১০ জেলায় ৬২ দশমিক ৫১ টাকা দরে ১ থেকে দেড় লাখ লিটার ডিজেল এবং ৬৩ দশমিক ৫৬ টাকা দরে প্রায় ১০ হাজার লিটার কেরসিন সরবরাহ করা হয়। এতো পানি পাওয়ার কথা নয়। কেনা জ্বালানী তেল লোড করার আগে এবং পরে ট্যাংক লরি ভালোভাবে পরীক্ষা করা হয়। তারপরও যে সমস্যা হয়েছে, তা তাৎক্ষণিক সমাধান করে দেয়া হয়েছে।

তবে জ্বালানী তেলে ভেজাল এবং পরিমাপে কম দেয়ার ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন বরিশাল ট্যাংক লরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামাল উদ্দিন।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!