• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পদ্মা সেতুর দ্বিতীয় স্প্যান বসছে জানুয়ারিতে


মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭, ০৫:৩৯ পিএম
পদ্মা সেতুর দ্বিতীয় স্প্যান বসছে জানুয়ারিতে

মুন্সীগঞ্জ: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদ্মা সেতুর সামগ্রিক অগ্রগতি ৫০ শতাংশ। মূল সেতুর কাজ অনেক এগিয়ে গেছে। পদ্মা নদী হচ্ছে আমাজানের বনের মতো একটি রহস্যময় নদী।

তিনি বলেন, নির্দিষ্ট তারিখ দিয়েও আমরা সেই নির্ধারিত সময় রাখতে পারিনা। পদ্মায় ২য় স্প্যান বসতে আমাদের আরোও একটু সময় লাগবে, যেটা  মধ্য জানুয়ারি পর্যন্ত গড়াতে পারে।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুর সোয়া ১টার দিকে সিরাজদিখান উপজেলার মস্তফাগঞ্জ সেতু উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা নদীর নিচে এতো বেশি অনিশ্চিত পরিস্থিতি সেখানে গভীরতা মিলিয়ে টেকনিক্যাল কিছু সমস্যা আছে। আমাদের  টার্গেট আমরা যথা সময়েই শেষ করবো। একটি-দুইটি স্প্যান বসানোর পর সাত-আটদিন পর আরোও ৩৯টি স্প্যান বসতে পারবে। কাজেই যথাসময়ে কাজ শেষ হবে বলে আমরা আশাবাদী।

এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ছনবাড়ী চৌরাস্তার ঢাকা মাওয়া মহাসড়ক সংলগ্ন এলাকায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে শ্রীনগর সওজ পরিদর্শন বাংলোর ভিত্তি প্রস্তরের ফলক উন্মোচন করেন। এছাড়া মস্তফাগঞ্জ সেতু, রান্ধুনী বাড়ি সেতু, সিংপাড়া সেতু, কোলা সেতু, কুসুমপুর বাগানবাড়ী মসজিদ (মালীপাড়া) সেতুর উদ্বোধন করে সেতুমন্ত্রী।

মুন্সীগঞ্জ সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের অধীনে নির্মিত প্রায় ৬ মাসে জেলার গুরুত্বপূর্ণ ৫টি সেতুর কাজ সম্পন্ন করা হয়। এর আগে এই ৫টি  সেতুই ছিল ঝুঁকিপূর্ণ। প্রত্যেকটি সেতু ১৮-২০ লম্বা ও সোয়া ১০ মিটার চওড়া আর সিসি (পিসি) সেতু। প্রত্যেকটি সেতু নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৫-৬ কোটি টাকা।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৭ জুন সেতুমন্ত্রী মুন্সীগঞ্জের ৩০টি সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের পর এসব সেতুর কাজ শুরু হয়। এর মধ্যে ৫টি সেতুর কাজ শেষ হয়েছে এবং বাকি ২৫টি সেতুর কাজ চলমান আছে। এছাড়া আরোও ২০টি সেতুর অনুমোদনের প্রক্রিয়া চলছে ও প্রক্রিয়া শেষ হলেই দরপত্রের মাধ্যেমে কাজ শুরু করা হবে। ২০২০ সালের মধ্যে জেলার সকল ঝুঁকিপূর্ণ বেইলী সেতু ভেঙ্গে আর সিসি (পিসি) সেতু নির্মাণ করা হবে।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!