• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পদ্মায় ডুবে মারা গেল ৪৬ গরু


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ২৮, ২০১৭, ০৯:০৫ পিএম
পদ্মায় ডুবে মারা গেল ৪৬ গরু

ঢাকা: রাজবাড়ী সদরের পদ্ম নদীর ধাওয়াপাড়া ঘাটের কাছে কোরবানির গরুবোঝাই ট্রলার ডুবিতে ৪৬টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় মাঝিরা প্রাণ বাঁচাতে গরুর গলার দড়ি কেটে দিলে ৮/১০টি গরু সাঁতরিয়ে পারে উঠতে সক্ষম হয়।

ট্রলারটি কালুখালি উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের সাদারচর থেকে ছেড়ে পদ্মা নদী দিয়ে মানিকগঞ্জের আরিচা ঘাটের যাচ্ছিল। পরে আরিচা থেকে ট্রাকের মাধ্যমে ঢাকার গাবতলীর হাটে যাওয়ার কথা ছিল। দৌলতদিয়া ঘাটের ফেরি সংকটের সমস্যা এড়াতে এবং সময় বাঁচাতে কালুখালি এবং পাংশার ৫ গরুর বেপারী ট্রলারযোগে কোরবানির পশু গরু বোঝাই করে ঝুঁকি নিয়ে উত্তাল পদ্মা পাড়ি দিচ্ছিল। তবে ওই ট্রলারের মাঝি-মাল্লাসহ গরুর বেপারিরা সাঁতরিয়ে পাড়ে উঠতে সক্ষম হয়েছেন।

সদরের চন্দনী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজুল আলম চৌধুরী এবং ধাওয়াপাড়া ঘাটের মাঝিরা জানান, ওই বড় ট্রলারটিতে ৫৪টি গরু নিয়ে ঢাকার গরুর হাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায় নৌকাটি। পদ্মায় তীব্র ঘূর্ণি স্রোতের টানে ট্রলারের মাঝি নিয়ন্ত্রণ হারালে এ দুর্ঘটনা ঘটে যায়।

এদিকে পদ্মায় তীব্র স্রোত ও ফেরি সংকটে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দৌলতদিয়া ঘাটের সিরিয়ালে আটকা পড়ে অসুস্থ্ হচ্ছে কোরবানির পশু। ইতিমধ্যে সোমবার(২৮ আগস্ট) দুই গরুর মৃত্যুর হয়েছে। দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় অব্যাহত যানজটে আটকে পড়ছে কোরবানির পশুবাহী শত শত ট্রাক। এতে প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে পশু ও রাখাল। 

কোরবানির ঈদের সময়ে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা হতে গরুবাহী শত শত ট্রাক নদী পারাপার হতে দৌলতদিয়া ঘাটে আসতে শুরু করেছে। কিন্তু ঘাটে পশুবাহী ট্রাকগুলোকে অন্যান্য গাড়ির সাথে সিরিয়ালে থাকতে হয়েছে। গত দুই দিন থেকে সোমবার(২৮ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত যানবাহনের সিরিয়ালে আটকা পড়েছে অনেক ট্রাক।

ফেরি সংকটে পরে গত এক সপ্তাহ ধরে যান পারাপার ব্যাহত হওয়ায় মহাসড়কে আটকা পড়ে আছে শত শত দূরপাল্লার বাসেও। রোববারের নৈশ কোচগুলো সোমবার বেলা ১১টায়ও ঘাট থেকে অনেক দূরে মহাসড়কে আটকে থাকতে দেখা যায়।

বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া অফিসের ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, রুটে ১৪টি ফেরি চলাচল করছে। এ নৌরুটে পর্যাপ্ত ফেরি না থাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা কঠিন হচ্ছে। তাছাড়া পদ্মার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদীতে তীব্র ঘূর্ণি স্রোতের টানে ফেরি পারাপারে সময় বেশি লাগায় ফেরির ট্রিপও কমে গেছে। ফলে প্রতিদিন যে সংখ্যক গাড়ি আসছে, তা পার হতে না পারায় প্রতিদিনই যানজট লেগেই থাকছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা

Wordbridge School
Link copied!